somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহমুদুর রহমান
আমার নাম- মাহমুদুর রহমান।কোন কুসংস্কারে বিশ্বাস করি না।যে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করি।নিজের ধর্ম ইসলামকে খুব ভালোবাসি।ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে মানবিক হতে শিখায়,সহনশীল হতে শিখায়,সামাজিক হতে শিখায়।নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি।

শান্তি চাই

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক ব্যক্তি একবার বলেছিলেন, মানুষ তার মহাজাগতিক আইডেন্টিটি ভুলে সোস্যালী কন্সট্রাকটেড আইডেন্টি নিয়ে খুশী।তাই তার ইচ্ছেগুলোও সোস্যালী কন্সট্রাকটেড।কথাটার সত্যতা রয়েছে।বিষয়টা অনেকটা তরুণদের মুখে প্রচলিত," আমি ব্লুটুথ দিয়ে শেয়ারইট নিয়ে ব্লুটুথকেই ভুলে গেলাম; কিংবা এভাবেও বলা যায় যে আমি একজনের মাধ্যমে অন্য একজনের কাছ থেকে একটি বই নিলাম কিন্তু যার মাধ্যমে বই নিয়েছি তাকেই ভুলে গেলাম।এতে পরষ্পরের মাঝে শত্রুতা বাড়ে,বাড়ে অশান্তি।ইসলাম।এই শব্দটি এসেছে সালাম থেকে যার অর্থ শান্তি।আর ইসলামের সংজ্ঞা হলো,আল্লাহর কাছে নিজের ইচ্ছেকে সমর্পণ করার মাধ্যমে শান্তি অর্জন করা। আমরা যদি আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের কথা স্মরন করি তবে আমরা বুঝতে পারবো সে যুগ কতটা অস্থিতিশীল ছিলো।সামান্যতম কারনে নর হত্যা,খোলামেলা জিনা ব্যাভিচারসহ নানান অনাচার বিদ্যমান ছিলো তবে শত মানুষের ভীড়ে কিছুলোক হলেও শান্তির সন্ধান করতো।আর ঠিক এমন সময়ে মহান রাব্বুল আলামিন সর্বশেষ রাসূল ও বান্দা হযরত মুহম্মদ(সঃ) এর মাধ্যমে মহান আল্লাহর অমরবানী আল কোরআন দ্বারা পৃথিবীর মানুষকে শান্তির আহ্বান জানান।দীর্ঘ ত্যাগ স্বীকারের পর অবাধ্য লোকজন শান্তি চুক্তিতে একত্র হয় পরস্পর।শুরুতে শুরুতে সবাই সেই চুক্তিতে স্থির থাকলেও পরবর্তীতে তারা ৪ ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।যেমন-কেউ কেউ আল্লাহর সকল নির্দেশই পুরোপুরিভাবেই মানছে।কেউ কেউ অধিকাংশ মানছে।কেউ কেউ অল্প মানছে।কেউ কেউ তো একবারেই মানছে না।

এই চার ধরনের মানষিকতার লোকেদের ভীড়ে প্রথম সারির লোকদের সাথে যদি দুই তিন ও চার নম্বর সারির লোকেদের তুলনা দিই তবে প্রথম সারির লোকদের সাপেক্ষে বাদবাকীরা অশান্তিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।এখন বাকীরা হয়তো বলবে এটা আমার ওপর নির্ভর করছে।তবে আমি বলবো কথাটা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক নয়।যদি তাদের প্রশ্ন করি একজন আহত ব্যক্তির সুস্থতার জন্য আপনারা কি একজন ডাক্তার অপেক্ষা একজন নার্সের পরামর্শকে প্রাধান্য দিবেন নাকি ডাক্তারের পরামর্শকেই প্রাধান্য দিবেন?তারা সকলেই উত্তর দিবে কখনওই না বরং আমরা ডাক্তারের পরামর্শকেই প্রাধান্য দিবো অধিক।তাহলে যিনি স্রষ্টা তাকে ছেড়ে যদি তার সৃষ্টিকে প্রাধান্য দেন সেটা কি সঠিক না বেঠিক?সকলেই বলবেন বেঠিক।তাহলে স্রষ্টার মধ্যে কোন ভুল রয়েছে যার জন্য আপনারা স্রষ্টাকে কোন কোন ক্ষেত্রে মানছেন আবার কোন কোন ক্ষেত্রে মানছেন না আবার একেবারেই মানছেন না?এবার সবাই চুপ হয়ে যাবে।কেন?কারন তারা জানে না।তাদের সঠিক জ্ঞানটা নেই।এরা এমন এক সম্প্রদায় যে, একজনের কাছ থেকে একটা তথ্য শুনে তা যাচাই বাচাই না করেই সে ব্যক্তির কথায় অন্ধ বিশ্বাস স্থাপন করে।

