somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডঃ জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মামলা হচ্ছে!! কি মামলা? ফল চুরির মামলা, কলা চুরির মামলা, পুকুরের জমি দখলের মামল!!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#ডঃ_জাফরুল্লাহ:

মোঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী (জন্ম: ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪১) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী চিকিৎসক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র” নামক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা।



দেশ সেরা ডাক্তারদের পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকার অনেক বিখ্যাত ডাক্তারও তার হাসপাতালে কাজ করেন।

তার কিডনীতে সমস্যা। টাকার অভাব নেই। চাইলেই বিদেশ গিয়ে কিডনী পরিবর্তন করতে পারেন। নিজের হাসপাতালেও করতে পারেন।

কিন্তু এদেশের আইনে যেহেতু অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিধান নেই। তাই তিনি সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করালেও কিডনী প্রতিস্থাপন করাচ্ছেন না।


অথচ, এদেশে অনেক হাসপাতাল কিডনী প্রতিস্থাপনের কাজটি করে যাচ্ছে। তার হাসপাতালে নার্স, ক্লিনার, ডাক্তার এমনকি হাসপাতালের ব্যবস্থাপকও একই খাবার খাবেন, কিন্তু বিল আসবে বেতন ও স্টাটাস অনুযায়ী আলাদা আলাদা।


তার একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে নির্বাচিত ছাত্র-সংসদ রয়েছে।

যেখানে বাংলা ভাষা ও বাংলা মাস অনুযায়ী সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকেই ১ম থেকে ৩য় সেমিস্টার পর্যন্ত স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, জেন্ডার ইস্যু, নীতিবিদ্যা ও সমাজ, পরিবেশবিদ্যা, ইংরেজি এবং বাংলা অবশ্যই পড়তে হয়।

দরিদ্র এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রয়েছে। তার হাসপাতালে মাত্র ৫০০ টাকায় ডায়ালাইসিস করানো হয়। যেখান থেকে তিনি নিজেই নিয়মিত ডায়ালাইসিস করান।

তিনি যখন লন্ডনের বিখ্যাত রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়ছেন। মাত্রই তার চুড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করেই লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা শুরু করেন।

তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন এবং তার এই অভুতপুর্ব সেবা পদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার “ল্যানসেট”-এ প্রকাশিত হয়। তিনি এখনো দেশের আনাচে-কানাচে স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার জন্য সর্বেোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

তার কারণেই, হঁ্যা একমাত্র তার কারণেই বাংলাদেশে এখনো অনেক ঔষধ স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বাংলাদেশে ঔষধ শিল্পে উন্নতি এবং তুলনামূলক সস্তায় ঔষধ পাওয়ার কৃতিত্ব অনেকটা এই ব্যক্তিটিরই। তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসমারিক পদক ‘স্বাধীনতা পদক’(১৯৭৭) প্রাপ্ত ব্যাক্তিত্ব।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনের প্রথম বৈঠকের সভাপতি ছিলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ সৈনিক হিসেবে অস্ত্রহাতে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই ব্যক্তিটি বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছিলেন ‘র‌্যামন ম্যাগসেসে’ পুরস্কার। আজকে বাংলাদেশের ঔষধ ১১৭ টা দেশে রপ্তানি হয় যার মূল কারিগর এই ব্যক্তি।

লিখলে তার আরো অনেক কৃতিত্ব আর অবদান লেখা যাবে।

অথচ আজ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মামলা হচ্ছে!! কি মামলা? ফল চুরির মামলা, কলা চুরির মামলা, পুকুরের জমি দখলের মামল!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×