somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঐশী লইয়া জাতি তোলপার, ইংলিশ মিডিয়াম আর ওয়েস্টার্ন কালচারকে বকে দাও!! -_-

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু হইলে পশ্চমা কালচারকে দোষাইবার একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু হইসে। ঐশী নামের একটা ১৬ বছররে মেয়ে বাবা মাকে হত্যার সাথে জড়িত! খবরখানা চমকাইবার মত বটে
আরো কিছু চমকদার খবর পড়ি আসেন। বুদ্ধিজীবি হইবেন কিন্তু চোখ মুদিয়া ওয়িস্টোন কালচারকে দুষিবেন, দুনিয়া দেখিবন না তাই কি হয়?
১। মাতাল ছেলের হাতে মা খুন
২। সৈয়দপুরে বাবার হাতে শিশু সন্তান খুন
৩। সুনামগঞ্জে ছেলের হাতে বাবা, স্বামীর হাতে স্ত্রী ও শিশু কন্যা খুন : ঘাতক স্বামী ও ছেলে আটক
৪।শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন, পুলিসের হাতে নিগৃহীত মা
উপরউক্তি সকলের কেউ ইয়াবা আসক্ত ছিলো না কিংবা অক্সফোরড ইন্টারন্যাশনালে পড়তো না। তখন কবিরা নীরব থাকে কারণ তখন তো অনলাইনরে বিশ্লেষক ফুটানো বুদ্ধিজিবিত্ব ফলাইতে পারবে না! অতএব আসেন ইংরেজি মাধ্যমকে বকিয়া আর টিভি চ্যানলে কে দুষাইয়া আত্মতৃপ্তি লাভ করি।তখন অবশ্য মিডিয়া নামের ওয়াচডগ খানাও লেগ গুটাইয়া একটি দায়সারা রিপোর্ট করে চুপ মারেন। কারণ উহা যে হাই প্রোফাইল ঘটনা নহে। গরীব গরীবকে মারিবে এই তো নিয়ম। কুন সমস্যা নাই। তাতে জাত পাত নিপাত যায় না, ফেইসবুক গরমও হয় না!

ঐশী মেয়েটি মানসকি বিকারগ্রস্ত এই ব্যাপারে সন্দেহ নাই আসক্তকালীন সময়ে মানুষরে বোধ লোপ পায়। তার চিন্তা বা মোরালিটি সেন্স কাজ করলে সে কখনোই এইটা ঘটাইতো না। কেন এমন একটা ঘটনা ঘটতে পারে বা কেন এইসব ঘটনা ঘটে? বিশ্বব্যাপি পরবারি নামক সংগঠন টি ফেইল করছ, আমাদের দেশে এত ব্যাপকভাবে না করলওে শুরু হয়েছে
"বাবা-মা হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তার একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান গত ২ দুই বছর ধরে বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করে। বার, ড্যান্সপার্টি, ডিজে পার্টি থেকে এমন কোনো কাজ ছিল না যার সঙ্গে তার সম্পৃক্তা নেই। ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত থাকতো সে।

পড়াশোনার চাইতে ঐশীর কাছে এগুলোর প্রধান্যই ছিল বেশি। মূলত অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ক্লাস এইট থেকে তার অন্ধকার জগতে পা দেওয়া শুরু হয়। স্কুলের বন্ধুদের হাত ধরেই এই পথে পা বাড়ায় সে।" সুত্রঃ বিডি নিউজ ২৪

হুম, ঐশী এখন ও' লেভেল দিয়ে থাকলে ২-৩বছর আগে সে অক্সেফোড জয়েন করেছে, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ঠিক কত টাকা বেতন আমি জানি না কিন্তু মেয়েরে অক্সফোর্ডে পড়াইতেন আর মেয়ে ডিজে পার্টি তে যাচ্ছিল এর মানে টাকা পয়সার হাত ভালো। টেকা টুকা দিয়া মেয়ের হাতখানা নষ্ট করার পিছে চাইলে আছে কে?

এখন কথা হইল আসক্তির কথা বলে বাসায় আটকে রাখা বাইরে যেতে না দেয়া এইটা রাইট অ্যাপ্রোচ ছিলো কিনা? মেয়ের বয়স অল্প, বাসায় আটকাইতে পারলে মারধরও করা হইসে বলেই ধরে নিচ্ছি, কারণ দেশের প্রেক্ষিতে এটা নরম্যাল। বাবা মা ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষা দেবার চাইতে গুরুত্বপূণ ভাবেন অবাধ্য সন্তান পিটানোকে। ১৬ বছররে একটা আসক্ত মানুষকে আমি আর যাই হোক সুস্থ আচরণ দাবী আশা করতে পারেন না। কিন্তু, আপনি সুস্থ মানুষ হইলে তাকে মায়া আর ভালোবাসা দিয়া বুঝাইতে পরেন। যাক ঘটনার বিশ্লেষণ দরকার, কেন পরিবার ব্যাবস্থা কাজ করছে না সেইটা নিয়া গবষণো চলতে পারে অ্যানথ্রোপলজি / মনোবিজ্ঞান বিভাগে, কিন্তু সমস্যার মূলে না গিয়ে ওয়স্টোন কালচার আর ইংলশি মিডিয়া খারাপ। ওদের বকে দাও! ব্যান করে দাও বলে ম্যাৎকার করিলে আমাদেরই ক্ষতি!

বিঃদ্রঃ দেশে কিশোর আদালতের কি হইলো বুঝলাম না। ঐশীর ঝকঝকে ছবি সব মিডিয়াতে আমাদের সাংবাদিকতার নৈতিকতাই বা কই গেল তাও বুঝলাম না! আরেক দিকে আঙ্গুল তোলার আগে আসেন নিজে শুধ্রাই।

পুনঃ বিঃদ্রঃ এই বিষয়ে একমাত্র সেন্সেবল লিখা মনে হইসে শিবলি মেহদী ভাইয়ার এই লিখা । ভাইয়া ফেইসবুকে শিশু লালন পালন বলে একটা পাতা চালান। যা অনেকদিন থেকেই ফলো করে আসতেসি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৫
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×