কপাল আর কাকে বলে! নুতন ড্রাইভার। সারাদিন অফিস করে ৫ মিনিটের একটা কাজে ঢাকা কলেজের সামনে থেমেছিলাম।ট্রাফিক পুলিশ যেতে যেতে সবাইকে ১২শ টাকার স্লিপ ধরিয়ে দিচ্ছে। যাত্রার ঢংএ বলল "আপনাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ ম্যাডাম"।
সময় ৪:৪৫ ৩রা ডিসেম্বর ২০১৪।
রাস্তায় ডিজিটাল পুলিশ এই শিরোনামে কালের কন্ঠে গতকাল একটি রিপোর্ট বেরিয়েছে। আমার পড়া থাকলে সুবিধা হতো। রাস্তায় গাড়ী থামিয়ে কিছু কেনা কাটা করার অভ্যাস আমার একেবারেই নাই। আর আমি এইসব নিয়ম কানুনের ব্যাপারে সাধারনত সচেষ্ট থাকি। কপালের ব্যাপারটা এইজন্য বলেছি যে... আমি গাড়ী থেকে নেমে ড্রাইভারকে বলেছি “পুশিশ রাস্তায় গাড়ি রাখার ব্যাপারে অনেক তৎপড়, সাবধানে সামনে এগিয়ে খালি জায়গায় গাড়ী রাখ আমি এখনি আসছি”। বলে আমি ভিতরে ঢুকেছি ২ মিনিট হয়নি আমাকে ফোন দিয়েছে “ ম্যাডাম পুলিশ কাগজ নিয়ে গ্যাছে “ আমি এক মিনিটের মধ্যে ফিরে এসেছি আর ডিঊটি রত পুলিশকে খুজেছি ২ মিনি্ট। পুরো ঘটনাটা ৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়েছে। আমার ফেইস বুকে আমার কিছু পুলিশের বন্ধু আছে স্ট্যাটাসটা তাদেরকে উপলক্ষ করেই ছিল। রাস্তায় ডিজিটাল পুলিশ সরকার এবং জনগনকে সহায়তার জন্য থাকবে। কর্তব্যরত পুলিশ যেই দ্রত গতিতে কাজ সারছিল সেটা কখনোই কাম্য নয়।
সবাই যাতে সাবধান হয় এই ব্যপারে, সেটাই এই লেখাটির মুল উদ্দেশ্য ছিল। আমরা অনেকেই অফিসের কাজের চাপে দৈনিক পত্রিকা পড়ার সময় পাই না । দিনের শেষে যতটুকু সময় পাই তাতে দিনের আপ্টুডেট থেকে বঞ্ছিত হই। পড়ের দিন দেশ আর একটু এগিয়ে যায়।
জরিমানা জিন্দাবাদ। দেশ এগিয়ে যাক , বাংলাদেশের মানুষ নিয়ম কানুন মেনে কাজ করুক এটা সবারই কাম্য।