
আজ বিমান বাহিনীর বার্ষিক মহড়ায় এমনটাই বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এমন বক্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন বাংলাদেশ কি তবে মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ করতে চায় ? মানবিক করিডোর দেয়া নিয়ে দেধের মধ্যে চলছে নানা রকম হিসাব নিকাশ। রাজনৈতিক দলগুলো হালকার উপর ঝাপসা প্রতিবাদ করছে। ইন্টেরিম সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা একরকম বলছেন তো প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অন্যরকম কথা বলছেন।
রাখাইন রাজ্যে সহায়তার জন্য মানবিক করিডোর দিলে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে অনেকে আশংকা করছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে দুই দেশের সমঝোতা ছাড়া এমন মানবিক করিডোরের সুযোগ খুবই সীমিত। অধিকাংশ এনালিস্ট দের মত হচ্ছে জান্তা সরকার যদি মানবিক করিডোরে বিমান হামলা করে তবে বাংলাদেশের যুদ্ধে জড়ানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প থাকবে না। তাই সব দিক বিবেচনা করে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের স্বশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিমান বাহিনী সবচেয়ে দূর্বল। পুরো বিশ্বের সিচুয়েশন খুবই নাজুক। প্রতিটি দেশের প্রধানরা চান তাদের স্বশস্ত্র বাহিনী যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকুক। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা এমনটাই বুঝাতে চেয়েছেন। স্বশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কাজ হচ্ছে যুদ্ধ করা। আবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের দামামা বাজছে। আমাদের আশেপাশে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এমতাবস্তায় নিজ দেশের বাহিনীকে মোটিভেট করতেই এমন শক্ত কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা !
বাংলাদেশের জনগণ ব্যস্ত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে। হয়তো সে দিক মনোযোগ সরাতে প্রধান উপদেষ্টা এমন কথা বলে থাকতে পারেন । সকাল বিকাল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে কত গুজব আমরা শুনতে পাই, দেখতে পাই ! অথচ নিজ দেশের হালচাল নিয়ে তেমন কারো মাথাব্যথা নাই। আলুর দাম কম পাওয়াতে কৃষকের আত্নহত্যা, পুজিবাজার থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা এক মাসে উধাও, আইএমএফের কিস্তি আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা, দেশে নতুন করে ৩০ লাখ দারিদ্র্যতার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ও বিনিয়োগ আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যাচ্ছে কিন্তু এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না।।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




