মেয়েটি প্রতিদিন অফিস শেষে নিয়ম করে ঐ জায়গাটায় এসে বসে। ঐযে.. উঁচু স্কাইস্ক্র্যাপারটা আছে না? যার গা বেয়ে বৃষ্টির মতন আলো ঝরে পড়ে। ঠিক তার উলটো পাশে শান বাঁধানো ফুলগাছের বেদিটায় বসে মেয়েটি রোজ অপেক্ষা করে তার জন্য।
একেকদিনের অপেক্ষার গল্পগুলো কিন্তু একেক রকম নয়। সেই একই গল্প... একঘেয়ে। মেয়েটি অপলক তাকিয়ে থাকে তার পথের পানে। চোখের পলক ফেলতে ভয় পায়; যদি সে এসে চলে যায়! আশেপাশের মানুষগুলো তাকিয়ে থাকে মেয়েটির দিকে। কেউ আড়চোখে, কেউ ড্যাবড্যাবে চোখে। পড়ার চেষ্টা করে মেয়েটির মনের ভাষা। কার জন্য এই আকূল প্রতীক্ষা?
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে একসময় সে আসে। আর মেয়েটি অপেক্ষার অভিমান ভুলে ছুটে গিয়ে হাতের ইশারায় জানান দেয় নিজের অস্তিত্ব। নিজেকে সঁপে দেয় তার মাঝে। তারপর দু’জনে মিলে দুর্নিবার গতিতে ছুটে চলে গন্তব্যের পানে।
.
.
গল্পের মেয়েটি আমি। আর যার জন্য অপেক্ষা করি সে হলো...
.
.
.
.
.
আমার অফিস টু বাসাগামী একমাত্র সিটিং সার্ভিস বাস “রাইদা”।