মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন । সেখানে তিনি ইন্ডিয়ানা তে বক্তব্য প্রদান কালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী chin-kuki-zo দের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার সাহায্য চেয়েছেন। তিনি বলেছেন chin-kuki-zo গোষ্ঠী কালচার এবং ধর্মীয় দিক থেকে একই হলেও তাদেরকে বিভিন্ন দেশের আলাদা সীমানার মাধ্যমে ভাগ করে রাখা হয়েছে। এইজন্য তিনি বাংলাদেশের কিছু অংশ, মায়ানমার এবং ভারতের মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য মিলে একটি অখন্ড খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনে আমেরিকার কাজ করা উচিত বলে মনে করেন। এই বক্তব্যের পর দক্ষিণ এশিয়া এবং ভারতে সবত্র আলোচনা সমালোচনা চলছে। একই সাথে বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য বারবার সামনে চলে আসছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আমেরিকার তৎপরতা নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিভিন্ন মিডিয়া এবং দলের মিটিংয়ে অনেকবার এড্রেস করেছেন বিষয়টি। " বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম- মায়ানমার - ভারতের কিছু অংশ মিলে সাদা চামড়ার লোকেরা খ্রিস্টান রাস্ট্র গঠন করতে চায়! আমি ক্ষমতায় থাকলে তারা এই কাজ করতে পারবে না বলেই আমাকে সরিয়ে দিতে চায়। " -শেখ হাসিনা।
১৯৮০'র দশক থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম -মিয়ানমার-মিজোরাম ও মনিপুর মিলে খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি বারবার আলোচনায় আসছে।সাম্প্রতিক সময়ে মায়ানমারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বিষয়টি সবাই নতুন ভাবে আলোচিত হচ্ছে।তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশেষ মনে করেন এই ধরণের খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠনের ধারণা বাস্তব সম্মত নয়। ভারত কখনোই তার রাজ্য হাতছাড়া করতে চাইবে না।বাংলাদেশের যে অংশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেখানে খ্রিস্টান জনগোষ্ঠী খুবই কম। মায়ানমারে চীন এবং থাইল্যান্ড দ্বারা প্রভাবিত গোষ্ঠী ফেডারেল রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
সামনের দিনগুলোতে এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা হবে বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। ভারতের সব মিডিয়াতে এই বিষয়টিকে একধরণের চক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।