অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে সাংবিধানিকভাবে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে এশিয়া, সাব-সাহারা, আফ্রিকা, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের ২৭টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হচ্ছে,– আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, কোমোরোস, জিবুতি, মিশর, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরিতানিয়া, মরক্কো, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, সাহরাউই প্রজাতন্ত্র, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সংবিধানে ‘ইসলাম প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় ধর্ম...’ হিসেবে উল্লেখ করা আছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, ‘বাংলাদেশ মদিনার সংবিধানের চেতনা অনুসারে পরিচালিত হবে।’ আবার কিছু দেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃত নয়, কিন্তু বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। যেমন– তুরস্ক, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তান। [১]
সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে বেশ কয়েকটা দেশে বৌদ্ধধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। যেমন– ভুটান, কম্বোডিয়া ও শ্রীলঙ্কা। আবার কিছু দেশে বৌদ্ধধর্ম রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসেবে স্বীকৃত নয়, কিন্তু বিশেষ মর্যাদা রাখা হয়েছে। যেমন– থাইল্যান্ড, লাওস, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার ও কাল্মিকিয়া এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। [২]
খ্রিস্টান প্রজাতন্ত্র : খ্রিস্টধর্মের সাথে প্রজাতান্ত্রিক সরকারের একাত্মতা থাকে। এবং রাষ্ট্রে খ্রিষ্টধর্মকে একমাত্র প্রতিষ্ঠিত ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিংবা আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদেরকে খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় দেয় বা রাষ্ট্রীয় গীর্জা আছে। এগুলোর মধ্যে ইউরোপের ৯টি দেশসহ বিশ্বের ১৩টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম খ্রিস্টান,– “আর্মেনিয়া, আর্জেন্টিনা, আইসল্যান্ড, কোস্টারিকা, ফিনল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, গ্রীস, ডেনমার্ক, সামোয়া, ইংল্যান্ড, মাল্টা, জর্জিয়া, জাম্বিয়া, ইতালি, পেরু, প্যারাগুয়ে, গুয়াতেমালা, পানামা, এল সালভাদর, ইথিওপিয়া, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ, হাঙ্গেরি, লিচেনস্টাইন, মোনাকো, নরওয়ে, সামোয়া, সার্বিয়া, টোঙ্গা, টুভালু, ভ্যাটিকান সিটি।”
আবার কিছু দেশে খ্রিস্টধর্মকে ক্রেডিট বা অগ্রাধিকার দেয়, কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। যেমন, হাঙ্গেরি ও জাম্বিয়া নিজেদেরকে খ্রিস্টান দেশ হিসেবে বর্ণনা করে।
আর ঐতিহাসিকভাবে,– আর্মেনিয়া, আবিসিনিয়া, জর্জিয়া, রোমান সাম্রাজ্য এবং বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য নিজেদের খ্রিস্টান রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এখন আসি যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত দেশ বলেই নয়, খ্রিষ্টানপ্রধান দেশ দুনিয়ায় আরও আছে, কিন্তু আমেরিকার জনগণের গড ও যিশুখ্রিষ্টে অবিচল আস্থা রয়েছে। তাদের ভাষায়, ‘ইন গড উই ট্রাস্ট’। পৃথিবীর অনেক দেশের মতো সাংঘাতিক সেক্যুলার-কাম-রাষ্ট্রধর্মের দেশ তাদের নয়। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের মতো ধর্ম তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই অভিষেকের আগে নতুন প্রেসিডেন্ট গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করেন। এবং ধর্মযাজক বা পাদ্রীর হাত ধরে বাইবেল হাতে নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
অপরদিকে ইসরাইলের রাষ্ট্রধর্ম ইহুদি– এটা তো সবাই জানে। তারা তাদের ইহুদি ধর্মের জন্য কত কিছুই-না করছে। জেরুজালেম পুরোপুরি দখল করতে পারলেই যেন তারা ধর্মকে উদ্ধার করতে পারবে! [৩]
মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এবং উত্তর ইউরোপের ৪৩টি দেশে অফিসিয়ালি রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে। এবং কিছু কিছু দেশে আনঅফিয়ালি রাষ্ট্র ধর্ম রয়েছে। যা উপরের আলোচনায় স্পষ্টভাবে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি। যেসব দেশে রাষ্ট্রধর্ম রয়েছে, তারা সবাই সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়েছে। আপনি গণতন্ত্রের মতো কুফরী মতোবাদে বিশ্বাসী, কিন্তু আমি নই। সুতরাং আপনার যুক্তি দিয়েই বলি, ‘Majority must be granted - সংখ্যাগরিষ্ঠতাই প্রাধান্য পাবে’। বাংলাদেশে ৯০% মানুষ মুসলমান। তাই এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মানে তো এটা নয় যে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের খাটো করা হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে পৃথিবীর ৪৩টা রাষ্ট্র সেই একই ভুল করছে। কারণ, তাদেরও তো রাষ্ট্র ধর্ম রয়েছে। হাস্যকর কথা, হাহাহা...
