আমি তো বোতলজাত
ঝাঁকুনি দেবে? দাও–
ঠিকরে বের তো আর হতে পারবো না;
লনের ফোঁয়ারার মতো তো ফুঁসে উঠতে পারবো না;
ঝাঁকাও – তবে ইচ্ছে মতো ঝাঁকাও।
ভেক, কৃত্তিমতা – দেখে দেখে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
পাঁজরের ভেতর ঐ হৃৎপিন্ডের ধুকধুকানির
অস্থিরতা বাড়িয়ে, মস্তিষ্কের উত্তেজনার
মাত্রা ছাড়িয়ে – ঠাঁয় দাঁড়িয়ে;
আমি যে বোতলজাত।
পারতাম তো, প্রতিবাদী হতে –
দমন, নিপীড়ন, অত্যাচার রুখতে –
ভীতু, কাপুরুষের দল তোমরা –
হিঁচড়ে, ঠেঁসে, ঠেলে দিলে আঁধারে –
ঝাঁকাও, আরো ঝাঁকাও – যন্ত্রণা হবে ঠিক –
কিন্তু ফুঁসে উঠবো ঠিকই।
আমি যে বোতলজাত।
ভুল কি জানো? – আমার অস্থির মণিকোটর।
ছন্দহীন হ্রাস-বৃদ্ধি – টের পাও কি তোমরা?
পাবে না জানি – আমার ব্যুহ দেয়াল-ই
করেছে ব্যবধান, অগোচরে পালাবে কোথায়?
আমি যে স্বচ্ছ বোতলজাত!
আরফার রাজী
২৯.০৯.২০১০
রাত ১১.০০
(ছবি : ইন্টারনেট)