উইলিয়াম এবং হ্যারির সাথের শেষের ছবিটা আমার সবচেয়ে পছন্দের ।
আমার গত " সারা বিশ্বের বিস্ময় " পোষ্টে ইতিহাস সৃষ্টিকারি বৃটিশ রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় এর উল্লেখ আছে।
তার সাবালক পুত্র রাজকীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে সজ্ঞানে বিয়ে করলো ডায়ানা স্পেনসার কে , যার মুখাবয়ব কেবল সুন্দর এবং নিষ্পাপ ছিল তা নয়, বর্তমান অন্তর্জালের অবদানে ডায়ানার চাহনি, প্রকাশভঙ্গি, ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পদক্ষেপ এবং বাচন ভঙ্গি অপূর্ব এবং অসাধারণ মনে হয়ছে । সেই বিয়ের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় টিভিতে এবং ছোট বেলায় মুগ্ধ হয়ে দেখা সেটি এখনও মনে আছে। তারপর ১৯৯৭ সনে সড়ক দুর্ঘটনায় ডায়ানার মৃত্যু টিভির পর্দা জুড়ে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুই সন্তানকে রাজ পরিবারে রেখে আসতে হয়েছিল ছেড়ে আসা রাজকীয় বস্তুগত সুখ উপাদানের সাথে।বিভিন্ন সময়ের মানবিক নানান ভূমিকায় যে ডায়ানার দেখা মেলে এবং সন্তানদের তৈরী করতে তাঁর ভূমিকা যেমনটি জানা যায় তার পরিপ্রেক্ষিতে ডায়ানার মানসিক অবস্থা অনুমেয়।
অথচ এ সব ঝড়ের পূর্বাভাস অনেক আগেই ছিল রাজ পরিবারের কাছে; কারন চার্লস ক্যামেলা পার্কারকে জীবন সঙ্গী করতে চেয়েছিল এবং সম্পর্ক বজায় রেখেছিল; রানী এলিজাবেথ তখন অবুঝ বাঙালী মায়েদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন ! জেনে বুঝে ছেলেকে বিশ্ব আলোড়িত করে কনে ঠিক করে বিয়ে দিলেন; প্রিন্স চার্লস অতি নিম্নমানের চলচিত্রের নায়কের মত হাসিমুখে বিয়ের পিড়িতে বসল ( চার্চে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলো ডায়ানা কে)।
উইলিয়াম এবং হ্যারির মাতৃহারা দীর্ঘ যন্ত্রণা সহজে অনুমেয় এবং ইদানিং হ্যারি এবং মেগানের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত-জীবন যাত্রা অনেক কিছু পরিষ্কার করে দিচ্ছে আমাদের চোখের সামনে।
চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সুখী দম্পতি চার্লস এবং ক্যামেলা পার্কারকে; তবে যত বার চোখের সামনে আসে সরিয়ে নেই ।
আর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া ডায়ানা বৃটিশ জনগনের হৃদয় এর মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে; তার পরিচয় জ্ঞাপন করতে অক্সফোর্ড অভিধানে যুক্ত হয়েছে " পিপলস প্রিন্সেস" শব্দ দ্বয় ।
সাধারন বাঙালীর চোখ আমার, হলিউড বা পাশ্চাত্যের সৌন্দর্য তেমন দাগ কাটে না মনে, তবে ডায়ানার অপার্থিব সৌন্দর্য ফিরে ফিরে দেখবার মত ।
রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ইতিহাসে ঠাই করে নিয়েছেন বিভিন্ন বিষয় পার করেছেন বলে; ডায়ানার নাম ইতিহাস হতে দেবে না মানুষ । তাকে, তাদের " People's Princess" কে ভালবেসে অনুভবে বাঁচিয়ে রাখবে বিশেষ করে বৃটিশ জনগন।
সেই কবে কে যেন বলে গিয়েছেন " অতি বড় সুন্দরী না পায় বর, অতি বড় ঘরণী না পায় ঘর " ! বুদ্ধিমান ছিলেন বক্তা নিসন্দেহে।
কদিন ধরে একটু সময় পেয়ে লিখে ফেললাম নিজের কিছু অনুভূতি!
তবে মনে হয় যদি সুযোগ পেতাম পিএইচডি করতাম; দুই দুটো পিএইচডি -- লেখক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এবং গায়ক তালাত মাহমুদ হোত বিষয়। এই দু'জন অতি প্রিয় আমার ।
নীচের ছবিতে বিভূতিভূষণ (বসে আছেন বা পাশ হতে ৬ষ্ঠ),ওনার ডান পাশে লেখক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়, তারাশঙ্করের ডানে মনোজ বসু, স্যুট টাই পরা নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় কে দেখা যাচ্ছে আরো অনেকের সাথে ১৯৪৭ সনে মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিনে যশোরে এই সমাবেশ।(ছবি কৃতজ্ঞতা: ত্রিনাঙ্কুর ব্যানার্জি, বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় এর পৌত্র)
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত " বিশ্ব মানবতার দলিল" উপাধিতে ভূষিত " পথের পাঁচালী " ছাড়া আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত "অশনি সংকেত" এবং "অপরাজিত" ও "অপুর সংসার" সত্যজিত রায়ের পরিচালনায় অসাধারণ সব চলচিত্র নির্মিত হয়েছে বিভূতিভূষণের উপন্যাস অবলম্বন করে ।
আমার নিছের সবচেয়ে পছন্দের বই এর ভেতর অন্যতম একটি হোল বিভূতিভূষণের " চাঁদের পাহাড়" যেটা নিয়ে কোলকাতা এবং মুম্বই এ চলচিত্র নির্মিত হয়েছে এবং প্রশংসিত হয়েছে। আফ্রিকা না গিয়ে আমাজন প্রত্যক্ষ ভাবে না দেখে এমন একটা উপন্যাস লেখা সম্ভব সেটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারে না !
এবার আসি শাহান শায়ে গজল, ভারতীয় চলচিত্রে দীর্ঘ দিনের সব জনপ্রিয় গানের গায়ক তালাত মাহমুদের প্রসঙ্গে ।
প্রথম ছবিতে স্ত্রী নাসরিন মাহমুদ, পুত্র খালিদ মাহমুদ এবং কন্যা সাবিনা মাহমুদের সাথে তালাত মাহমুদ । দ্বিতীয় ছবি হোল ভারত সরকার তার স্মরনে ২০১৬ সনে ডাকটিকিট প্রকাশ করে সেটিতে তালাত মাহমুদ । দিলীপ কুমার এবং আরো অনেকে তাঁর প্রসঙ্গে কথা হলে বলতেন " Talat Mahmood is a perfect gentleman" ! কোলকাতার খ্রিষ্টান বাঙালি লতিকা মল্লিক কে ( ধর্মান্তরিত হয়ে নাসরিন মল্লিক) বিয়ে করে আমৃত্যু সুখে পারিবারিক জীবন কাটিয়েছেন পরিশীলিত মার্জিত তালাত মাহমুদ যিনি ছিলেন ভারতীয় চলচিত্রে অসংখ্য হিট গানের গায়ক এবং আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত কণ্ঠ শিল্পী ।
নিজের মত করে ডক্টরেট করে নিয়েছি এই দু'জনের ওপর।
প্রিয় দুই ব্যক্তিত্ব এবং পছন্দের ডায়ানার কথা লেখা থাক্, যেন খুঁজে পাই।
সারা বিশ্বের বিস্ময় এর লিঙ্ক Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:১৬