
সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার ক্যানিং নামে খুব বিখ্যাত এবং ভয়ংকর একটি শাস্তির বিধান আছে। সাধারণত "রাটান ক্যান" ব্যবহার করে, যা বাঁশের মতো শক্ত ও নমনীয় এক ধরনের লাঠি। ধর্ষণ, ডাকাতি, মাদক পাচার বিশেষ কিছু অপরাধের জন্য এই শাস্তি প্রয়োগ করা হয়। আসামির নগ্ন নিতম্বে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ৩-২৪ টা বেতাঘাত করা হয় যা ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক । যারা শাস্তি পেয়েছে, তাদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রতিটি আঘাত শরীর চিরে ফেলে, চামড়া উঠে যায়, প্রচণ্ড ব্যথা হয়। অনেকেই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, এমনকি জীবনভর দাগ থাকে এমনকি মানুষিক ট্রমায় ভোগে।
বাংলাদেশে একটি গরীব দেশ; জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং ক্রাইমের অনুপাতে পর্যাপ্ত জেলখানা ও পুলিশ নেই। তারপরে মাদক, ছিনতাই, ইভটিজিং চুরির মতো ছোটখাট অপরাধের কারনে জিডি, এফ আই আর সরকারী কাগজ-কলম লিখালিখি, জেলে রেখে খাওয়া দাওয়া পিছনে অর্থ ও সময় নষ্ট হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইসব অপরাধীদের কয়েকদিন জেলে রেখে কিছু টাকা পয়সার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। আইনের এমন ফাঁক-ফোকরে সমাজে অপরাধ করার মাত্রা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ছোট খাট এইসব অপরাধ রাঙা হাতে ধরা খাওয়ার পর সরাসরি কেনিং শাস্তির আওতায় নিয়ে আশা উচিত। এতে সরকারের পয়সা, সময় দুইটাই বাঁচবে। এখনকার মব-সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, নতুন বগলের পশম কাটা হুজুরদের নিতম্বে দশটা করে বাড়ি দিলেই এই ঝামেলা চিরতরে শেষ।
বয়স্ক মানুষ, নারী এবং অসুস্থ ব্যক্তি এই শাস্তির আওতার বাইরে। ১৯৯৪ সালে এক আমেরিকান কিশোরের অপরাধে নানা কুটনৈতিক টানাটানি পরে ও সিংগাপুরে এই শাস্তি প্রয়োগ করা হয়। পশ্চিমা অনেক মানবাধিকার সংস্থা একে টর্চার হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাঁদের শুকনা কথায় তো আর চিড়া ভিজবে না!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


