somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুনিয়ায় অশান্তির জন্য দায়ী আসলে কি?? ব্লগের ওলামাদের প্রতি প্রশ্ন

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর সার্বজনীন ব্যখ্যা কি? ধর্মীয় একই বাণীর ব্যাখ্যা মাওলানা বা পুরুতভেদে ভিন্ন হয়। শিয়া, সুন্নি, আহমদীয়া, কাদিয়ানী থেকে শুরু করে শুধুমাত্র মুসলিমদের মধ্যেই হাজারটা বিভাজন। এবং এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মারামারি-ঠাপাঠাপি লেগেই রয়েছে। আবার প্রত্যেক গোষ্ঠীই কোরান-হাদিসকে অনুসরণ করেন।
সুন্নীদের হাতে শিয়া এবং শিয়াদের হাতে সুন্নী খুন হচ্ছে। প্রত্যেকেই নিজেদেরটা ঠিক মনে করে এবং অপরটাকে বেঠিক মনে করে। তাহলে ইসলাম ধর্মের সার্বজনীন ব্যাখ্যা কি? কে ঠিক?

আমাদের দেশের সুন্নী মুসলিমরা বলবে যে, তারা সঠিক। কিন্তু সেটা কোনো উত্তর নয়।

পাকিস্তানে তালেবানেরা মসজিদে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের দেশের অনেক মুসলিম বলবে, ওরা ইসলামের পথে নেই। কিন্তু তালেবানেরা যারা এই কাজটি করছে তাদের বক্তব্যও জানা উচিত। তারাও কোরান বের করে জিহাদের জন্য কত কিছু করা যায় তারও ব্যাখ্যা দিবে। অর্থাৎ সবার কাছেই তালগাছ আমার। এখানে সার্বজনীন কোনো মানদণ্ড নেই।

এই সামহয়্যারেই কত মুসল্লি ধর্মীয় পোস্ট মারার মাধ্যমে ডিজিটাল তাবলীগ করছেন। এই মুসল্লিদের মধ্যেও কিবোর্ডের ঠাপাঠাপি লেগেই রয়েছে। কেও বলে জাকির লায়েক ভুল, কেও বলে সঠিক। এবং একে অপরকে নির্বোধ জ্ঞান করেন। যদিও এটা কিবোর্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে তাই রক্ষা। কিন্তু সার্বজনীন গ্রাহ্য ব্যাখ্যা না থাকায় পৃথিবী জুড়ে চলছে ঠাপাঠাপি। অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যেও বিভাজন রয়েছে। তবে তূলনামূলকভাবে সহনশীল হওয়ায় তাদের মধ্যে ঠাপাঠাপির মাত্রা কম মুসলিমদের তূলনায়। ঠাপাঠাপির মাত্রা কম হোক বা বেশি হোক, ধর্মগন্থ তথা ঈশ্বরের বানীর সার্বজনীন না হওয়ায় পৃথিবীজুড়েই অশান্তি রয়েছে। যদিও কথিত শান্তির জন্যই নাকি ধর্মের উৎপত্তি।

শান্তির জন্য ধর্মের আবির্ভাব হলেও ধর্মের কারনেই মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং হচ্ছে। আমাদের দেশের মুসলিমদের অনেকেই এর ব্যাখ্যা করে বলেন যে, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার কারনে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
আমার প্রশ্ন হলো, ধর্মে বা ধর্মীয় গ্রন্থে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো কেন? ধর্মে বা ধর্মীয়গ্রন্থগুলোতে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনেই তো এতো অশান্তি। এর ব্যর্থতাও ধর্মের ওপরই বর্তায়।
সৃষ্টিকর্তা যদি বানী দিতে চান তবে তিনি তার সৃষ্টিজগতের সব মানুষের জন্যই বাণী দিবেন। এবং সবাই সেটা বুঝবে। কারন বানী হবে সার্বজনীন। কিন্তু বানীর ব্যাখ্যা সার্বজনীন না হওয়ায় শিয়া-সুন্নি থেকে হাজারটা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়েছে মানুষ। বানী সার্বজনীন না হওয়ায় মানুষ ভিন্ন ব্যাখ্যা করে নানাভাবে বিভক্ত হয়ে মারামারি-ঠাপাঠাপি করছে। এই অশান্তির দায়ভার তাহলে কার ওপর বর্তায়?? ভুল ব্যাখাকারীদের নাকি ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ রাখার কারনে??
ব্লগের ওলামাদের প্রতি আমার এই প্রশ্নটি রেখে লালনের গানের একটি উক্তি স্মরণ করছি

‌‌''এক কানা কয় আরেক কানারে
চলো এবার ভবো পাড়ে
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারংবার''

আরও কিছু অসঙ্গতি নিয়ে আমার মধ্যে কিছু প্রশ্ন রয়েছে। এ নিয়ে ‌'সৃষ্টিকর্তা কি ছোটোলোক'' শিরোনামে আমি একটি গদ্য রচনা করেছিলাম। সময় থাকলে পড়ার আহবান জানাই
Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×