প্যানেল ভুক্তদের নিয়োগ দিলে সরকারের এমন কি ক্ষতি হবে আমি বুঝে উঠতে আজো পারি না। আমাদের ও তো ঘর সংসার আশা আখাংক্ষা আছে- আমরাও তো স্বপ্ন দেখি না কি আমাদের স্বপ্ন দেখা পাপ। হয়ত আমারা পামশ করেই অন্যাই করেছি তা ন তাহলে তো আমাদের এত দূর্ভোগ পোহাতে হত না। আমাদের এখন প্রতিটি মর্হূত কাঠছে এ একটি যুগের মত । মাননীয় সরকার কেন যে আমাদের নিয়ে এত খেলতেছেন জানি না তবে বলতে চাই - স্বাধীন দেশে কঠোর প্রতিযোগীতা মুলক চাকুরীর পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেও আজ আমরা চাকুরী নামে সোনার স্বপ্নটি পুরন করতে পারতেছি না। বাবা মা কে আর কতই জবাবদিহী করতে হবে( তোর চাকুরীর খবর কি বাবা- আমি আর কয়দিন বাচঁব তোকে এত দিন ধরে পড়া লেখা শিখিয়ে তোর চাকুরীটা দেখে যেতে পারবনা।) বাড়ীতে অসুস্থ বাবা মা কারো কারো স্ত্রী সন্তান কতই আর তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে আমাদের। আমাদের চোখের পানিটুকু সরকার কি চাইলে মুছে দিতে পারে না ,পারেনা কি অসুস্থ বাবা মার মুখে হাসি ফুটাতে। প্রতি দিন পেপার আসলে অপেক্ষায় থাকি কবে আমাদের চাকুরীর পাকা খবরটা ছাপা হবে। আমারা যারা রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যানেল ভুক্ত হয়ে আছি আমরা সবাই মুলত গরীব এই চাকুরীর বাজারে আমাদের গরীবদের চাকুরী কি জুটবে। আমারা বর্তমানে শিক্ষিত হযেও পেটের দায়ে পরিবার বাচাঁত কত প্রকার নিম্ন মানের কাজও করে বেড়াচ্চি। আমার আশার ফুল কি ফুটবে না। আমরা কি আর দশজন মানুষের মত সমাজে চাকুরী করে বাচঁতে পারবনা। আমাদের আশা স্বপ্ন কি সরকারের হাতেই বন্দি থাকবে। আমারা কি ছোট ছোট দেশের ভবিষ্যৎদের মানুষ করে গড়ে তোলার অধিকার টুকু পাব না। এই চিঠিটা লিখতে আমার চোখের জলকে বেধে রাখতে পারলাম না বৃষ্টির মত ফোটা ফোটা করে ঝরে পড়ল আমার অসুস্থ বাবা মার কলিজায়। তাদের আমি অনেক সান্তনা দিয়েছি, চাকুরীটা কাল হবে পরশু হবে এই ভাবে ৩বছর পার হল একন প্রাই বলে থাকে তোর কি কাল ফুরাবে না বাবা-কবে তুই আমাদের মুখে হাসি দেখাবি। আপসোস এটা আমার মায়া কান্না না বুকের ভিতরের দাবানল থেকে উপসে পড়া লাভা যা আমাকে প্রতি নিয়ত কাদতে কাদতে খাদের সৃষ্টি করে দিচ্ছে।
মনির খান-ফুলবাড়ী-দিনাজপুর
০১৭৭৩-৭১৫৩২৩