জীর্ণ এই ধরনীর কোণায় ঝরে পড়া
সভ্যতার এক অপবিত্র তরল বিন্দু,
বিকশিত হয় - শত দীর্ঘশ্বাস, লাঞ্ছনা
আর করুণার চুইয়ে পরা পুষ্টি নিঙড়ে ;
আশায় তার স্বপ্নসিন্ধু।
ক্রমে বেড়ে ওঠে পরগাছা (জারজ বিটপী)
রূপী পরিচয়ে-
সম্ভাব্যতায় সন্ধিহান, প্রত্যাশায় ম্লান,
অঙ্কুরিত হয় কিশলয়ে ;
কত ঊর্ণতন্তু সুপ্তি খেলার সোনার কাঠি
কোরে সেই নিষ্প্রাণ তরু,
আনিশ্চয়তার পিঠে বৃদ্ধাঙ্গুলিএঁটে,
দুর্ভাগ্যের মুখে লাগাম গুঁজে,
অনুরণন তোলে -
এক জীবন বলিরেখারর শুরু।
প্রথম কিরণ আভা, ধোঁয়াশার
হৃদয় বিদীর্ণ করে,
বিলিয়ে দেয় আলতো স্পর্শ, বর্ধিষ্ণু
তরুর শুক্লপক্ষে।
ক্রমেই লয় আশ্রয়,
উদ্বাস্তু ধুলিকাগুচ্ছ ;
বিবর্ণ পিপীলিকা আর পরিচয়হীন
কিছু প্রাণ,
লক্ষ্যে বিটপীর মূলগুচ্ছ।
হিমাদ্রীর আর্দ্র ভাষ্য, ডানপন্থী
পবন-পরশ করে জাগ্রত,
অনর্থক কিছু দুঃস্বপ্ন মাখা, পরিণয়হীন
প্রণয় পঞ্চায়েত অবিরত।
সহসাই যাত্রাপথ আগলে, শনি হয়ে
মহাকাল-কন্টকরূপী বর্ম এঁটে;
মুছে দিয়ে চায় আগমন-বিচরণ
স্মৃতিসমেত বিটপীর নাম-
ইতিহাসের বুক হতে।
নির্বাক দৃষ্টি হয় পেরেশান
যখন করে অনুধাবন,
হননকর্তা আর কেহ নয় তাহার
সৃজন নিমিত্ত স্বয়ং ;
প্রশ্নাতুর চিত্তে, অশ্রুবারির
গোপন সৎকার শেষে,
সংশয়কে পুঁজি করে অপেক্ষায় রয়
নিষ্প্রাণ হইবার আশে।
বেহুলা তরু নিরুপায় অতি
ব্যক্তি স্রষ্টার ইচ্ছার পানে,
কুর্নিশে বাধ্য সে, স্রষ্টার
অন্তঃকরনের বিলাস-বাসনে।
তবুও লয়না অভিসম্পাতের বাণী মাত্র ;
কেননা,
সৃজকের নিকট সৃজন লীলা নিমিত্ত।
সৃষ্টির তরে তর্জনী উত্তোলন-
স্রষ্টার অধিকার একান্ত।
তাহার বিলুপ্তি সাধন,
স্রষ্টারই আওতাধীন -
ইহার সম্মুখে সৃষ্টির বিমূঢ় ক্রন্দন
মাত্রই অর্থহীন।।