somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মন ফড়িং দের গল্প

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


“ স্যার আমার আপনার পড়া ভালো লাগে কিন্ত আমার শরির ভাল লাগছে না , আমি কি চলে যেতে পারি” কথাটা বলল মন
মন একটা ভারসিটি কোচিং সেন্টারে পরে । খুব ভাল ছাত্র , খুব চঞ্চল , কিন্ত হঠাত কেন জানি অন্যরকম হয়ে গেছে ।কোচিং সেন্টারে থেকে বের হয়ে চায়ের দোকানে বসে সিগারেট খাচ্ছে সে ।এমন সময় তার বন্ধুরা এসে বলল “কি রে ক্লাস করলিনা যে” “ কি ক্লাস করমু , সব তো পারি”
বন্ধুরা হাসল কারন তারা তা জানে । সে কোচিং সেন্টারে ফাস্ট বয় । সে যে তারা জানে।
মন যে প্রথম ছাড়া অ্ন্যকিছু হয়নাই । কিন্তু s.s.c তার Gpa 4.80 ছিল । তার একটা কারন আছে ।সে ব্যবহারিক পরিক্ষা দেই নাই , কোথাই যে উধাও ছিল ।কেউ যানে না ।উই দিন থেকে মন যেন কেমন হইয়ে যায় ।
“কিরে উঠ ,তর না আজ H.S.C রেজাল্ট।,উঠ তারাতারি তর বন্ধুরা বসে আছে” বলল মন এর মা ।
“ওদের বল আমরা রেজাল্ট টা নিয়ে আসতে” চোখ মুছতে মুছতে বলল মন

কলেজের একপাশে বসে ছাত্রদের লাফালাফি দেখছে মন ,তারা সবাই GPA 5 পেয়েছে এমন সময় তার ফোন বেজে উঠল ।তার মা ফোন করেছে ।
“কিরে তোর খবর কি” বলল তার মা
“হুম GPA 5” বলল মন
“কেন যে মানবিক বিভাগে গেলি , বিজ্ঞান বিভাগিই ভাল ছিল” বলল তার মা
হুম্ম বলল মন
“কি হুম হুম করছ তারাতারি বাড়ী আছিস”
হুম বলেই ফোনটা কেটে দিল মন।

কোচিং সেন্টারে সব ছাত্ররা নোটিস দেখার জন্য ভিড় জ়মিয়েছে । মন তার বন্ধু কে বলল কিসের নোটিস ।তারা বলল কে জানছ না বিশেষ ২০ ছাত্রে তর নাম এসেছে । আর তকে স্যার ডেকেছে ।
কি খবর মন , তুমি এমন আনমনে কেন” বলল স্যার
কই না ত আমিত ঠিকি আছি” বলল মন
আমরা তোমাকে নিয়ে আশাবাদি
কিছু বলল না মন

আদালতের বাইরে বসে আছে মন ,আজ় মন এর প্রথম কেস যার জন্য সে এতদিন অপেক্ষা করছিল । । ঢাকা থেকে আইন বিভাগে পড়া শেষ করে বিদেশে চলে যায় সে ।সে আজ বড় নাম করা উকিল ।
বিচারিক কাজে সে আদালতের ভিতরেগেল সে । তার খুব ভয় লাগছিল ,কেননা তাকে কেসটা জিততে হবে ।

বিচারক তার রায় ঘোষনা করল ।রায় শুনে মন এর চোখ দিয়া পানি পরতে লাগল , যে রায় জন্য সে এতদিন অপেক্ষা করছিল । আদালত থেকে বের হয়ে দেখল তার জন্য অনেক সাংবাদিক ।
তারা তাকে ঘিরে ধরল , “এতদিন পর কিভাবে এত কঠিন কেস জিতলে” প্রশ্ন করল এক সাংবাদিক ।
জবাবে মন হাসল
এমন সময় মন এর কাছে একটা ফোন আসল , ফোনটা ধরে মন চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকে , কেননা তার বোন ফড়িং আজ ৮ বছর পর সাথে কথা বলছে ।
আপা আমি তোমার ধরষক দের সাজা দিতে পেরেছি এ কথা বলতে বলতে মন এর চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকে ।
এই চোখের পানিতে রয়েছে কিছুটা আনন্দ , কিছুটা দুঃখ , কিছুটা বিজয় ।

{ কাল্পনিক গল্প } :-P B-) B-)
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×