তরুণদের অনেকেই ছোট বা বড়পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরকে আইডল বা আদর্শ মনে করে। অথচ, এই তথাকথিত আইডলদের বড়ো অংশ তাঁদের জনপ্রিয়তা ও সৌন্দর্যকে পুঁজি করে এমনসব নীতি বিগর্হিত কর্মকান্ড চালাচ্ছেন যা কেবল নিন্দনীয়ই নয়, এ যুগের তরুণদের বিপথে টেনে নেবার মোক্ষম অস্ত্রও বটে।
সচেতন পিতামাতার দায়িত্ব রয়েছে নিজ নিজ সন্তান বা পোষ্যদের বিপথগামী এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করতে শেখানো। বস্তুতপক্ষে, আধুনিকতার খোলসে এরা চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতির ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাত করছে।
তানজিন তিশা নামের হাল আমলের এক জনপ্রিয় চিত্রাভিনেত্রী তাঁর চেনাজানা এক বিবাহিত নারীকে মধ্যরাতে ফোন করে জানতে চাইছেন ওই নারীর স্বামীর তাৎক্ষণিক অবস্থান সম্পর্কে। আর ওদিকে, মহিলা মিনতি করে তিশাকে অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি যেন তাঁর স্বামীকে বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা হতে বিরত থাকেন। স্বামী নামের এ পুরুষটিও কিন্তু আরেক তথাকথিত আইডল: জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ। কথায় বলে, রতনে রতন চেনে।
তিশার উদ্দেশ্যে ওই নারী মিনতি করে বলছেন: 'দেখ, তুমি তো খুব সুন্দরী, অবিবাহিতা, তোমার পাত্র পেতে অসুবিধা হবে না, কিন্তু আমি বিবাহিতা, আমার তো বাচ্চা আছে, আমার কি হবে? ...' [অডিওটি গুগলে সার্চ দিলে পাওয়া যায়।]
অন্যের স্বামী বা স্ত্রী নিয়ে টানাটানি কারো ব্যক্তিস্বাধীনতা কি বেলেল্লাপনা এ বিষয়টি আমাদের নতুন প্রজন্মকে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। পিতামাতা হিসেবে এ দায়িত্ব আপনার। নইলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আধুনিকতা আর নীতিহীনতার পার্থক্য ভুলে যাবে, পরকীয়ার 'ক্যান্সারাক্রান্ত' হয়ে পড়বে সমাজ, ভাঙবে হাজারো সংসার।
সীমা লঙ্ঘন করা এসব অনৈতিক কর্মকান্ডে সাময়িক সুখবোধ হলেও দীর্ঘমেয়াদে এর পরিণতি হয় ভয়াবহ। অন্যথায়, তিশা নামের এ তরুণীর আত্মহত্যা-প্রচেষ্টার ঘটনা এতটা ফলাও করে পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পেতো না।