ইন্টেরিম সরকার দেশ ব্যাপী মারাত্মক সংস্কার শুরু করেছে। সে সংস্কারের অংশ হিসাবে ' মুজিব : একটি জাতির রূপকার ' ছবির সাথে সম্পৃক্ত লোকজনকে সাইজ করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তারই অংশ হিসাবে গতকাল মুজিব ছবিতে অভিনয় করা কুখ্যাত ক্রিমিনাল, হলি আর্টিজান হামলার নীল নকশাকারী, হানি ট্রাপে ফেলে আসিফ স্যার এবং উনার স্ত্রীর মধ্যে ফাটল সৃষ্টিকারী নারী নুসরাত ফারিয়া কে বিমান বন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে বাকি সব ক্রিমিনাল কে গ্রেফতার করা হবে !
নায়িকা নুসরাত ফারিয়া কে গ্রেফতারের পর নেক্সট টারগেট হিসাবে সামনে যাদের নাম আসছে তারা হলো : নুসরাত ইমরোজ তিশা ওরফে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও আরেফিন শুভ ওরফে শেখ মুজিবুর রহমান। সংস্কৃতি উপদেষ্টা পরবর্তী গ্রেফতারের লিস্ট দেখে আঁতকে উঠেছেন। উহার বেটার হাফ গ্রেফতারের তালিকায় প্রথম স্থানে আছেন। ফারুকী সাহেব বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন। সংবাদ সম্মেলনে উহা নিজের ছাল বাচাতে সরকারের অংশ হয়েও নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এদিকে ভিতরে ভিতরে আসামীর তালিকা চেঞ্জ করার জন্য তৎপর হয়ে উঠলেন তিনি। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির আর কার কার বিরুদ্ধে মামলা আছে উহা খোজ করতে শুরু করলেন। জায়েদ খান নামে একজন অভিনেতার খোজ পাওয়া গেল।
জুলাই অভ্যুত্থানের পর অভিনেতা জায়েদ খান আজ পর্যন্ত দুইটি মামলা খেয়েছেন। উহার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তিনি খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা করেছেন। আর বিএনপির কর্মী শ্রাবণ মিরপুরে আন্দোলনের সময় হত্যার অভিযোগে দ্বিতীয় মামলা খেয়েছেন। ফারুকী ডিএমপি পুলিশ কমিশনার কে ফোন দিয়ে তিশার নাম কেটে নেক্সটে তার জায়গায় জায়েদ খান কে গ্রেফতার করার জন্য অনুরোধ জানান। পুলিশ কমিশনার ফারুকীকে বলেন, " স্যার, আসিফ স্যারের অনুমতি ছাড়া আমরা কিছুই করতে পারবো না "। সংস্কৃতি উপদেষ্টা তখন আসিফ স্যার কে ফোন দিলেন। আসিফ স্যার তখনও মন্ত্রণালয়ে বসে কাজ করছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টার ফোন পেয়ে বিরক্ত হয়ে তিনি বললেন, " ওহে ফারুকী, তোমার না হয় তেমন কোনো কাজ নেই কিন্তু আমার তো অনেক কাজ ! " ফারুকী ভয়ে ভয়ে বললেন, " স্যার একটা ক্রিটিকাল সমস্যায় আছি। আমার স্ত্রীকে পুলিশ যে কোনো সময় গ্রেফতার করতে পারে। আমার অনেক সাধনার ধন আমার এই স্ত্রী ! মাথায় অল্প বয়সে চুল পড়ে গিয়েছিল বলে কোনো মেয়ে বিয়ে করতে চাইতো না। তখন তিশা যদি আমাকে বিয়ে না করতো তবে এখনো চিরকুমার সংঘের সদস্য থাকা লাগতো আমায় " ! আসিফ স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, " তোমার স্ত্রীকে কি অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করবে? " ফারুকি উত্তর দেয়, "মুজিব : একটি ছবির রূপকার ছবিতে ফারিয়ার মায়ের চরিত্রে তিশা অভিনয় করেছে ! " আসিফ স্যার বিরক্ত হয়ে বললেন, " কি দরকার ছিলো একটাকা পারিশ্রমিকে অভিনয় করার? " ফারুকী অনুনয় করে বললেন, " দেখেন না স্যার কিছু করা যায় কিনা? আমি তিশার বিকল্প হিসাবে অন্য একজনকে গ্রেফতার করে বোকা বাঙালিকে ব্যস্ত রাখার জন্য নাম সিলেক্ট করে এনেছি "। আসিফ স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, " কার নাম এনেছো দেখাও দেখি ! "
ফারুকী তখন জায়েদ খানের ছবি দেখায় আসিফ স্যার কে। আসিফ স্যার দেখেই আঁতকে উঠে বললেন, " এ কে গ্রেফতার করা যাবে না। এ আমার ইউনিভার্সিটির ছোট ভাই ! একে গ্রেফতার করলে হাসনাত ক্ষুব্ধ হয়ে রাজুতে আয় স্লোগান দিতে পারে। একে গ্রেফতার করা যাবে না। " ফারুকী দুষ্টমীর হাসি দিয়ে বলে, " স্যার, জায়েদ খান বিরোধী পক্ষের লোক ! কেউ কিছু বলবে না। " আসিফ স্যার বললেন, " একে গ্রেফতারে অন্য একটা সমস্যা আছে। সে মুজিব ছবিতে অভিনয় করলেও ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেছে। টিক্কা খানের রোল প্লে করেছে জায়েদ খান । তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে পারি না "। ফারুকী হতাশ হয়ে ফোন রেখে দিলেন। এদিকে আসিফ স্যার জায়েদ খানের ফটো দেখতে দেখতে বললেন, " জায়েদ, তোমার মাথায় ভালোই চিকন বুদ্ধি আছে। বুঝে শুনেই তুমি এমন চরিত্রে অভিনয় করেছো ! "
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