
ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস রপ্তানীতে বিশ্বে ২য় কিন্তু গোমাংসের কারণে গণপিটুনিতে (lynching) হত্যা কান্ডে পৃথিবীতে প্রথম এবং একমাত্র দেশ যেখানে সামান্য গোমাংসের জন্য পিটিয়ে মানুষ হত্যা সাধারণ বিষয়। একটি এনজিও-র জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৯৭ শতাংশ গণপিটুনি এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে মোদী ক্ষমতায় আসার পর৷ গোটা ভারতে কয়েক সপ্তাহের ঘটনার দিকে তাকালেই ছবিটা দিনের আলোর মতো ফুটে উঠবে৷ উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে গোরক্ষার নামে চলেছে একের পর এক হামলা এবং মানুষ খুন৷
সনাতন সংস্থা, বজরং দল, রাম সেনা, দুর্গা বাহিনী, হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির মতো হিন্দু মৌলবাদী জঙ্গী সংগঠনগুলি দিনের পর দিন সংখ্যালঘু মুসলিম হত্যা করছে। হত্যা করছে দলিত হিন্দু (যারা গোমাংস খায়), খ্রিষ্টান ও উপজাতির মানুষদের। গো-গোমাংস নিয়ে হত্যাকান্ডে মামলা হয় কিন্তু দোষীদের বিচার হয়না, তারা ছাড়া পায় আরো দোর্দন্ড প্রতাপে গো রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়ে।
সংখ্যালঘু নিপীড়নে ভারত প্রথম এবং অদ্বিতীয় একটি দেশ তারা নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা না করে অন্যদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে কেঁদে কেঁদে চোখ ভেজাচ্ছে এবং উগ্র জঙ্গী নেতারা আক্রমনের হুমকি দিচ্ছে, ভাবতে অবাক লাগে!
এই প্রথম বাংলাদেশ তাদের নিজের চরকায় তেল দিতে বলেছে; অন্যের চরকা নিয়ে মাথা ঘামাতে নিষেধ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
মুখপাত্র বলেন,
ভারতে মুসলিম-খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড, গণপিটুনি, নির্বিচার আটক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধার ঘটনা গভীর উদ্বেগের বিষয়। চলতি মাসে ভারতের ওড়িশায় একজন মুসলিম যুবক জুয়েল রানাকে নৃশংস হত্যার ঘটনা, বিহারে মুহাম্মদ আতাহার হোসেনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড, কেরালায় বাংলাদেশি সন্দেহে এক নিরীহ ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড এবং বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের ওপর গণপিটুনি-সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে বড়দিন উদ্যাপনকালে ভারতজুড়ে খ্রিস্টানদের ওপর সংঘটিত গণসহিংসতার বিষয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনাকে আমরা ঘৃণাজনিত অপরাধ ও লক্ষ্যভিত্তিক সহিংসতা হিসেবে দেখি। আমরা প্রত্যাশা করি, ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে। এ ছাড়া প্রত্যেক দেশেরই দায়িত্ব তার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা ও মর্যাদা দেওয়া।
বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



