
একসময় ছিল এক রাজকন্যা, যিনি ভাবতেন তিনি চিরকাল রাজত্ব করবেন। জুলাই মাসে যখন জনতার ঢল তার দরজায় এসে পৌঁছাল, তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে উড়ে গেলেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, উড়ে যাওয়ার পরেও তিনি মনে করেন, "আমি এখনো প্রধানমন্ত্রী!"প্রতিদিন সকালে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি নিজেকে বলেন, "গুড মর্নিং, প্রধানমন্ত্রী!" তারপর কল্পনার মন্ত্রিসভা বৈঠক ডাকেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব ভার্চুয়াল হাজিরা দেন, "ম্যাডাম, আমরা আছি, আমরা সবাই আছি!"কিন্তু বাস্তবতা হলো, ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজেই এখন রাস্তায় বেরোতে ভয় পান। পার্টির নেতাকর্মীরা এমন অবস্থা যে, নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে ।
পশ্চিমা দেশগুলো থেকে নাকি "ভদ্র পরামর্শ" আসছে - "আপা, এবার দায়িত্ব ছেড়ে দিন।" ভারত সরকারও নাকি ভাবছে, "শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে পুরো বাংলাদেশকে হারিয়ে ফেললাম কিনা !" কিন্তু আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী? তিনি কানে তেল দিয়ে বসে আছেন। "আমি দলের নেত্রী, আমি চিরকাল নেত্রী !" সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, ২০০৯ সালে যে সন্ত্রাস দমন আইন পাস করে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের জেলে পুরেছিলেন, সেই একই কালো আইন এখন তার নিজের দলের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে !
আত্মীয়স্বজনরা নাকি বুদ্ধি দিচ্ছেন, "তুমি দলের নেত্রী থেকো।" আর সেই "পাগল" নেতাকর্মীরা এখনো আস্থা রাখতে চান তাতে! এমনকি ১৫২টি মামলা মাথায় নিয়েও বলছেন, "আমরা আছি !" বাস্তবতা হলো, দলের অবস্থা এখন মুসলিম লীগের মতো হতে চলেছে। কিন্তু এই "অন্ধ প্রেমিকরা" সেটা বুঝতে পারছেন না। অবশ্য, যে পরিমাণ "মাল-পানি" কামিয়েছেন, তাতে পরিবার নিয়ে কষ্টে থাকার কথা নয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে ১৫২টি মামলা, জুলাই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ - এসব কি টাকা দিয়ে মেটানো যাবে ?
এই হলো আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান অবস্থা। দিল্লিতে বসে স্বপ্ন দেখছেন ফিরে এসে আবার ক্ষমতায় বসার। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশে তার নামেই এখন ১৫২টি মামলা ! ইউনূস সাহেব চলে গেলেই নাকি ফিরে আসবেন? হ্যাঁ, হয়তো ফিরবেন - তবে হাতকড়া পরে, বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর জন্য!
আরো ডিটেইল জানতে লিংক : https://mzamin.com/news.php?news=181822
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



