
সৎ লোকের শাসন চাই বলে তুবড়ি ছোটানো দল জামাতের আজ কি হলো? তারা কেন চাঁদাবাজদের নিজ দলে ভিড়াচ্ছে? বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যাকে চান্দাবাজির জন্য বহিস্কার করলো তাকেই কেন জামাতের এত পছন্দ হলো? আসলে এগুলা হচ্ছে জাশির স্লিপার সেল। অন্য দলের নামে আকাক কুকাম করে তাদের নাম খারাপ করার জন্য কিছুসময়ের জন্য তারা জামাত থেকে দূরে ছিলো। দায়িত্ব পালন শেষে এখন আবার নিজ দলে ফিরে যাচ্ছে ভাইলোক।
বিএনপির ভিতরে পঞ্চাশ থেকে ষাট ভাগ জামাতের লোকজন ঢুকে বসে আছে। আচ্ছা আবরার হত্যার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামীর কি খবর? তাকে ধরা যাচ্ছে না কেন? এদিকে বিএনপির যারা জেন-জি তারা বিএনপির কিছু একটিভিস্ট ও তারেক রহমানের দেশে না আসা নিয়ে ক্ষুব্ধ। দোষ করে সেটা গোপন করার মতো কৌশল বিএনপির মধ্যে কম। বিএনপি পন্থী জেন-জিরা জিয়াউর রহমানের জামাত কে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া উচিত হয় নি বলে মনে করে। তাদের আশংকা সে দিন হয়তো বেশি দূরে নয় যে জিয়াউর রহমান কে মুক্তিযুদ্ধের দায়ে ভারতের দালাল বলা জামাত শিবির শুরু করবে।
বাংলাদেশে মিডিয়া সেক্টরে আওয়ামী লীগের পরেই জামাতের অবস্থান। বিএনপি এই সেক্টরে যোজন যোজন দূরে পিছিয়ে রয়েছে। জামাতের বেতনভুক্ত কর্মচারী আছে সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্য করার জন্য। নতুন নতুন কনসেন্ট ম্যানুফাকচারিং এর জন্য। আওয়ামী লীগ যত বেশি বার বিএনপিকে চাঁদাবাজ বলছে জামাত তার থেকে এক ডিগ্রী উপরে। জামাত এখন প্রায়শই হুংকার দিচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে বিশাল আন্দোলন গড়ে তুলবে। এই আন্দোলন দেখার শখ আমার বহুদিনের। জাশির এক বিশাল আন্দোলন দেখেছিলাম ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর। একদিকে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে দমন পীড়ন করছে অন্যদিকে জামাত পুলিশ কে লাল গোলাপ দিচ্ছে। বিএনপি এক বালুর ট্রাক সরাতে পারেনি বলে কত রকমের কটাক্ষ করে জাশি। এদিকে নিজেরা মগবাজারের ২০০ টেকা দামের তালা ভাঙতে ষোল বছর পার হয়ে গেলো। মগবাজারর পীর দের কি বেদম পিটিয়েছে সেটা কেবল তাদের পরিবার জানে। আজকে একটু সুদিন দেখতেই সব ভুলে বসে আছে জামাত।
জামাত-শিবির ইউনুস সাহেব কে আরো পাচ বছর দেখতে চেয়েছিলো। কিন্তু সে আশা তাদের পূর্ণ হওয়ার পথে প্রধান বাধা আমেরিকা। এই কথা জামাত শিবির ও জানে। কিন্তু তারা ক্রমাগত দোষ দিচ্ছে তারেক রহমান কে। আবার জামাতের আমীর ইউনুস সাহেবেরও আগে তারেক রহমানের সাথে দেখা করে এসেছে। এই দলের কাজকর্ম সবসময় এমনই। ডাকসু/জাকসু তে জয়ী হয়ে তারা আকাশে উড়ছে। কিন্তু সারাদেশে মাজার ভাঙার জন্য বেরেলভিদের ভোট তাদের কমে গেছে; সনাতনীরা জামাত কে ভোট দিবে না। এত বিপুল সংখ্যক ভোট তারা আগেই হারিয়ে বসে আছে সেটা নিয়ে কোন চিন্তা নেই।
জামায়াত আওয়ামী লীগের ভোট টানার চেষ্টা করছে। বিএনপি এক্ষেত্রে ফজলুর রহমান কে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে গেছে। ফজলুর রহমান কে নিয়ে যে মেয়ে স্লোগান দিয়েছিলো "টিনের চালে কাউয়া, ফজলু আমার শাউয়া" তাকে পুলিশ চাদাবাজির জন্য গ্রেফতার করেছে। সে আবার বাগছাস নেত্রী। এনসিপির ছাত্র সংগঠন হিসাবে বাগছাসের ভরাডুবি হয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। এনসিপিও তেমন ভালো পজিশনে নেই। এখন বিএনপির সাথে জোট করতে তাদের বেশি আগ্রহী বলে শোনা যাচ্ছে। জামায়াত কে আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিবে আগামী নির্বাচনে? খাটি লীগাররা দিবে না তবে যেগুলো জামাত থেকে লীগে গেছে স্লীপার সেল হয়ে তারা অনেকে দলে প্রভাব তৈরি করেছে। তাই যখনই এমন কেউ ধরা পড়ছে জামাত দৌড়ে গিয়ে তাকে ছাড়িয়ে আনছে।

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



