
সিরিয়া মুক্ত হলো, নাকি সিরিয়া পূর্ণ দখল হয়ে গেল? এই সিরিয়াতে যে সরকার ছিল সেটা ইরান ও রাশিয়াপন্থী সরকার। এই সিরিয়ার মাধ্যমেই হিজবুল্লাহ ও হামাসকে অস্ত্র সরবরাহ করতো রাশিয়া এবং ইরান এবং এই সিরিয়ার সরকারকে টিকিয়ে রেখেছিল হিজবুল্লাহ ও রাশিয়ান সেনাবাহিনী। এখন হিজবুল্লা ইসরাইলের সাথে যুদ্ধরত এবং অন্যদিকে রাশিয়া তাদের পর্যাপ্ত সেনা পাঠাতে পারছে না ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আর এই সুযোগে আমেরিকা-ইসরাইল-তুরস্ক এই বিদ্রোহীদের কাছে অস্ত্র পাঠিয়ে সিরিয়াকে দখল করলো, যাতে ইরান আর রাশিয়া হিজবুল্লার আর হামাসকে যাতে আর কোনো অস্ত্র পাঠাতে না পারে। সিরিয়ার পরাজয়ে হামাস আর হিজবুল্লাহ ধ্বংস হয়ে যাবে। এই জয়ের সবচেয়ে সুবিধা পাবে ইজরাইল।
অলরেডি সিরিয়ার গোলান হাইটে ইতিমধ্যেই ইসরাইল ঢুকে পড়েছে, অস্ত্রাগারে অভিযান চালাচ্ছে। লাস্ট ৫০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম সিরিয়ার বর্ডার ক্রস করেছে ইজরাইল।গ্রেটার ইজরাইল এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। অথচ, দামেস্ক দখলের পরে, সেখানে সিরিয়ার এইচটিএস প্রধান বলেছে, ইজরাইলসহ তারা সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে । একইসাথে ইজরাইলকে আহবান করেছে তাদের পরিপূর্ণ সহায়তা করার জন্য। ভেরি স্ট্রেঞ্জ!
শুধু ইজরায়েলের একার লাভ না,বড় লাভ হলো ইউরোপের। রাশিয়ার তেল গ্যাস দিয়ে ইউরোপের জ্বালানি চলে, এখন কাতার থেকে সিরিয়া হয়ে পাইপলাইন ইউরোপ যাবে মানে রাশিয়ার একক নির্ভরতা শেষ হবে। যেটা এতদিন বাসার আল আসাদ অনুমতি দেয় নাই। রাশিয়া এতদিন এই কারণে বাসার আল আসাদকে প্রটেকশন দিয়ে রেখেছিল। এক আসাদের পতনে বহু গোল একসাথে হয়ে গেলো।
যা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অশনিসংকেত।
কোন রাস্ট্র দখলে সে দেশের শাষক যদি বাধা হয় তবে প্রথমে তাকে স্বৈরাচার, ফ্যসিস্ট আর মৌলবাদী দের ভাষায় জা’লিম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা আমেরিকার ডেমোক্রেটিক পার্টি ও ইসরাইলের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। এটাই মূলত তাদের “ম্যাটিকিউলাস ডিজাইন” যা বিভিন্ন মাধ্যমে পরিচালিত করে।
এটিই তাদের ডিপ স্টেট পলিটিক্স
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



