আপনি কেমন রুচিশীল?
হ্যা আপনাকেই বলছি… যিনি নিজেকে রুচিশীল মনে করেন।
অন্য কাউকে কটাক্ষ করে, ছোট করে, এম্বারেশ ফিল করালে আপনি খুব রুচিশীল হয়ে গেলেন..!!
প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজ নিজ জায়গায় তার যোগ্যতা দিয়ে সে চেষ্টা করে নিজেকে সেরা হিসেবে তুলে ধরতে। এখন তার কাজটা আপনার মনের মত হলো না, তাই বলে আপনি তাকে যা ইচ্ছা-তা মন্তব্য করতে পারেন না। যারা এমন মিন মাইন্ডের আচরণ করে তারা মোটেও সভ্য না, রুচিশীল না, শিক্ষিত না। একজন মানুষের সবচাইতে বড় গুন আগে সভ্য হওয়া। যদি আপনার এই গুন না থাকে তাহলে আপনার অধিকার নাই কাউকে নিয়ে ক্রিটিকস করা,মার্কিং দেওয়া।
শুধু হা হা করে ভেটকালে,.. কাউকে পচানোর জন্য মন্তব্যের ঘরে দেদারসে… যা ইচ্ছে তাই লিখে দিলেই, আপনি রুচিশীল posh - elegant- sophisticated -artistic হয়ে গেলেন না।
রুচিশীল কিংবা এলিগেন্ট কি জিনিস চলেন বলি।
বাংলা অভিধানে রুচি শব্দটির বিভিন্ন মানে আছে। অভিধানে রুচি মানে ১ শোভা, দীপ্তি (তনুরুচি, দন্তরুচি); ২ পছন্দ (কুরুচি) ৩ মার্জিত বুদ্ধি বা প্রবৃত্তি (বেশভূষায় রুচির পরিচয়); ৪ স্পৃহা, ইচ্ছা (আহারে রুচি নেই); ৫ অনুরাগ, আকর্ষণ ইত্যাদির কথা বলা আছে।
আবার..
সমাজবিজ্ঞানে, রুচি বলতে বোঝায় কোনো ব্যক্তি বা সামাজিক গোষ্ঠীর খাদ্যাভাস, ডিজাইন, সাংস্কৃতিক ও নন্দন তত্ত্ব চর্চার ধরন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়ভিত্তিক পছন্দ বা নির্বাচনকে। মানুষ কীভাবে কোনো কিছুকে সুন্দর, ভালো বা মূল্যবান হিসেবে বিচার করছে তার ভিত্তিতেই মানুষের রুচি বোঝা যায়।
রুচির নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড নেই। ফলে আমরা কখনোই নির্দিষ্ট রুচির মানদণ্ডে কারুর বিচার করতে পারি না।
এতক্ষন যে রুচি বা রুচিশীলতা নিয়ে কিছু ব্যাখ্যা জানলেন, কোথাও কি আপনাদের চিরচেনা রুচি খুজে পাচ্ছেন?
পাচ্ছেন না?
কেন পাচ্ছেন না জানেন কারণ এতজীবন আপানারা রুচি পড়েন নাই কুরুচি পড়েছেন। যাইহোক রুচি চানাচুর কিংবা পাক্কা রুচিসম্মত কথা আমার আজকের উদ্দ্যেশ্যে না।
উদ্দেশ্য...
এই আপনাদের মত কিছু মানুষদের জন্য অনেক ছেলেরা তাদের নলেজকে কাজে লাগাতে পারে না। শুধুমাত্র আপনাদের নেতিবাচক মন্তব্যের জন্য।
আপনাদের মত কুরুচিপূর্ণ মানুষগুলো প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে নার্ভাসনেস কাজ করান।
তাদের সৃজনশীলতার মধ্যে পানি ঢালেন, সামান্য বিষয় নিয়ে অনেক বেশি বেশি দ্বিধায় ভোগান।
কেন?.... কেন এমন করতে হবে?
কি পান এগুলা করে?
রুচিশীল posh এর নামে পৈশাচিক আনন্দ?
আপনি ত সাইকোপ্যাথ না।
তাহলে….এগুলা করেন কেন?
এগুলা আর করবেন না।
আল্লাহর কসম লাগে আপনার নেতিবাচক মন্তব্য , কুরুচিপূর্ণ আচরণ দিয়ে পৃথিবীটাকে নোংরা কইরেন না। কাউকে এম্বারেশ কইরেন না, কাউরে নার্ভাস কইরেন না, কারো সৃজনশীলতাকে ধংশ করে দিয়েন না।
শুনেন মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছেন তাই তো???
গরু ছাগল হয়ে ত জন্ম নেন নাই…..
বিবেকবুদ্ধি ত আছে। যদি থাকেই তাহলে স্বজাতি ভাইদের কে নিয়ে কুটুক্তি করা এই ভাবনা থেকে বের হয়ে আসেন। মানুষকে মানুষের মত মূল্যায়ন করেন।
প্রতিটা জিনিস পজিটিভ দিক দিয়ে শেখার ও জানার মানসিকতা তৈরী করেন। তখন দেখবেন আপনার দিনলিপির মধ্যেই বুদ্ধির স্বরূপ ধরা দিয়েছে। আল্লাহ-তায়ালা সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুক আমিন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




