-গিটার কাধে নিয়ে সারাদেশ ঘুরবো। বাসের ছাদে বসে গান বাজাব। পাখিরা সুর দিবে, অন্তরায় আমি। বের হব কোন এক ফাগুনের সকালে। হালকা বাতাস এসে লাগবে গায়ে। কাঁপব না শিউরে উঠব। কোন ফোন থাকবে না; থাকবে না কোন ফেসবুক অথবা ইন্সটা। যা জমানো ছিল সব শেষে পাঁচশো টাকা রাখব; একটা শাড়ি, একটা কাঠের আংটি আর এক গুচ্ছ গোলাপ কেনার জন্য। সব নিয়ে ফিরে এসে দেখব তুই বিয়ের মঞ্চে বসেছিস। তারপর কি হবে জানিস?
- তখনও বর আসে নি। তোকে দেখে চেয়ার থেকে দাঁড়াব। হাতটা ধরে তোর জন্য বানানো পুথির আন্টি টা তোকে পড়ায়ে দিব। হুজুর ডেকে জোর করে তোকে দিয়ে তিন কবুল বলাব। তারপর তোর হাত ধরে চলে যাব। এবার আমার জমানোটা দিয়ে আবার দেশ ঘুরব। এবার সুর পাখি দিবে না, আমি দিব। আর অন্তরায় তুই। তারপর কি হবে জানিস?
- গান শেষ হবে। তারপর পত্রগুলো বের করব। সেসব তো আমি ব্যাগে নিয়েই ঘুরি। রুদ্র যেমন পত্রগুলো সাজিয়ে রেখেছিল, আমিও তেমন রেখেছি। আমি ধীরে ধীরে সেগুলো পড়ব। তুই কিছু হাসবি কিছু কাঁদবি। তুই তো বিয়ের সাজে সাজবি না তাইনা?
- একদম না।
- তাহলে তোর কাজল দিয়ে চোখ মেখে যাবে। দিনের বেলাতে তোকে ভয়ংকর সুন্দর লাগবে। তারপর কি হবে জানিস?
- লোকে তাকিয়ে থাকবে। বাস চলছে। ছাদে দুইজন বসে আছি। মানুষ কি ভাবল না ভাবল সেসব এতক্ষণ ধরে উপেক্ষা করেছি। আর কিছুক্ষণ। আমার জমানো শেষ হলেই ফিরে যাব আবার বাবা মার আশির্বাদের বৃথা চেষ্টার জন্য। রাজি তো?
- হুম রাজি। কিন্তু আমাকে কেও আটকে দিবে সব থেকে।
- কে?
- আমি; শুধুই আমি। তারপর কি হবে জানিস?
- আমি ছেড়ে যাব না তবুও। আমাদের ছোট্ট একটা ঘর থাকবে..……….............................................................
.........................
*** এভাবেই চলতে থাকে তারপরের গল্পগুলো। একদিন অনুগল্পগুলো বড় হবে। আর উপন্যাস হবে তার হাত ধরে।।।।।।