মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী লম্বা রেইসের ঘোড়া মনে হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া হতে বেডরুমে যার নিয়োগ নিয়ে অস্বস্তি আছে তিনি খুব দ্রুত শিখে গেলেন কিভাবে মানুষের মাথা ঠান্ডা করতে হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোর বুদ্ধিদাতা সোশ্যাল ইনফ্লুয়েঞ্জা পিনাকী সাহেব। আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড যখন দেখলেন নতুন উপদেষ্টাদের নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে তখন পিনাকীর দেয়া ফতোয়া কাজে লাগালেন। তিনি দরবার হল থেকে শুরু করে সব মন্ত্রণালয় হতে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। এতে সবার রাগ ক্ষোভ কিছুটা প্রশমন হয়।
পূর্বে হাসিনা কে দেখতাম বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ তা মিডিয়াতে দেখানোর জন্য ডিজিএফআইয়ের টাকায় কিছু ক্লাউন দল আন্দোলন করতো। লোক সমাগম দেখানোর জন্য লোক ভাড়া করে আনা হত। এরা আসলে হাসিনার পারপাস সার্ভ করে।
রংপুর থেকে উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে এই দাবী করে আসছে রংপুরের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সদস্যরা। ঢাবিতে দুই গ্রুপ ফারুকী এবং সেখ বশিরের নিয়োগের প্রতিবাদে আলাদা সমাবেশ করার কথা থাকলেও পরে একসাথে তারা সমাবেশ করে। সুন্দর ভাবে মাঠ দখলে রাখা বুঝি ইহাকে বলে!
আজকে সমন্বয়কদের বৈঠকে মূলত সবাই যাতে সরকার কে স্হায়তা করে তার জন্য বলা হয়েছে।এদের সাথে সরকারের যোগাযোগ আছে অথবা কেন সরকার ফারুকী ও সেখ বশির কে নিয়োগ দিয়েছে তা বৈঠকে ব্রিফ করা হয়েছে। যেখানে সমন্বয়ক উপদেষ্টা আসিফ বারবার বলছেন সবজায়গায় এক্সপার্ট লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, এরপর অন্য কোন কথার অবকাশ নেই।
বিএনপি এবং জামাত এই বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে। জামায়াতের আমীরকে লন্ডনে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি দায়সারা গোছের জবাব দেন । মির্জা ফখরুল বলেছেন উপদেষ্টা কে হবেন তা নির্বাচন করার দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার। তারা যাস্ট পরামর্শ দিতে পারেন।
প্রথমত মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর কিছু ইন্টারন্যাশনাল রিকোগনেশন আছে। সাম্প্রতিক সময়ে শিল্পকলা একাডেমী তে নাটক বন্ধ হওয়া, সমাবেশে ডিম ছুড়ে মারা, অভিনেত্রী মেহজাবীন কে শোরুম উদ্বোধনে বাধার বিষয় টি বিশ্ব মোড়লদের নজরে এসেছে। দ্বিতীয়ত সেখ বশিরের ভাই যতই এমপি থাকুক বশির সাহেব একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের ডোনার হিসাবে সুপরিচিত। উপদেষ্টা সহকারি খোদা বক্স চৌধুরী ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার আসামী ছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে পুলিশের আইজিপি ছিলেন।
যেখানে সকালে প্রজ্ঞাপন জারী করে নিয়োগ দিয়ে বিকালে প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে সেখানে বিতর্কিত উপদেষ্টা নিয়োগ পাওয়া মোটেই কাকতালীয় ঘটনা নয়।