কিছু হইলে পশ্চমা কালচারকে দোষাইবার একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু হইসে। ঐশী নামের একটা ১৬ বছররে মেয়ে বাবা মাকে হত্যার সাথে জড়িত! খবরখানা চমকাইবার মত বটে
আরো কিছু চমকদার খবর পড়ি আসেন। বুদ্ধিজীবি হইবেন কিন্তু চোখ মুদিয়া ওয়িস্টোন কালচারকে দুষিবেন, দুনিয়া দেখিবন না তাই কি হয়?
১। মাতাল ছেলের হাতে মা খুন
২। সৈয়দপুরে বাবার হাতে শিশু সন্তান খুন
৩। সুনামগঞ্জে ছেলের হাতে বাবা, স্বামীর হাতে স্ত্রী ও শিশু কন্যা খুন : ঘাতক স্বামী ও ছেলে আটক
৪।শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন, পুলিসের হাতে নিগৃহীত মা
উপরউক্তি সকলের কেউ ইয়াবা আসক্ত ছিলো না কিংবা অক্সফোরড ইন্টারন্যাশনালে পড়তো না। তখন কবিরা নীরব থাকে কারণ তখন তো অনলাইনরে বিশ্লেষক ফুটানো বুদ্ধিজিবিত্ব ফলাইতে পারবে না! অতএব আসেন ইংরেজি মাধ্যমকে বকিয়া আর টিভি চ্যানলে কে দুষাইয়া আত্মতৃপ্তি লাভ করি।তখন অবশ্য মিডিয়া নামের ওয়াচডগ খানাও লেগ গুটাইয়া একটি দায়সারা রিপোর্ট করে চুপ মারেন। কারণ উহা যে হাই প্রোফাইল ঘটনা নহে। গরীব গরীবকে মারিবে এই তো নিয়ম। কুন সমস্যা নাই। তাতে জাত পাত নিপাত যায় না, ফেইসবুক গরমও হয় না!
ঐশী মেয়েটি মানসকি বিকারগ্রস্ত এই ব্যাপারে সন্দেহ নাই আসক্তকালীন সময়ে মানুষরে বোধ লোপ পায়। তার চিন্তা বা মোরালিটি সেন্স কাজ করলে সে কখনোই এইটা ঘটাইতো না। কেন এমন একটা ঘটনা ঘটতে পারে বা কেন এইসব ঘটনা ঘটে? বিশ্বব্যাপি পরবারি নামক সংগঠন টি ফেইল করছ, আমাদের দেশে এত ব্যাপকভাবে না করলওে শুরু হয়েছে
"বাবা-মা হত্যাকারী পুলিশ কর্মকর্তার একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান গত ২ দুই বছর ধরে বেপরোয়া চলাফেরা শুরু করে। বার, ড্যান্সপার্টি, ডিজে পার্টি থেকে এমন কোনো কাজ ছিল না যার সঙ্গে তার সম্পৃক্তা নেই। ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত থাকতো সে।
পড়াশোনার চাইতে ঐশীর কাছে এগুলোর প্রধান্যই ছিল বেশি। মূলত অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ক্লাস এইট থেকে তার অন্ধকার জগতে পা দেওয়া শুরু হয়। স্কুলের বন্ধুদের হাত ধরেই এই পথে পা বাড়ায় সে।" সুত্রঃ বিডি নিউজ ২৪
হুম, ঐশী এখন ও' লেভেল দিয়ে থাকলে ২-৩বছর আগে সে অক্সেফোড জয়েন করেছে, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ঠিক কত টাকা বেতন আমি জানি না কিন্তু মেয়েরে অক্সফোর্ডে পড়াইতেন আর মেয়ে ডিজে পার্টি তে যাচ্ছিল এর মানে টাকা পয়সার হাত ভালো। টেকা টুকা দিয়া মেয়ের হাতখানা নষ্ট করার পিছে চাইলে আছে কে?
এখন কথা হইল আসক্তির কথা বলে বাসায় আটকে রাখা বাইরে যেতে না দেয়া এইটা রাইট অ্যাপ্রোচ ছিলো কিনা? মেয়ের বয়স অল্প, বাসায় আটকাইতে পারলে মারধরও করা হইসে বলেই ধরে নিচ্ছি, কারণ দেশের প্রেক্ষিতে এটা নরম্যাল। বাবা মা ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষা দেবার চাইতে গুরুত্বপূণ ভাবেন অবাধ্য সন্তান পিটানোকে। ১৬ বছররে একটা আসক্ত মানুষকে আমি আর যাই হোক সুস্থ আচরণ দাবী আশা করতে পারেন না। কিন্তু, আপনি সুস্থ মানুষ হইলে তাকে মায়া আর ভালোবাসা দিয়া বুঝাইতে পরেন। যাক ঘটনার বিশ্লেষণ দরকার, কেন পরিবার ব্যাবস্থা কাজ করছে না সেইটা নিয়া গবষণো চলতে পারে অ্যানথ্রোপলজি / মনোবিজ্ঞান বিভাগে, কিন্তু সমস্যার মূলে না গিয়ে ওয়স্টোন কালচার আর ইংলশি মিডিয়া খারাপ। ওদের বকে দাও! ব্যান করে দাও বলে ম্যাৎকার করিলে আমাদেরই ক্ষতি!
বিঃদ্রঃ দেশে কিশোর আদালতের কি হইলো বুঝলাম না। ঐশীর ঝকঝকে ছবি সব মিডিয়াতে আমাদের সাংবাদিকতার নৈতিকতাই বা কই গেল তাও বুঝলাম না! আরেক দিকে আঙ্গুল তোলার আগে আসেন নিজে শুধ্রাই।
পুনঃ বিঃদ্রঃ এই বিষয়ে একমাত্র সেন্সেবল লিখা মনে হইসে শিবলি মেহদী ভাইয়ার এই লিখা । ভাইয়া ফেইসবুকে শিশু লালন পালন বলে একটা পাতা চালান। যা অনেকদিন থেকেই ফলো করে আসতেসি।