১৯৮০ সালের এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ - উওর কোরিয়ান একটি ফুটবল ম্যাচ দেখেছিলাম আর্কাইভ এ। সালাউদ্দিন, কায়ছার হামিদ, আসলাম সম্ভবত এই দলের নেতৃত্ব। কি চমৎকার লং পাস, ফ্রি-কিক, এট্যাক আর ড্রিবলিং!!!! দেশের নাম মুছে দিলে বুঝতে হয়তো পারবেন না, বাংলাদেশের নাকি সেলেসাওদের ম্যাচ দেখছিলেন!! ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরে যায় ২-৩ গোলে; কিন্তু সীমিত সুযোগ- সুবিধা বাংলাদেশের ফুটবল প্লেয়ারের স্কিল ছিল চোখে দেখার মত। এরপর ও মোমেন মুন্না, আলফাজ দেশের ফুটবল টেনে নিয়ে গিয়েছিল কিছুদুর। দেশের ঘরোয়া ক্লাব ফুটবলের মানুষের উন্মাদনা ছিল আকাশচুম্বি। আবহানী, মোহামেডান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আরামবাগ খেলার দিনগুলো ছিল উৎসব মুখর ঈদের মত। ব্যান্ড পার্টি, মিছিল, ব্যানার নিয়ে এক-এক দলের সমর্থকরা মাঠে হাজির হইতো। শুধু কি মাঠে!!!!! চির প্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডানের খেলার উত্তাপ মাঠ পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়তো বিভিন্ন জেলা শহরের এলাকায়।
রাজনীতিকরন, দলীয়প্রভাব, আর্থিক সংকট, ক্রিকেটের উত্থান, স্পন্সরের অভাবে এরপর দেশে ফুটবল চলে গিয়েছে কোমায় লাইফ সাপোর্টে। দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর হামজা- জামালদের হাত ধরে দেশের ফুটবল আবারো সেই পুরনো উন্মদনায় ফিরে গেছে। আজকে বাংলাদেশ-সিংগাপুর ম্যাচকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। ইতিমধ্যেই নাকি স্টেডিয়ামে এরিয়াতে প্রচন্ড ভির, নির্ধারিত সময়ের পুর্বে কয়েকগুন বেশি দামে ও নাকি টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না আর এই ম্যাচকে ঘিরে স্পন্সরা নাকি এখন ক্রিকেট থেকে ফুটবলে বেশি আগ্রহী।বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য ইহা নি:সন্দেহ একটি গুড সাইন।
বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ফুটবল হচ্ছে মাঠে বসে দেখার জিনিস। এই খেলার সৌন্দর্য, স্কিল, ক্রাউড এনগেজমেন্ট, খুঁটিনাটি বিষয়গুলো গ্যালারিতে বসে উপভোগ পারবেন। অপরদিকে ক্রিকেট হচ্ছে টিভিটে বসে দেখার জিনিস। কারন গ্যালারিতে বসে আপনি বলেন সুইং বুঝবেন না, প্লেয়ারের সর্ট অন্য স্টেড থেকে বুঝবেন না। তাই সবাই মিলে মাঠে বসে ফুটবল দেখি। বাংলাদেশ ফুটবল জিন্দাবাদ!!!
এশিয়ান কাপের সেই ঐতিহাসিক ম্যাচটি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