শুক্রবার দিনটা ঘনিয়া আসিলেই বালকের হৃদয়টা ভারী হইয়া উঠে। মনে হয় বুকের ভীতর ভীষণ রকম ঝড় হইতেছে। বাহির হইতে কেহ কিছু বুঝিবে না, বুঝিতে পারিবেও না। কিন্তু বালক স্পষ্ট অনুভব করিতে পারে তাহার বুকের কয়েক জোড়া হাড়ের নিচে প্রতিটি শিরা উপশিরা ঝড়ে উপরিয়া যাইতেছে। এমন অবস্থাতো তাহার ছিল না। বরং, চিত্রটির সম্পূর্ণ বিপরীতই ঘটিত সবসময়। শুক্রবার আসিলেই তাহার শিরাÑউপশিরাই মৃদুমন্দ বাতাস বহিত। মনে হইত কোন খেয়া নৌকার মাঝি মনের আনন্দে তাহার শিরাÑউপশিরায় গান ধরিয়া ছলাৎ ছল শব্দে দাঁড় বাহিয়া আগাইয়া যাইতেছে কোন পল্লীগ্রামে। বালক আনন্দের অতিশয্যে ঘুম হইতে জাগিয়া বলিয়া উঠিত ‘কৃষ্ণচূড়া’, যাহার জন্য এত সুখানুভূতি বিরাজ করিত। বড় সুদিন ছিল বালকের। শুক্রবার দিনটি কোন ক্রমেই তাহার কাটিত না। অপরাহ্নের শেষের দিকে অপেক্ষা করিত তাহার কৃষ্ণচূড়ার জন্য। তাহাদের সাক্ষাতের দিন ও সময়টা যে ওটাই ছিল। তাহাদের সাক্ষাত হইত। সেই সাক্ষাতের সহিত কত গল্প, কত ঠাট্টা, কত অনুভূতির বিনিময় হইত তাহা বালকের আজো মনে পড়ে। সেই বহু প্রতিক্ষিত সাক্ষাতে তাহাদের জীবনের গল্প হইত, স্বপ্নের গল্প হইত, আশাÑআকাক্সক্ষার, চাওয়াÑপাওয়ার গল্প হইত, সেই সাথে স্বপ্ন ভঙ্গের গল্পও যে হইতো না তাহা নয়। বাস্তব অবাস্তব সব গল্পই সব কল্পনাই সেই সাক্ষাতে স্থান পাইত। বালকের মনে হইত তাহার কৃষ্ণচূড়া পাশে থাকিলে সেই সব স্বপ্ন পূরণ করা তাহার নিকট অত শক্ত নহে। সেই স্বপ্ন পূরণে তাহার কৃষ্ণচূড়ার হস্তটা তাহার হস্তের উপরে থাকিলেই বালক ভরসা পাইত, নয়তো সবই বৃথা ভাবিত। সেই শুক্রবার দিনটা বালকের সহিত কৃষ্ণচূড়ার সাক্ষাতের সময়টা যেন শেষই হইত না। বালকের মনে হইত এই সময়টা যদি অনন্তকালের মত হইত। কৃষ্ণচূড়া যদি আজীবন তাহার সহিত এভাবে জীবনের গল্প করিয়া স্বপ্ন রচনা করিয়াই যাইত তবে বেশ হইত। তখন এমনই সময় ছিল যখন বালকের প্রতি শিরা উপশিরা প্রতিক্ষণে কৃষ্ণচূড়া রব তুলিত।
