১৩ জানুয়ারি বুধবার, রাত ৮টা, শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে জ্যামে বসে আছি।
ড্রাইভিং সিটে ড্রাইভার, পাশের সিটে আমি। গাড়ীতে আর কেউ নেই। ড্রাইভিং সিটের জানালার কাঁচ সামান্য নামানো, বাকি তিনটা কাঁচই পুরোপুরি তুলে দেওয়া।
হঠাৎ মাটি ফুড়ে উদয় হল ৬ জন হিজড়া, গাড়ীর চারপাশ ঘিরে দাড়ালো এবং ওদের একজন ড্রাইভারের জানালার সামান্য ফাঁক দিয়েই হাত ঢুকিয়ে দিলো। বলল "১০ টা টাকা দে"। জীবনে এই প্রথম এত কাছাকাছি হিজরা দেখলাম এবং ভীত হলাম। পরবর্তী ঘটনা আরো মারাত্বক! কিছু বলার আগেই হিজরাটা জানালার ভিতর দিয়ে হাত দিয়ে door lock খুলে ফেলল এবং সাথে সাথে ড্রাইভারের দরজা টেনে খুলে ফেলল। ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা দুজনেই বিহবল! এবার ড্রাইভারের হাতে, গলায়, ঘাড়ে, বুকে হাত দিতে লাগল এবং সেই একি কথা "টাকা দে"। সিটবেল্ট বাধা ছিল না কারো। ড্রাইভারের কাঁদো-কাঁদো অবস্থা হল আর হিজরাগুলো হিজরামি করতে লাগল...টাকা দে....এখনই দে না......হিজরাদের হিজরামি দেখতে চাইলে দেখুন নাটক "ছাইয়া ছাইয়া" (ইফতেখার ফাহমী-গীতালী)।
পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করার সাহস পাচ্ছিনা কারন মানিব্যাগে ২৫০০ টাকা, বের করলেই এরা মানিব্যাগ নিয়ে দৌড় দেবে। হঠাৎ চোখ পড়ল সিএনজি গ্যাস নেয়ার পরে যে খুচরা টাকাগুলো ছিল ড্যাসবোর্ডে সেগুলোর দিকে। সেখান থেকে ১০ টাকা বের করে দেওয়ার পরপরই ওরা যেভাবে এসেছিল ঠিক সেভাবে ভ্যানিশ হয়ে গেল।
পাঠকদের উদ্দেশ্যে অনুরোধ, এখনই সাবধান হউন। আমার ১০ টাকার উপর দিয়ে গেছে, আপনার মোবাইলের উপর দিয়ে যেতে পারে।
মনের ভাব কিছুই লিখে প্রকাশ করতে পারলাম না, এটা ভিডিও করলে সর্বোচ্চ ৫০ সেকেন্ড হত। দেখলে বুঝতেন আমার আর আমার ড্রাইভারের চেহারা কিরকম হয়েছিল!!
(আর একটা কথা, আমার ছন্দোময় কোরআন সিরিজ আপনাদের কেমন লাগছে জানাবেন, ধন্যবাদ)