‘দেশে রাষ্ট্রধর্ম থাকা মানে সংখ্যালঘুদের ওপর অবিচার করা। দেশে সব ধর্মের মানুষ বাস করবে। দেশের কোনো রাষ্ট্রধর্ম থাকতে পারে না। আমরা বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে চাই। যারা ৭২-এর জাতীয়তাবাদী নীতির বিরুদ্ধে গিয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছে তারা হেন-তেন ইত্যাদি...’ এরকম কথা যারা বলছে, তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই– ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশগুলোতে কি সংখ্যালঘুরা খুব সুখে আছে? নাই। ‘সংখ্যালঘুরা ভালো নাই’ এই কথার সাথে রাষ্টধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। যুক্তি দিলে অনেক যুক্তিই দেওয়া যায়। রাষ্ট্রের যদি ধর্ম না থাকে, তাহলে রাষ্ট্রের ভাষাও থাকা উচিত না। ৫২তে যারা ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ বলে মিছিল মিটিং আন্দোলন করেছে, তারা বিশাল বড় ভুল করেছে। ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে– কতটাই-না বোকা তারা! তারা ‘রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলন করে এদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষাগুলোকে হেয় করেছে, সংখ্যালঘুদের ভাষাকে অপমান করেছে! হাহাহা, হাস্যকর না?
সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সংবিধান পরিমার্জিত করে সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে বিবেচনা করে যা করা লাগে তাই করেছে। এখানে ভুল কোনো কিছুই করা হয় নাই। এদেশে জাতীয় মসজিদ যেমন বাইতুল মোকাররম আছে, তেমনি জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীও আছে। ‘রাষ্ট্রভাষা এবং রাষ্ট্রধর্ম’ একের অধিক থাকে না, তাই নাই। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ‘ইসলাম' যেমন আছে, তেমনি এটাও পরিষ্কার উল্লেখ আছে যে দেশটিতে সব ধর্মের মানুষের অধিকার ও নিরাপত্তা সমান৷ ফলে রাষ্ট্রধর্ম থাকার বিষয়টা আপেক্ষিক ব্যাপার৷ এখানে মুসলিমদের জন্য বাড়তি কোনো সুবিধা তো নাই-ই, বরঞ্চ তারাই বেশি নিগৃহীত হচ্ছে শাসক গোষ্ঠীর থেকে। আইনের বিচারে বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরাই বৈষম্যে শিকার হয়েছে। সংখ্যালঘুরা নয়। তবে দু’একটা বিছিন্ন ঘটনার জবাব শেষে গিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
মুসলিমদের ধর্মীয় উৎসবে যেমন সরকারি ছুটি থাকে, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উৎসবেও ছুটি থাকে। চাকরির ক্ষেত্রেও তো কোনো ধর্মীয় কোটা নাই; বরঞ্চ হিন্দুরাই বাংলাদেশের চাকরির বাজারে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এমনকি মুসলিমদের ধর্মীয় বিদ্যালয়েও তাদের অনুপ্রবেশ রয়েছে। যেমন— ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু আলিয়া মাদ্রাসায় হিন্দু শিক্ষক রয়েছে। লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও কোনো বৈষম্য নেই। সরকারি সুযোগ-সুবিধার দিক থেকেও হিন্দুদের ছোট করে দেখা হয় না। তবুও নাকি এ দেশে সংখ্যালঘুরা শান্তিতে নাই।
তাহলে ধর্মনিরপেক্ষ হিন্দুরাষ্ট্র ভারতে কী সংখ্যালঘুরা শান্তিতে আছে?
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের কোনো রাষ্ট্রধর্ম নেই৷ দেশটির মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ হিন্দু৷ বাকি ২০ শতাংশ সংখ্যালঘু, যাদের মধ্যে ১৪ দশমিক দুই শতাংশ মুসলমান৷ রাষ্ট্রধর্মহীন দেশটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা আগের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেড়েছে৷ সরকারি হিসেবে, ২০১৫ সালে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার ৭৫১টি ঘটনায় কমপক্ষে ৯৭ জন প্রাণ হারিয়েছে, আহত ২,২৬৪৷ বাবরি মসজিদ ধ্বংসসহ আরও কত তাণ্ডব চালিয়েছে, তার ইয়াত্তা নেই।
গরুর মাংস খেয়েছেন, এমন সন্দেহে ১৮ কিংবা ১৯ সালে সেদেশে একজন মুসলমানকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে৷ আর পুলিশ সেই হত্যাকণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে তিনি সত্যিই গরুর মাংস খেয়েছিলেন কিনা সেটা বের করাকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে! সেই ঘটনার পর মাঝেমাঝেই শোনা যাচ্ছে, মুসলমান গরু ব্যবসায়ীদের হত্যার খবর৷
ভারতে এমন এক সময় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বাড়ছে যখন দেশটিতে ক্ষমতায় আছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)৷ আর দেশটির প্রধানমন্ত্রী এখন নরেন্দ্র মোদী, গুজরাট দাঙ্গার সময় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত সন্দেহজনক৷ সেই দাঙ্গার পর দীর্ঘদিন তাঁর ইউরোপ, অ্যামেরিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ লক্ষ্যণীয় হচ্ছে, ধর্মনিরপেক্ষ একটি দেশের মানুষ তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন৷ যদিও এটা কারো অজানা নয় যে, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় নিহত হয়েছিল কমপক্ষে ১২০০ মানুষ, যাদের অধিকাংশই ছিল মুসলমান৷ সুতরাং রাষ্ট্রধর্ম থাকা বা না থাকার ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বা নির্যাতন করার কোনো সম্পর্ক নেই।
.
