স্পেসিফিকলি অসহনশীল বাকপটীয়সী “বাংলাদেশী” দেখলে আজকাল দুঃখ লাগে, খেয়াল করবেন “বাংলাদেশী” কোটেশনে রেখেছি। পলিটিক্যালি কারেক্ট কথা বলা আজকাল বড্ড বেশী জরুরী, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ গুরুত্বপূর্ণ মনে করি মেইনলি ২ টা কারণে
>এপার বাংলা আর ওপার বাংলার তফাত টা ঠিক স্পষ্ট লাগে না বাঙ্গালী বললে
>”আদিবাসী” কিছু বন্ধুকে জাতীয়তাবাদের বাইরে ফেলে দিতে ইচ্ছা করে না,
আবার খেয়াল করবেন “আদিবাসী” কথাটা কোটেশনে রেখেছি, বাংলাদেশের জন্মের “পূর্ব আর পর” থেকে যেসব ইস্যু সব সময় বিতর্কিত ছিলো তার একটা হল আদিবাসী নাকি উপজাতি এই বিতর্ক, পাকিস্তান সরকার কাপ্তাই বাঁধ করার সময় বিশাল একালা ফ্লাড করে ক্ষতিপূরণ দেয়া জরুরী ভাবে নাই, বাংলাদেশও সরকার গঠন করার পর থেকে এদের নিপীড়ন থেকে কোন অংশে পিছিয়ে যায় নাই, আমি ব্যাক্তিগতভাবে উপজাতি না “আদিবাসী”ই মানি, অষ্টম শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান বইয়ের কোটেশন পড়ে “উহারা আরকান, মিজোরাম থেকে আগমন করে” এইটা মানতে আমি নারাজ, এইখানে বিতক নাই যে পাহাড়ি ভূমি তে তারাই “আদিবাসি”, সমতল ভুমির তৎকালীন আরামপ্রিয় বাঙ্গালীরা পাহাড়ে গিয়ে ছিলো এইটা একটা বানোয়াট কথা বৈ কিছু হইতে পারে না,হু তবে সমতল ভূমি তে বাঙ্গালী হিন্দু আর বাঙ্গালী মুসলমানই আদিবাসী, এই প্রশ্নে কিছু পুরাতনকালে রচিত বাংলা সাহিত্য রেফারেন্স হিসেবে রিলায়েবেল,
পবর্তিতে বঙ্গবন্ধু বিতর্কিত হন “তোরাও বাঙ্গালী হয়ে যা” এই ভিষন উক্তির কারণে, এগেইন উল্লেখ্য তার পলিটিক্যালি কারেক্ট হওয়া এই ক্ষেত্রে বড় দরকার ছিলো, হতে পারেন নাই ফলসরূপ নতুন জন্ম নেয়া দেশেও “আদিবাসী” দের মনে ক্ষোভ জন্ম নেয়।
এর প্রতিদান আমরা আজকেও দিইয়ে যাচ্ছি, বর্তমান বিরোধীদল এই বন্ধবন্ধুর উক্তি ভিষন ভাবে প্রচার করলেও তারাই সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশ ঘটায় পাহাড়ে প্রথম এটা মনে রাখা দরকার,
সেনাবাহিনী ঢোকানোর পিছে কিছু কারণ গুলোর মাঝে একটা প্রধান কারণ ছিলো পাহাড়ে নতুন আভিবাসি বাঙ্গালী পরিবার গুলোর নিরাপত্তা দেয়া আর আরো বাঙ্গালী ঢোকানোর পথ সুগম করা, এখন এই ক্ষেত্রে আরো সুদক্ষ হাতে হ্যান্ডেল করা যেত, উইলিং আলোচনা আর কম্প্রোমাইজ হতে পারত, পাহাড়ী এলাকাও এই দেশেরই অংশ আর রিসোর্স সম বণ্টনের জন্য এই অভিবাসন জরুরী ছিলো কিন্তু তার আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক নিপীড়নের স্বীকার ওই মানুষ গুলা তখন প্রতিরোধের ভাষা শিখে গেছে, বাঙ্গালী মাত্রই তাদের “ইনট্রিনসিক রাইট” নিয়ে টান দিবে বলে তাদের ধারণা, খেয়াল করে দেখবেন ঠিক এই রকম শোষনের প্রতিবাদ করতেই আমরা ফুঁসে উঠেছিলাম ১৯৭১ সালে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে কিন্তু নতুন গঠিত সরকারও পাহাড় আর “আদিবাসী” ইস্যুতে বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার অ্যাটিচুড মেরে বসে ছিলো,
দেশ গঠনের আগে এই দেশের মানুষের উপর পাকিস্তানি নিপীড়ন আর নতুন বাংলাদেশী দ্বারা পাহাড়ি নিপীড়নের খুব তফাৎ দেখতে পারি না, যুদ্দের আগে আমাদের ক্ষোভ তৈরি হইসিল কারণ এই পূর্ব পাকিস্তানের রিসোর্স নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান উন্নত হচ্ছিল কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের কোনপ্রকার উন্নতি সাধন হয় নাই, বাংলাদেশ চলে মোটামটি পাহাড়ি রিসোর্স দিয়ে, কাপ্তাই ছাড়া দেশ একদিনে কুপোকাত হবে এইটা বলার অপেক্ষা রাখে না কিন্তু এই অনুপাতে পাহাড়ি জনবসতির উন্নতি সাধন হয় নাই, এই ক্ষোভ আন্ডোলনে রুপ নেবে এটাই স্বাভাবিক।ফলাফল সেনাবাহিনী দ্বারা পাহাড়ি নির্যাতন, খুন আর গুম আর পাহাড়ি দ্বারা বাঙ্গালী খুন, গুম । একটা পলিটিক্যাল ইনকারেক্ট স্টেটমেন্টের দৌড় এখন পর্যন্ত শেষ হয় নাই তাই আজকাল যখন নতুন নেতা যাদের নিয়ে আদতেই আমার অনেক আশা ছিলো তারা ইনকারেক্ট পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট দেয় আমার মাথায় চিন্তা ঘুরপাক খায় এর ফলে আর কি কি হতে পারে…এই রেশ কত দূর যেতে পারে…
(চলবে)