বড় মঙ্গলময়ী শুক্রবার। সেই সময় যখন কৃষ্ণচূুড়া হাসিত তখন বালকের মনে হইত শত শত পাখি একই সাথে কলরব করিতেছে, গহীন অরণ্যে শত ফুল একই সাথে ফুটিতেছে। কোথায় জানি পড়িয়াছি সৃষ্টিকর্তা যাহাকে দান করেন তাহাকে অকৃপণ ভাবেই দান করেন। নয়তো সেই হাসি দেখার পর আরে কোন হাসিই কেন বালকের ভাল লাগিবে না। নয়তো কেন বার বার চেতনেÑঅচেতনে সেই মাধুর্যমন্ডিত হাসিভরা মুখখানি বালকের চোখের সামনে ভাসিয়া উঠিত? পরম করুনাময়কে বালক বারংবার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিত এমন সৃষ্টির সহিত তাহাকে পরিচয় হওয়ার সুযোগ দান করিবার জন্য। সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীর সৌন্দর্য ফুটাইয়া তুলিয়াছেন সব দিক দিয়া। কিন্তু সেই অপার্থিব সৌন্দর্য এক পক্ষ দেখিতে পাই তো অন্য পক্ষ বঞ্চিত থাকে। বালক নিজেকে বড় সৌভাগ্যবান মনে করিত। কেননা করুনাময় এমন এক জোড়া দর্পন তাহার কৃষ্ণচূড়ার কপোলের সামান্য উপরে বসাইয়া দিয়াছেন সাধারণ মানুষ তাহাকে আঁখি পল্লব হিসেবেই জানে। সেই আঁখি পল্লবে উঁকি দিলে বালকের মনে হয়তো পৃথিবীর সব সৌন্দর্য তাহার সন্নিকটে। কতিপয় সময় তাহার এমনও মনে হয়তো যে, স্বর্গের কিছু কিছু রূপও সে ঐ আঁখি পল্লবে অবলোকন করিতেছে। সেই আঁখি পল্লব কেমন তাহা বর্ণনা করিবার জন্য বালকের মন ছটফট করিলেও তাহার কলমের সাধ্য নাই সেই আঁখি পল্লবের সৌন্দর্য কালি দিয়া নমস্য কাগজেরর উপর ধারণ করে। সেই আঁখি পল্লব কেমন তাহা বর্ণনা করিবার জন্য কোন কবি জন্ম গ্রহন করে নাই, ভবিষ্যতেও করিবে না। সেই আঁখি পল্লব কোন ক্যানভাসে ধরিয়া রাখিবার জন্য কোন শিল্পীর জন্ম হয় নাই, জন্ম হইবেও না। সেই আঁখি পল্লব দেখিলে হয়তো মহাময়ী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি তাহার মোনালিসার চোখ উপরাইয়া ফেলিতেন। তাহার সেই আঁখি পল্লব দেখিলে হয়তো ফরাসিরা ল্যুভর মিউজিয়াম হইতে মোনালিসার প্রতিকৃতি নামাইয়া ফেলিতে বিদ্রোহ করিয়া উঠিবে। বালক পরম করুণাময়ের নিকট কৃতার্থ, পরম করুণাময় ফরাসীদের যেই বস্তু প্রত্যক্ষ করার সুযোগ দেন নাই, তাহাই তাহাকে দিয়াছেন।
দিয়াছেন, নাকি দিয়াছিলেন? সেই শুক্রবার বহু প্রতিক্ষীত সাক্ষাতের জন্যই বালক সিঁড়ির নিকটবর্তী স্থানে অপেক্ষা করিতেছিল। তাহার কৃষ্ণচূড়ার আগমন পরবর্তীতে সেদিনও তাহারা তাহাদের স্বপ্ন বুননে ব্যস্ত ছিল। সেদিনও বালক কৃষ্ণচূড়ার ভূবন ভুলানো হাসি আর আঁখি পল্লব উপভোগ করিতেছিল। আর সেই সাথে কি জানি একই দিনে একই সময়ে সাক্ষাতের শেষ কয়েকটি মূহুর্তের সময়ে কৃষ্ণপক্ষের নিকষ কালো অন্ধকারকে সাথে লইয়া শনির উপর ভর