somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নাগরিকত্ব বাতিলের আদেশ প্রসঙ্গে ...

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প-এর 'নাগরিকত্ব বাতিল বিষয়ক' আদেশ নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে নানাজন নানাভাবে ভুল বা বিকৃত তথ্য প্রচার করে চলেছেন। ভিউয়ারও পাচ্ছেন বিস্তর। বেশিরভাগ পত্রিকাও একই ভুল করে যাচ্ছে। রিপোর্টগুলো পড়লে বুঝা যায়, অনেক রিপোর্টার আমেরিকার গ্রীনকার্ড (পিআর) এবং সিটিজেন (নাগরিক/পাসপোর্টধারী) এর পার্থক্য ঠিকমতো জানেন না।

'আমেরিকায় জন্ম নিলেও শিশুটি সেদেশের নাগরিকত্ব পাবেনা', এমন কথা ঢালাওভাবে ট্রাম্পের একজিকিউটিভ অর্ডারে বলা হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে, বাচ্চার জন্য আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে বাচ্চাটির পিতামাতাদের কমপক্ষে একজন আমেরিকার গ্রিনকার্ডধারী বা সিটিজেন হতে হবে।

এর অর্থ দাঁড়ায়, পিতামাতাদের যে কোন একজন বা উভয়ের আমেরিকায় বৈধ ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস না থাকলে তাদের সন্তান জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবেনা। অধিকন্তু, যারা ভিজিটর, ওয়ার্কার, বা অন্য কোন প্রকারের টেম্পোরারি (অস্থায়ী) ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস নিয়ে আমেরিকায় গিয়ে বাচ্চা প্রসব করছেন সেসব বাচ্চাও জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবেনা। বাচ্চার জন্য আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে পিতামাতার অন্ততঃ একজনের আমেরিকার গ্রীনকার্ড বা সিটিজেনশিপ থাকা চাই।

উল্লেখ্য, ট্রাম্পের এই একজিকিউটিভ অর্ডার আমেরিকার সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধনী) ও ফেডারেল আইন পরিপন্থী।
Citizenship clause-এ উল্লেখ আছে: “All persons born or naturalized in the United States and subject to the jurisdiction thereof, are citizens of the United States and of the State wherein they reside.” [Exception: children born to FOREIGN DIPLOMATS who are protected by sovereign immunity and are therefore not “subject to the jurisdiction” of the U.S.]

প্রেসিডেন্ট সংবিধান পরিপন্থী কোন একজিকিউটিভ অর্ডার জারি করতে পারেন না। তাই, এ আদেশের কার্যকারিতা চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে আদালতে। সময়ই বলে দেবে ট্রাম্প এর এ নির্দেশনা আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না। তবে আমার ধারণা, আমেরিকার মাটিতে এমন অন্যায্য আদেশ কোনদিনও বৈধতা পাবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×