
জুলাই অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসেন ড. ইউনূস । বিভিন্ন মন্ত্রনালয়গুলো পরিচালনার জন্য মন্ত্রী পদমর্যাদায় উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়। তবে উপদেষ্টাদের নিয়োগ কোন প্রক্রিয়ায় হয়েছে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন তৌহিদ হোসেন। উনার আচার-আচরণ দেখে সজ্জন ব্যক্তি বলে মনে করা যাইতে পারে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ পজিশনে বসার মতো যোগ্যতা উনার আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের জুলাই অভ্যুত্থানের পর সম্পর্ক খারাপ হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তেমন ইফেক্টিভ স্ট্রাটেজি গ্রহণ করা হয়নি। রাস্ট্রদূত নিয়োগের সময় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হলেও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সঠিক ভাবে ঘটনা জানেন না বলে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান।
বহিস্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় দাস কে গ্রেফতারের পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরো খারাপ হতে থাকে। ভারতের কিছু মিডিয়া যারা নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি সমর্থিত মিডিয়া শেখ হাসিনা শাসন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হচ্ছে এমন গুজব সারাবিশ্বে প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি কূটনৈতিক দের বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ব্রিফ করার জন্য রাস্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আমন্ত্রণ জানিয়ে পহেলা ডিসেম্বর চিঠি দেয়া হয়। দোসরা ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় বিদেশি কূটনীতিক দের সামনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হাসান ব্রিফ করা শুরু করেন। আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় কে কূটনীতিকদের এত স্বল্প সময়ের দাওয়াতে উপস্থিত হওয়ার জন্য কোন ধরণের সৌজন্যমূলক ধন্যবাদ জানাতে দেখা যায় নি। অতি আশ্চর্যের বিষয় এই যে, আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সমগ্র সময় ধরে বাংলায় বক্তব্য দিয়ে গিয়েছেন। পাকিস্তান, চীন সহ অন্যান্য দেশের কূটনীতিক বৃন্দ বুঝে না বুঝে উপদেষ্টার ভাষণ শুনে গেছেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলায় বক্তব্য দেয়ার সময় এমন কিছু শব্দ চয়ন করেছেন যা একজন উপদেষ্টার মুখে বড্ড বেমানান শোনায়। বক্তব্যের এক পর্যায়ে উনাকে বলতে শোনা যায়, ভারতীয় মিডিয়া বিভিন্ন মাল মশলা মিশিয়ে খবর প্রচার করে বাংলাদেশের বদনাম করছে! এই কথা শুনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্পীচলেস হয়ে যান। একজন উপদেষ্টা কিভাবে বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে এমন ভাষায় ব্রিফ করতে পারেন! পররাস্ট্র উপদেষ্টা অধিকাংশ সময় বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। ব্রিফিং শেষে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রম গুলো সঠিক ভাবে উপদেষ্টা মহোদয় তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে বেশিরভাগ সময় চাটুকার ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হয়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কারো সুপারিশে নিয়োগ পেয়েছেন কিনা এখন তা জানা সম্ভব নয়। তবে তিনি আওয়ামী লীগের প্রশাসনে কাজ করেছিলেন। তার থেকে অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি বাংলাদেশে ড. ইউনূস কি খুঁজে পান নাই ? নিজেদের অবস্থান ঠিক ভাবে তুলে ধরতে না পারার কারণে বিদেশি এম্বাসী গুলো থেকে সঠিক নিউজ বাংলাদেশের বন্ধু দেশ গুলোর নিকট পৌছায় না। এতে সামগ্রিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ !
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



