ব্রয়লার জীবন
পথের ধারে পড়ে ছিলি, বুঝলি না কী মায়ের কোল;
অনাথ শিশুর মত তোদের ঝরছে সবার মুখে লোল।
মায়ের দুধ পাসনি বলে ফীডার মুখে কাটালি জীবন,
বুঝলিনা কী ভালবাসা- মায়ের কেমন আদর যতন।
আস্তাকুঁড়ে বড় হলি বাপ কে তোদের নেইতো জানা,
সবাই বলে তোরাই নাকি লোলপুরুষের বৈধ ছানা।
লোলপুরুষের বুক ফাটে তাই আদর করে ডাকতে কাছে;
জারজ যতই বলুক লোকে বাপ যে তোদের বেঁচে আছে।
বলছি ডেকে শোনরে বাছা দেখনা খুঁজে কে তোদের মা,
যৌবনকালের দোষটা আমার পারলে যেন করেন ক্ষমা।
আমার না হয় ছিল অসুখ নারী দেখলেই ঝরতো লোল;
তোরা যে সব সাধু যুধিষ্ঠির মুখে তোদের সংযমের বোল।
লোল ফেলতে ঝোল খেতে হয় তাও যদি হয় মুরগী দেশী,
ফীডার খাওয়া জীবন তোদের ব্রয়লারে তাই রুচি বেশী।
আসল কামে শুকনো খরা বোল ঝরে তাই লোল হয়ে;
ব্রয়লার জীবন ভুলিস তোরা লোলপুরুষের গুন গেয়ে।
(রুচিশীল পাঠক/পাঠিকাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার এই অপ-সাহিত্যের জন্য। তবে কেউ ইট মারলে আমি পাটকেল মারায় বিশ্বাসী। হাতের কলমটা আমার মোটেও দূর্বল নয়।)