করিয়া নামিয়াছিল তাহাদেরই ভূÑস্বামী। ভূÑস্বামীর আগমণে অজানা আশক্সক্ষায় সেদিন কৃষ্ণচূড়া বালককে বিদায় না জানিয়েই পশ্চাদগমন করিয়াছিল। সেটাই ছিল বালকের সহিত তাহার কৃষ্ণচূড়ার শেষ সাক্ষাত, বিদায়হীন সাক্ষাত। বিদায়হীন সাক্ষাত কত নির্মম হয় তা বালকের অগোচর ছিল, আজ তাও তাহার গোচরে আসিল। কৃষ্ণচূড়ার পশ্চাদগমনের পর ভূÑস্বামী বালককে কিছু তিরস্কার পূর্বক কিছু বয়ান করিলেন। সেই বয়ানগুলো যে তাহার বড় ও মেঝ কন্যার জন্য উপর্যুপরী কার্যকরী হইবে তাহা বালক সেদিন ভূÑস্বামীকে অবগত করে নাই। অবগত করার মত অবস্থাও সেদিন বালকের ছিল না এবং আবশ্যকও মনে করে নাই। বালক সেদিন বিমর্ষ বদনে মাথা নিচু করিয়া নামিয়া আসিয়াছিল। মনে মনে সৃষ্টিকর্তার কাছে তাহার বাবার আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের সহিত এমনি একখানা বাড়ী নির্মানের প্রয়াস যেন দেন তাহাই কামনা করিতেছিল। সেই হইতে বালক বড় কষ্টে দিনাতিপাত করিতেছিল তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে ভূÑস্বামীর তিরস্কার অন্যদিকে তাহার কৃষ্ণচূড়ার নির্মম ব্যবহার দুইই বারংবার তাহাকে দগ্ধ করিতেছিল। ভূÑস্বামীর এহেন আচরণের জন্য হয়তো কৃষ্ণচূড়া বালককেই দোষী সাব্যস্ত করিয়া তাহার প্রতি রুষ্ঠ হইয়া তাহার সহিত কথা বলা দূরে থাক, তাহাকে চিনিতে পারাটাও বোধ করি কৃষ্ণচূড়ার জন্য অপমানকর ঠেকিতেছিল।
এদিকে বালক করুণাময়ের করুণাধারা বারংবার তাহার কৃষ্ণচূড়ার জন্য দিকে বর্ষীবার জন্য অনুরোধ করিলেও তিনি হয়তো সেই কাজ হইতে কম করিয়া হইলেও সাতশত ক্রোশ দূরে রহিয়াছিলেন। নয়তো কেনই বা একই যাত্রাপথে বালক ও কৃষ্ণচূড়ার মুখোমুখি দেখা হইলে কৃষ্ণচূড়া তাহার ভূবন ভুলানো হাসির বদলে, প্রকৃতির সান্ধ্যকালীন রূপ ধারণ করিবে? প্রকৃতিতে কি সান্ধ্যকালীন গাম্ভীর্যের ঘাটতি পড়িয়াছিল? না, ঘাটতি পড়ার আবশ্যকতা দেখা দিয়াছিল? কেনই বা কৃষ্ণচূড়া অবচেতনভাবে, না না না বরং জ্ঞানসমেতই দ্বিতীয়বার বালককে দেখিবার পরও ত্রিÑচক্র যানের চালককে তাহার গন্তব্য স্থানে যাইবার অনুরোধ করিবে। পরম করুণাময় কি তাহার অন্তরে এতখানি মায়া দেন নাই? হয়তো দিয়াছেন। তবে সেই মায়ার এতখানি অংশ যে বালকের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে না তাহাতো আর বালক