ট্রাম্পকে মনে ধরেছে, সে অনন্ত হিপোক্রাট না, মুসলমানদের সরাসরি না বলেছে, কিন্তু মুখে হ্যা বলা অসাম্প্রদায়িক ইউরোপের অনেক দেশেই ইমিগ্রেশনে আমার পাসপোর্টে নাম ইসলাম দেখে ভুরু কুচকাতে দেখেছি, হয়ত শুনে অবাক হবেন অনেক নাম করা এয়ারলাইন্সে চেকইনের সময় মুসলিম পরিচয় পেলে কখনই আইলের বা এমারজেন্সি এক্সিটের ছিট দিবে না, ( পাছে কি না কি করে বসেন), রোমে কোন এক গির্জায় নিজেকে মুসলিম পরিচয় দেয়ায় সবাই আমার দিকে যে দৃস্টিতে তাকিয়েছে তাতে আমাকে কোন জন্তু জানোয়ার বা আল কায়দা, আই এসের কোন জংগি নেতা মনে হয়েছে, সুইজারল্যান্ডে আমার এক প্রশাসনিক কর্মকর্তাতো প্রশ্নই করে বসলেন নামের সাথে ইসলাম নিয়ে কোন ঝামেলা ফেস করি কিনা, এতো অমুসলিম দেশের চিত্র, মুসলিম দেশে আমরা মুসলিম বলে বিবেচিত কিনা সেটা সন্দিহান, কায়রোতো ট্রান্সিট ভিসা নিতে গিয়ে অনেক দেন দরবারের পর (সংগে থাকা পাচ তারকা হোটেলের বুকিং দেখানো সাপেক্ষে) পাসপোর্ট বিমান বন্দরে রেখে বিশেষ রিসিপ্ট নিয়ে ভিতরে যাবার অনুমোদন মেলে, একাধিক বার চেস্টা করেও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আয়জিত মিটিং/ ওয়াকসফে অংসগ্রহনের জন্য দুবাইয়ের ভিসা মেলে না, ইরবিলে চাকরি পেয়ে জোগদানের সুজোগ হয় না, একে তো মুসলিম তার পরে অসসুত জাত..
মুসলিম পাকি ভাইদের বিবেচনায়ও আমরা মুসলিম ছিলাম না, নইলে ভাইয়ের রক্তে অমন হলি খেলা যায়??
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৪