ধরুন একটা জায়গায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে আর এই সুযোগে পশ্চিমা বিশ্ব ইসলামকে ঢালাওভাবে দোষারপ করছে।আর সাধারন মানুষ তথ্যের সত্যতা যাচাই না করেই মিডিয়ার কথাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছেন।এখন এই সকল মানুষকে আপনি কি বলবেন? ইতর, অসভ্য, বিবেকহীন।আবার ধরুন শাহেদ আপনাকে এসে বললো রাজীব নূর আপনাকে গালি দিয়েছেন এখন আপনি যদি শাহেদের কথার সত্যতা যাচাই-বাচাই না করেই রাজীব নূরের প্রতি হামলে পড়েন তাহলে আপনার নীতি সঠিক নয়।এমনও তো হতে পারে রাজীব নূরের প্রতি শাহেদের একটা বিদ্বেষমূলক মনোভাব আছে তাই সে প্রতিশোধ নিতে আপনাকে মিথ্যা কথাটা বলেছেন। আপনি যদি ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন পড়েন তাহলে বুঝবেন আমেরিকা একটা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে ইসলামকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।কারন পৃথিবীর বুকে দ্রুত ক্রমবর্ধমান ধর্মটাই হচ্ছে ইসলাম।যেখানে শান্তি অর্জন কথা বলা হয়েছে আর সে জন্য উপায়ও বলে দেয়া হয়েছে।আর এমন কোন মানুষ খুঁজে পাবেন না যে শান্তি চায় না।প্রতিটি মানুষই শান্তি চায়।তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন।একদল আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে শান্তি চায় আর অন্যদল শয়তানের কাছে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে শান্তি চায়।এখন প্রশ্ন হলো এদুজনের মধ্যে কে ভালো?যদি জানতে চান তবে বিচার করুন।

১।আল্লাহ্ বলেছেন তোমরা নিরপরাধ মানুষ হত্যা করো না এদিকে শয়তান বলছে মানুষ হত্যা করো।
২।আল্লাহ্ বলেছেন তোমরা অসহায়কে সহায়তা দান করো তাহলে আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি সহায়ক হবেন, যেখানে শয়তান বলছে ভুলেও একাজ করা যাবে না কারন এটা মিথ্যে (নাঊযুবিল্লাহ)।
৩।আল্লাহ্ বলেছেন তোমরা অবৈধ মেলামেশা করো না অন্যদিকে শয়তান বলছে এটা কোন ব্যাপারই না।
৪।আল্লাহ্ বলেছেন তোমরা অনর্থক কথা বলবে না তবে শয়তান বলছে এটা সঠিক কাজ।
৫।আল্লাহ্ বলেছেন তোমরা আল্লাহ্ ও তার রাসূলের কথা মেনে চলো যেখানে কোন ভুল নেই অথচ শয়তান বলছে পুরোটাই ভুল (নাঊযুবিল্লাহ)।

এছাড়াও আরও অনেক কথা আছে।এখন আপনি নিজেকে আল্লাহ্ ও শয়তানের মাঝখানে রেখে বিচার করুন কে সঠিক?একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে বলবেন অবশ্যই আল্লাহই সঠিক এবং নির্ভুল।মহান আল্লাহ্ বলেছেন, তোমরা পুরুষ ও নারী উভয়ই পর্দা করো।আর কয়েকজন ব্লগার বলবেন নারী-পুরুষ যার যার ইচ্ছে মত চলবে।আমি এটাকে ব্যাখ্যা করতে যাবো না কারন ইতিপূর্বে অনেকবার ব্যাখ্যা করেছি।বাবা-মায়ের অবাধ্য সন্তানকে আপনি যদি বলেন সে ইতর,বেয়াদব তবে এই সকল ব্লগারদের আমি ইতর বেয়াদব বলতে ন্যূনতমও কুণ্ঠাবোধ করবো না।আর এই সকল মানুষের জন্যই রয়েছে মহা আযাব যা তারা স্বচক্ষে কখনও দেখেনি।মহান আল্লাহ্‌ পবিত্র কোরআন সুরা বাকারার ৬-৭ নম্বর আয়াতে বলেন,

নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

আর যারা শান্তিকামী তাদের জন্যও মহান আল্লাহ্‌ বলেন,
[সুরা বাকারাহ আয়াত ৩-৫]

যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি তাদেরকে যে রুযী দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে
এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে। আর আখেরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।


কাজেই আমাদের উচিৎ আমাদের রবের নির্দেশগুলো মনে ধারন করা এবং তদানুযায়ী আমল করা।তবেই প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা কিংবা অর্জন করা সম্ভব।

ইসলামের ডায়েরী থেকে বলছি_ ৫ম পর্ব
মাহমুদুর রহমান।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা শহর ইতিমধ্যে পচে গেছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



স্থান: গুলিস্থান, ঢাকা।

ঢাকার মধ্যে গুলিস্থান কোন লেভেলের নোংড়া সেটার বিবরন আপনাদের দেয়া লাগবে না। সেটা আপনারা জানেন। যেখানে সেখানে প্রসাবের গন্ধ। কোথাও কোথাও গু/পায়খানার গন্ধ। ড্রেন থেকে আসছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×