গত বছর জুনের মাঝামাঝি কোনো একদিন কেনিয়ার জোমো কেনিয়াটা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দু'জন বাংলাদেশির সাথে পরিচয় হয়
কেনিয়ান এয়ারওয়েজের হেল্পডেস্কে তাদের নিয়ে রীতিমতো হাতাহাতি অবস্থা, হেল্পডেস্কের এক কর্মকর্তা ওই দুই বাংলাদেশির কাছথেকে তাদের কাছে থাকা সমুদয় ডলার দিয়ে দেবার জন্য শোভন, অশোভন বিভিন্ন ভাবে দাবি করেও বুঝাতে ব্যার্থ হচ্ছিলেন
দূরথেকে চেহারা, পাসপোর্টের কভার পেজে বাংলাদেশী বুঝে সহায়তার জন্য এগিয়ে যাই, হেল্পডেস্কের সাথে কথা বলে বুজতে পারি তারা উভয়েই জাল ভিসা নিয়ে কেনিয়া আশে, পরবর্তী ফ্লাইট একজনের কেপটাউন, ও অন্যজনের মাপুতো (মোজাম্বিক)
আইন অনুযায়ী কেনিয়ান এয়ারওয়েজ তাদের ফেরত পাঠাতে বাধ্য (ফ্রি, যদি রিটার্ন টিকেটের টাকা না থেকে), হেল্পডেস্ক চেষ্টা করছিলো তাদের থেকে রিটার্ন টিকেটের জন্য কিছু নিতে পারে কিনা..,
হেল্পডেস্ক আমাকে তাদের জাল ভিসা দেখালে আমার সাদা চোখেও বুঝতে বাকি থাকেনা তাদের ভিসা জাল, সুতরাং আর্গুমেন্টে না গিয়ে তাদের রিটার্ন টিকেট নিশ্চিত করে প্রবল আগ্রহ নিয়ে তাদের সাথে কাছের এক ক্যাফেতে বসি..
খুব জানতে ইচ্ছে করে কি করে তারা দেশের ইমিগ্রেশন পার হলেন? কেনইবা এই অজানার পথে পা বাড়ালেন?
একজনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ, অন্যজন কুমিল্লার, উভয়েই ২/৩ বছরের সাধনায় কমপক্ষে ৩/৪ লক্ষ (আমার কাছে সঠিক অংক বলেনি বলেই মনে হয়েছে) খরচ করে বিদেশের গ্যারান্টি পেয়েছিলেন, শর্ত ছিল ঢাকা নয় কেবল চট্টগ্রাম থেকে উড়তে হবে, (হয়তো
চট্টগ্রাম ইমিগ্রশনে দালালেরই সহকারী চেয়ার নিয়ে বসে আছেন)
গল্প শুনতে শুনতে তাদের সাথে আমার ও চোখ ভিজে আশে, সমুচা দিয়ে আপ্যায়ন করি, তাদের আবদার মতো আমার সচল সংযোগের ফোন থেকে তাদের বাড়িতে কল করার দাবি মিটাই,
একজন ৪৫ সেকেন্ডে কোনো কথা বলতে পারেনা, আমি কেবল হাউ মাউ শব্দ শুনি
অন্যজনের শেষ কথাটি এখনো কানে বাজে... নাজমা (সম্ভবত প্রিয়তমা).. আমার স্বপ্ন শেষ....কেনিয়াগামী ৭৪ বাংলাদেশি উদ্ধার
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০২