
নেপালের জেন-জি প্রজন্ম নেপো কিড নামে রাস্তায় নেমে নেপালের সরকার কে ইনকিলাব জিন্দাবাদ করে দিয়েছে। নেপালের করাপ্ট এমপি মন্ত্রীদের প্যান্ট খুলে নাঙ্গা করে পিটিয়েছে। কত বড়ো সাহস তাদের যে জেন-জিদের প্রাণ ভোমরা তেইশটি গুরুত্বপূর্ণ app নেপালের সাবেক সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। পেটে দানা পানি না পড়লেও হবে তবে ইন্টারনেট ছাড়া জেন-জি চলতে পারবে না। নেপালের সরকারের মতো বাংলাদেশের সরকার ও সেইম কাজ করেছিলো। জুনায়েদ হোসেন পলক এখন সে জন্য টানা ৩৫ দিন রিমান্ডে থাকেন। যা হোক নেপালের সরকার পতনে যত না সে দেশের সরকার সমর্থিত লোকজন অনলাইনে হাউকাউ করছে তার চেয়ে বেশি হাউকাউ করছে আওয়ামী লীগ। তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে জেন-জি একটা জম্বি জেনারেশন। এদের দেশের সংবিধান, জাতীয় পতাকা কিছুর প্রতি সম্মান নেই। আসলে জেন-জির হাতে ধোলাই খেয়ে সেটা এখনো ভুলতে পারছে না। জেন-জিদের নাকি দেশের শিল্প সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার কিছুই ভালো লাগে না। তারা উন্মাদ!
আওয়ামী লীগের কিছু ইন্টেলেকচুয়াল বলছেন জেন-জিদের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে তারা ইউনুস সরকার ও বিএনপি-জামাত কে পালটা মাইর খাওয়াবে। তাদের মতে জেন-জিরা চায় কেবল ভালো ভালো খাবার, যৌনতা, টাকা ও বিলাসি জীবন। ইউনুস সরকার কিংবা বিএনপি-জামাত সেটা দিতে পারবে না। কারণ লুটপাট করে দেশের বারোটা তো তারা বাজিয়ে গেছে। জেন-জি কে টাইমিং দিয়ে আওয়ামী লীগ কে কাজে লাগাতে হবে তার প্রতিপক্ষ কে পরাজিত করতে। এখনই থেকে সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।
নেপালের সরকার ও আওয়ামী লীগের মাঝে কমন হচ্ছে দুইটা সরকারই করাপ্টেড। জেন-জিরা কেবল সেটার প্রতিবাদ করেছে তাই এরা জম্বি জেনারেশন। তুমি কর্মসংস্থান, সঠিক পরিবেশ দিতে পারবে না আবার বলবে তারা বখে গেছে। তুমি প্রশ্নফাঁস করে তাদের পরীক্ষা নিবে, লাখ লাখ টাকা কামাবে আর বলবে এরা কিছুই শেখে না। লাখ টাকা ঘুষ খেয়ে টিচার নিয়োগ দিবা আর সে যদি ইংরেজি শিখাতে না পারে দোষ হয়ে যাবে জেন-জির। জেন-জি শুরু হয়েছে সাল ১৯৯৭ থেকে। এরা নাকি কেবল সেক্স সেক্স করে বেড়ায়! আর আগের জেনারেশন গুলো বিয়ের পর নারী-পুরুষ মনে হয় প্লেটোনিক লাভ করতো। জনসংখ্যা মনে হয় জেন-জির কারণে বেড়েছে ! বাকিদের সেক্স, চাকুরি এসব কিছুই লাগতো না। তারা হাওয়া খেয়ে জীবন পার করতো।
নেপালের জেন-জিরা সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছে তারা কোনো সহিংস আন্দোলন করেনি। তৃতীয় পক্ষ সাবোটাজ করে এসব করেছে। নেপালের জেন-জি যথেষ্ট ম্যাচুরিটির পরিচয় দিয়েছে। তারা একজন নারী বিচারক কে প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে চেয়েছে। ইহার চেয়ে উত্তম সিদ্ধান্ত কি হতে পারে? একজন বিচারকের যে দৃষ্টিভংগী সেটা অমূল্য সম্পদ জাতির জন্য। সে বিচারক ছিলেন করাপশনের বিরুদ্ধে ভয়ানক সোচ্চার। উনাকে ওলি শরমার সরকার সে জন্য বহিস্কার করেন। সেই নারী বিচারক সিস্টেমের কোনায় কোনায় যে সব ভূত রয়েছে তাদের কে চিনেন। আমাদের দেশেও এমন কাউকে দরকার ছিলো। প্রফেসর ইউনুস সাহেব বাংলাদেশের মানুষকে সঠিক ভাবে চিনেন না। তিনি বেশিরভাগ সময় বিদেশে কাটিয়েছেন। ন্যায় অন্যায় বোধ উনার কম। তিনি একজন পাকা বিজনেসম্যান। দেশ চালানোর জন্য বিচারক আমার কাছে সবসময় বেশি প্রেফার পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