জানিত না? নয়তো কেনই বা পাঠশালা থেকে ফিরিয়া যখন সেই ভূÑস্বামীর নির্মিত দালানের প্রবেশ দ্বার দিয়া ঢুকিবার সময় প্রথম গৃহটির দিকে একবারও পূববর্তী সময়ের ন্যায় তাহার আঁখি পল্লব দ্বারা দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবে না? কেনই বা দিনের বেশির ভাগ সময় বালক দ্বিতল গৃহটির দিকে বারংবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেও সেখানে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদ বলুন আর আমাবশ্যার চাঁদই বলুন তাহার দেখা পাইবে না? কেনই বা বালকের কৃষ্ণচূড়া যখন রাত্রির দ্বিÑপ্রহরে নিঃসঙ্গভাবে রাত্রির অন্ধকারকে উপভোগ করিবার সময় অবহেলা ভরিয়া বালককে নিচে দেখিয়া বারান্দা হয়তে নিজেকে স্থানচ্যুত করিবে। কি জানি পরম করুণাময় হয়তো তাহার অন্তরে একটু খানি জলের ছিঁটে ফোঁটাও হয়তো দেন নি? দিলে হয়তো ঐ প্রাণখানি এত শুকনো থাকত না। একদিন গলিতই।
সেই কৃষ্ণচূড়া নামক বালিকাটির জন্য বালক যে রাত্রির শেষ প্রহর পর্যন্ত নির্ঘুম কাটাইয়া দেয় তাহা কি সে জানে? না অন্তর্যামী জানাইয়া দেয়? সৃষ্টিকর্তা তাহাকে যেই আঁখি পল্লব দিয়েছেন তাহার দৃষ্টি হয়তো এত প্রসারিত নয়? হয়তো সৃষ্টিকর্তার তাহার সৃষ্টির মত ঐ একই রকম অভিসন্ধি বিদ্যমান? একপক্ষকে যথেষ্ট স্বাধীন রাখিয়া অন্য পক্ষকে যন্ত্রণায় ছটফট করার সুযোগ দিবেন তাহার সম্বন্ধে ঐরূপ জ্ঞান তো বালক কোন দিন প্রত্যক্ষ করে নাই। নয়তো এত দিনে সেই কৃষ্ণচূড়া বালিকাটিকেই জানাইয়া দিতো যে বালকের ভোর বেলা ঘুম হইতে জাগরণের অভ্যাস নাই বলিয়া তাহার নয়ন জোড়াকে অতি কষ্টে পোষ মানাইয়া সারা রাত্রি জাগিয়া থাকিয়া সেই ভোর হইতে তাহার যাত্রাপথে দন্ডায়মান হইতে তাহার পদযুগলকে বাধ্য করিত। এইরূপ শারীরিক কষ্ট বালককে কাহিল না করিলেও তাহার কৃষ্ণচূড়ার নির্লিপ্ত আচরণ বালকের হৃদয়কে ছিন্নভিন্ন করিয়া দেয় সেই খবরও কি অন্তর্যামী তাহার কাছে পৌছাইয়া দেন নাই? সেই বালকের পরীক্ষাকাল যত সন্নিকটে আসিতে থাকে, তাহার প্রস্তুতিও যে সেই হারে কমিতে থাকে। কেননা প্রতিটি পাঠ্যবইয়ের, প্রতিটি নোটের হস্তাক্ষরের (সে যত বাজে হস্তাক্ষরই হোক) ফাঁকে ফাঁকে বালক তাহার কৃষ্ণচূড়াকে খুঁজিয়া বেড়ায় অন্তর্যাামী সেই খবরও কী দেন নাই? বালক কি এতই অপূণ্যাহ?
