
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন সংগীত শিল্লী নিয়োগ দেয়ার বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে তা নিয়ে নাখোশ হয়েছেন শায়েখ আহমাদুল্লাহ এবং মিজানুর রহমান আজহারী। উনার বক্তব্য হলো সংগীত শেখা জনআকাঙ্খা বিরোধী। বাংলাদেশের নব্বই ভাগ মানুষ তার সন্তান কে সংগীত শেখাতে আগ্রহী নন। তারা চায় ছেলেমেয়েরা ধর্মীয় জ্ঞান শিখুক। পরিবর্তে বিশেষায়িত ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা। এসব ভিনদেশি কালচার শিখে ছেলেমেয়ারা বখে যাচ্ছে। কিশোর গ্যাং ও মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। উনাদের বক্তব্য নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই।
একবার বিটিভিতে সাক্ষাৎকার শুনছিলাম ড.মুহাম্মদ জাফর ইকবালের। ফ্যাসিবাদের দোসর তকমা পেয়ে তিনি এখন কোনো গর্তে লুকিয়ে আছেন। স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা ছিলো ছোটকাল থেকেই কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্বংস ও কোটা আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার পক্ষ নেয়াতে এখন উনার প্রতি ভালো ধারণা রাখি না। স্যার উক্ত অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের পাঠানো কিছু চিঠিপত্রের উত্তর দিচ্ছিলেন। একটা চিঠিতে স্যার কে প্রশ্ন করা হয় যে জনৈক শিক্ষার্থী সংগীত ও নাচ খুব ভালোবাসে। কিন্তু শিক্ষার্থীর বাবা-মা চায় সে ডাক্তার হবে। শিক্ষার্থী তার বাবা-মা কে বুঝিয়েছে যে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চায়;ডাক্তার হতে চায় না।
শিক্ষার্থীর বাবা-মা বলেছে যদি তার প্রিয় লেখক জাফর ইকবাল বলেন যে সংগীত ও নাচ ক্রিয়েটিভ কাজ তবে তারা আর বাধা দিবেন না। আর যদি জাফর স্যার বলেন যে সংগীত ও নাচ কোন ক্রিয়েটিভ কাজ না তবে উক্ত শিক্ষার্থীকে বাবা-মায়ের কথা শুনতে হবে। স্যার চিঠি পড়ে হেসে হেসে বললেন " নাচ-গান কোনো ক্রিয়েটিভ বিষয় না একমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করলে ক্রিয়েটিভ কিছু ভবিষ্যতে করা সম্ভব।" জাফর ইকবাল স্যারের মুখে এমন বক্তব্য শুনে উক্ত শিক্ষার্থীর কি অবস্থা হহয়েছিল সেটা জানার সুযোগ হয়নি। কিন্তু আমার মন খারাপ হয়ে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



