
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শেখ হাসিনা এক মস্ত খলনায়িকা হিসেবেই টিকে থাকবে আজীবন। সেটা আজকের দেয়া রায় কার্যকর হোক বা না হোক তাতে সত্যিকার অর্থে তেমন কিছু যায় আসে না। তিনি ভিলেনই ছিলেন আর ভিলেনই থাকবেন আজীবন। একথা অনস্বীকার্য যে হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ আমলে যথেষ্ট উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই তুলনায় এদেশের সমাজে এবং রাষ্ট্রে বিশেষত এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অবনতি হয়েছে তার থেকে হাজারগুনে বেশী। সেই ক্ষতি এতোটা ব্যাপক এবং গভীর যে তার পূর্ণ ফিরিস্তি দেয়া এই ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব নয়। উন্নতির ক্ষেত্রে যদি বলি তাহলে বলা যায় যে উন্নতি তো হিটলারও অনেক করেছিলো তার আমলে জার্মানির, কিন্তু সেই উন্নতির বিনিময়ে সেই নাৎসি জার্মানি কি হাল করেছিলো ইউরোপের সে কথাও হিসেবের মধ্যে রাখা দরকার। উন্নতিই সব কিছুর মাপকাঠি নয়। হিটলারের মতো অন্যান্য স্বৈরশাসকেরা তাদের সেই তথাকথিত উন্নতির বদৌলতে খোদ তার নিজের দেশের ভাগ্যে যে কতো বিশাল পরিমাণে দুর্দশা বয়ে নিয়ে আসে সে নজীর দেয়ার অভাব নেই এ বিশ্বে । আমাদের সাবেক “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী” ওরফে স্বৈরতন্ত্রী খলনায়িকা শেখ হাসিনাও তার কোনও ব্যাতিক্রম নয়। নেহায়েত নিতান্ত কঠিন রকমের দলকানা, সাইকোপ্যাথ আর হাড়েমজ্জায় বজ্জাত লোক ছাড়া এহেন স্বৈরশাসকদের কোনও সমর্থক কেউ কখনো হতে পারে না। কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন যে এদের আপনি নিজ হাতে খুন করতে দেখেছেন কি না। এদের বলে রাখা ভালো, বিশ্বের ইতিহাসে কোনও ডিক্টেটর বা স্বৈরশাসক বা কাল্ট লিডারকে আপনি দেখাতে পারবেন না যে তিনি নিজের হাতে খুন করেছেন। এহেন ডিক্টেটররা নিজের হাতে মারেন না, এরা অন্যদের দিয়েই মারান এবং মরতে বাধ্য করেন। হিটলার, মুসোলিনি, ভার্গাস, ইয়াহিয়া খান বা শেখ হাসিনা সে যেই হোক প্রত্যেক ডিক্টেটরদের ক্ষেত্রে এই জিনিসটা সত্যি। এখন কথা হচ্ছে আওয়ামী লীগ আমলে অজস্র মানুষের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন, বিনা বিচারে বা মিথ্যা মামলায় আটক এসব থেকে শুরু করে সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারি, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করা থেকে শুরু করে ভারতের স্বার্থে আপাদমস্তক নির্লজ্জ বেঈমানের মতো নিজের দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়াসহ অসংখ্য অনৈতিক কাজেকর্মে আওয়ামী লীগ যে নজীর সৃষ্টি করে গেছে তার কোনও তুলনা নেই।
হ্যাঁ, বিগত বি এন পি-জামাতের আমলকেও ভুলে যাই নি। তাদের আমলে বাংলাদেশে কীরকম দুর্নীতি আর লুটপাট হয়েছিলো, জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটেছিলো সে কথাও ভুলে যাই নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিগত আমল তাদের অপকর্মের পর অপকর্ম দিয়ে সেই সমস্ত কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে বহুগুণে। আর এই সমস্ত কিছুর ক্ষেত্রে ডিক্টেটর শেখ হাসিনার অবদান যে কতোটা বড় সেটা নতুন করে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। সুবিশাল পরিমাণ অপকর্মের হোতা আর ভারতের স্বার্থে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়া এই আধুনিক কালের “ঘসেটি বেগম” শেখ হাসিনা আর তার আওয়ামী লীগ যতোই উন্নতির বড়াই করুক, এদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনা চিরকাল এক খলনায়িকা হিসেবেই টিকে থাকবে চিরকাল, যেমন আছেন নবাব সিরাজুদ্দউলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের অন্যতম কুখ্যাত ঐ ঘসেটি বেগম
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