সে যাই হোক, এই বৃহৎ গৃহ সংসারে এত ক্ষুদ্র বালকের বুঝিবার কথা নয় কৃষ্ণচূড়া নামক বালিকার মনের গোপন ইচ্ছা, বালকের এত ক্ষমতা নাই যে সৃষ্টিকর্তার মনের অভিসন্ধিও বুঝিয়া লয়। এতটুকু বুঝিতে পারে যে, এই জগৎ সংসারে মায়া বড় যন্ত্রণাদায়ক বস্তু, মায়া করিলেই যন্ত্রনার সহিত আপোষ করিতে হইবে। আর সেই মায়া যদি কোন সৃষ্টিকর্তার অপরিমেয় সৌন্দর্য দ্বারা গড়িয়া তোলা কোন নারীর জন্য তৈরী হয় তবে সেই যন্ত্রণাতো বালকের মত ছোট্ট কয়েকটি হাড়ের পিঞ্জর দিয়া ঘেরা কোমল হৃদয়কে প্রতি মূহুর্তে নিষ্পেষিত করিয়া আনন্দ পাইবে এ আর অসত্য কী? অন্তর্যামী এবং তাহার সৃষ্টি যত বিদ্রোহই করুক বালক তাহার কৃষ্ণচূড়াকে মনে মনে প্রতি মূহুর্তে কামনা করে। কৃষ্ণচূড়া নামক সেই বালিকাটির নিকট মনে মনে ক্ষমা প্রার্থণা করিয়া দিন কাটাইয়া দেয়। বালক ভাবে, না জানি তাহার জন্য কত কঠিন কথাই না কৃষ্ণচূড়ার পিতাÑমাতা তাহাকে কহিয়াছেন। বালক প্রার্থণা করে, দয়াময় যত কষ্ট তুমি এদিক দিয়ে বর্ষিত কর, আমার কৃষ্ণচূড়ার প্রতি এতবড় অবিচার করিও না। করিলেও বালকের নালিশ করিবার উপায় নাই। এত দৃষ্ঠতা তাহার নাই।
বালক শুধু আপন মনে বসিয়া বসিয়া দিন কাটাইয়া দেয়। বৃষ্টি দেখে, বৃষ্টির সহিত কথা বলে। বৃষ্টি যে তাহার কৃষ্ণচূড়ার বড় প্রিয়। মাঝে মাঝে বালক মনে মনে ধরিয়া নেয় যে, তাহার সহিত কৃষ্ণচূড়া আছে। সে নিবিষ্ট মনে একাকী কৃষ্ণচূড়ার সহিত কথা কহিয়া যায়। কেহ আড়াল হতে বাহির হইয়া পিঠে চাপড় মারিয়া তাহার কল্পনার কথোপকথন ভাঙিয়া দেয়। তাহার আর কৃষ্ণচূড়ার কথার মাঝখানে দেওয়াল হইয়া বসিয়া পড়ে, হোক না সে বালকের দূর্বল চিত্তের কল্পনা, মতিভ্রম, মাদকতা। বালকের মনে হয়, সমগ্র বিশ্বজগৎ যেন আজ তাহার পিছনে লাগিয়াছে। বালক ভারী দীর্ঘশ্বাস বুকে চাপিয়া লয়। মাঝে মাঝে বালকের মনে হইতে থাকে নিকষ কালো অন্ধকার এই প্রকৃতিকে ঘিরিয়া ফেলিবে। সমগ্র আকাশ ঢাকিয়া যাইবে কালো মেঘে। সম্পূর্ণ মেঘাচ্ছন্ন হইয়া বৃষ্টি নামিবে অঝড় ধারায়। সেই বৃষ্টির অঝর ধারা দেখিতে দেখিতে হয়তো কেহ একজন মুঠোফোনে আকুতি জানাইবে, ‘আসেন না একটু বাইরে আসেন? দেখেন কী সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে।’ বালক কি না ছুটিয়া পারিবে? বালক অপার বিস্ময়ে সেই মাহেন্দ্রক্ষনের জন্য অপেক্ষা করিয়া দিনাতিপাত করিতেছে। আর নিজের মনের অনুভূতিগুলো অনভ্যস্থ হাতে কাগজে স্মৃতিকথন লিখিতেছে। লিখিতে পারিতেছে কই, বারবার কী অদ্ভূত শিহরণে তাহার নয়নজোড়া হইতে অঝড় ধারা নামিতেছে। নয়নের এ অঝড় ধারা কাহার জন্য ঝড়িতেছে তাহা কি অন্তর্যামী তাহাকে জানাইয়া দিতেছে না?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



