
চীন, কোরিয়া, জাপান এই তিন দেশের ধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থা আমার কাছে খুবই জটিল মনে হয়। যেমন কনফুসিয়াসজম, সিন্টো, টাও, বৌদ্ধ, শ্যামান, নাস্তিক এতগুলো ধর্ম ও দর্শন এখনো বিদ্যামান। একজন মানুষ একাধারে কনফুসিয়াসজম দর্শনে অনুসরণ করতে পারে একই সাথে বৌদ্ধ ও শ্যামানিজম বিশ্বাস করতে পারে। এর কোনটি ই একটির সাথে আরেকটি সাংঘর্ষিক না। কি অদ্ভুত তাই না!
বর্তমানে সমাজ ব্যবস্থায় এই দেশগুলো তে ধর্মের উপস্থিতি একদমই কম। হয়তো এইজন্য দেশগুলো এতো উন্নত! কাজ, যৌন্যতা এবং মদ এটাই তাদের ধর্ম; এটা আমার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি।

সিউলের মধ্যে যুগে নির্মিত প্রসিদ্ধ একটি বৌদ্ধ মন্দির দেখার সুযোগ হয়েছিল একবার। এক শীতের সন্ধ্যায় ইচ্ছে হলো ঈশ্বর কে দেখার; ঈশ্বর অবশ্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের। কোরিয়ান প্রাচীনকালে নির্মিত কাঠের প্রাসাদ, মন্দির আর্কিটেকচারের খুবই ভক্ত আমি। মন্দিরটি এভাবে ই নির্মিত সাথে এখন আধুনিকতার ছোঁয়া আরো বেশি ভালো লাগে।


সন্ধ্যায় মন্দিরে প্রবেশ করায় ওয়ার্ম লাইট আর আলোকসজ্জা এতো সুন্দর একটা পরিবেশ আর স্বর্গীয় একটা অনুভুতি দিচ্ছিল। এর আগে ও প্রথম রাঙামাটি বৌদ্ধবিহার এক বিকালে ছিলাম। সেটি ও অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বৌদ্ধ ধর্ম ও মনে হয় একদা শান্তির ধর্ম ছিল, বুদ্ধ বলতেন "সকল জীবে দয়া করো"


অন্যান্য সব বৌদ্ধ মন্দিরের মতো সেখানে ও মানুষ মোমবাতি জ্বালায়, আগরবাতি ধরায়। আগরবাতি জিনিসখান মনে হয় সকল ধর্মের মানুষের কাছে প্রিয় ও আধ্যাত্মিক কোন বস্তু। যে কোন ধর্ম সত্যি হলেই আগরবাতি অবশ্যই পরকালে বেহেশতে, স্বর্গ বা হেভেনে যাবে; তার কোন চিন্তা নাই।


গাছের নিচে আলোকসজ্জা সাথে মন্দির ঘন্টা এবং প্রাচীন কোরিয়ার বিশ্বাস দৈত্য-দানবের ছবি গুলো বেশ সুন্দর। শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় একটু পড় গিয়ে ঢুকলাম মন্দিরের। পাশাপাশি গোল্ডেন কালারের বিশাল তিনটা বুদ্ধের মূর্তি প্রথম ছবি। কিছু কোরিয়ান সাদা মৌজা পড়া বসে বসে কিছু একটা পড়ছে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান গ্রন্থ মনে হয় ত্রিপিটক যা পালি ভাষায় লিখা। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জীবন আচার খুবই সুন্দর। জীবনের মোহ-মায়া ত্যাগ করে তারা মাথা ন্যাড়া করে, অহংকার যাতে না আসে সেজন্য ভিক্ষাবৃত্তি করে খায়। ভিক্ষুদের সাথে যেয়ে কিছুদিন থাকার থাকার ইচ্ছে আছে দুনিয়ায় মোহ-মায়া ত্যাগ করে। যাক মন্দিরের ভিতরটা উষ্ণ আর আরামদায়ক সিট থাকায় আমি ছিলাম আরো কিছুক্ষণ।
ঈশ্বর দর্শনের সময়কাল ২০১৬।
ছবি: আইফোন ৬ তাই ফোকাস, ব্রাইটনেস কিছুটা এলোমেলো।
প্রথমটি বাদে সবগুলোই নিজের তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


