প্রস্তাব! তুমি কি শিল্পীর তুলির আলতো ছোয়া?
নাকি প্যালেটের ভিতর জমাট বাঁধা
সদ্যাতিত কিছু রঙের খেলা!
তুমি কি প্রিয়ার দোপাটের শুভ্র মায়া?
নাকি ঊষার লগ্নে সর্ব সন্তর্পনে
পতিতার হাতে জলছাপ আঁকা নোট গুঁজে দেয়া?
উত্তর সন্ধিতসে বিভোর-
এই তপ্ত,ভগ্ন অধম!
কেবলি হনিয়াছে, কভু হারায়েছে
দিশ! হেনেছে জিজ্ঞাসু মাতম।
তবু হয়নি সমাধা! কদাচিৎ আজও বিবেকের
শাসে ভাবি- ভূত -নাকি সে স্মৃতির রোমন্থন!
আজও হই আনমনা- বিচূর্ণ অতীত ডায়রীর
আঠালো পাতা আজ দানিয়াছে আস্ফূট ক্রন্দন।
রয়নি অস্পর্সিত কিছু! উতপাটিত
কত ধূলীর স্তর! আশ্বাদিলাম
কত শত তনয়া মাধুর্জ! পরশ নিলাম
পুনঃ পুনঃ শিহরনের তুংগে বর্তা কোমল পিঞ্জরপিন্ড;
আধারের কালশিরার মহিমায় ভন্ড-
আমি, নিয়ে রাধিকা-শুভ্র-ধুসর বা কৃষ্ণ;
সবার একই রহস্য।
আজ রিক্ত-দোলহারা এই জীয়া,
ছন্দভুখা হৃদ টাইগ্রীসের সে অর্কেস্ট্রা।
জিজ্ঞাসে অমর আমি প্রস্তাব তুমি হয়ত চিরগুপ্ত
ভিঞ্চির মরম নয়ত আবোধ্য দৈব বার্তা!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