সংখ্যালঘুরা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই সুবিধাবঞ্চিত৷ বিশেষকরে যেসব দেশে মুসলিম সংখ্যালঘু রয়েছে, তারাই বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। তবে কমবেশি একটু থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। জার্মান, মায়ানমার, নেপাল, ইজরাইল এবং ভারতের মতো রাষ্ট্রধর্মহীন দেশ সংখ্যালঘুদের যা দিতে পারেনি, বাংলাদেশ তার অনেকটাই পেরেছে। তাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকার কারণে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে, এটা আমি মানতে পারলাম না। বরং আমি মনে করি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের মূল কারণ হচ্ছে,–
১। রাজনৈতিক৷ সংখ্যালঘুদের বড় একটি অংশ বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা দলটির সমর্থক হিসেবে পরিচিত৷ এজন্য সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের পিছনে বিরোধী দলীয় ষড়যন্ত্র এখানে অবশ্যই থাকে। তারা চায় বাইরের দেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হোক। এ সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ– এটাই প্রমাণ করতে চায়।
২। গত কয়েক বছরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখতে পাওয়া যায়, একাধিক ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের সক্রিয় সদস্যদের পরিষ্কার অংশগ্রহণ রয়েছে৷ এর পিছনেও যে কোনো কারণ রয়েছে, সেটাও দিবালোকের মতো পরিষ্কার।
৩। সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠদের একটি অংশ সুযোগ পেলে সংখ্যালঘুদের সম্পদ লুটে নেয়ার চেষ্টা করেন৷ এ জন্য তারা এমন একটা অবস্থা তৈরি করে, যাতে সংখ্যালঘুরা ভিটামাটি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন৷
৪। প্রতিশোধ। ঘরোয়া কোনো ঝগড়ার যের ধরে এমনটা হয়। এদেশে হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি বাস করে। আর পাশাপাশি বাস করতে গেলে একটু আধটু ঝগড়া লাগার সম্ভাবনা থাকে এবং সেখান থেকেই সূত্রপাত ঘটে। আর ঢালাওভাবে অত্যাচার শুরু হয়।
৫। ধর্মীয় উস্কানি। এক শ্রেণীর অতি দুষ্টু প্রকৃতির অবুঝ শিশুরা ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানি মূলক কথা ছড়ায়, ধর্ম নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে, মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়, ফলে সংখ্যালঘুদের ওপর ক্ষেপে যায় সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। বেঁধে যায় দাঙ্গা।
৬। কিছু শয়তান প্রকৃতির হিন্দু রয়েছে, তারা নিজেরাই নিজেদের মন্দির-মূর্তি ভেঙে মুসলিমদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। কয়েক বছর পূর্বে একটা নিউজ দেখেছিলাম, ‘আল্লাহু আকবার’ বলে মূর্তি ভেঙেছিল এক যুবক, পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো– সে আসলে হিন্দু। এদের মূল উদ্দেশ্য মুসলিমদের ওপর দোষ চাপিয়ে রাষ্ট্রীয় ফায়দা লুফে নেওয়া। সহানুভূতি ভিক্ষা করা। প্রিয়া শাহ নামে এক মহিলা সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে ট্রাম্পের কাছে বিচার দিয়েছিল, মনে আছে না?
৭। বৈশ্বিক প্রতিশোধ। জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হামলা যেটাকে বলে আরকি। ধরুন, কোনো দেশে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলা হলো, এটার প্রতিশোধ হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরও হামলা হলো।
৮। মাত্রাতিরিক্ত বিদ্বেষীপনা। মুসলিম বিদ্বেষী বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব লালন করা। যেমন– নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে সংঘটিত জঙ্গি হামলা।
এছাড়াও আরও অনেক কারণ আছে। সব কারণ তুলে ধরা সম্ভব নয়। এমনিতেই পোস্ট অনেক বড় হয়ে গেছে। এজন্য দুঃখিত। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। মায়া’সসালাম।
.
– ‘কাওছার হাবীব’