somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাঁর জন্মদিনে হিমুদের বিফল খোঁজাখুঁজি!

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সচরাচর প্রতিবছরের মতন এই বছরও তাদের স্রষ্টার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ফুল একটি বাহারি কেক আর নিশাদ-নিনিতের জন্য খেলনা নিয়ে দখিনা হাওয়ার দরোজায় একে একে হাজির হিমু-রুপা, শুভ্র, বাকের ভাই এবং সবার শেষে তার সেই ঢঙে মিসির আলী! তারা পরস্পরের কুশল জানাজানি করে- অনেকক্ষণ কলিংবেল বাজতে থাকে- কিন্তু কোনও সাড়া শব্দ নেই। সবাই চিন্তায় পড়ে যায়- অবশেষে মিসির আলীর বুদ্ধিতে তারা যায় আয়েশা ফয়েজের বাসায়, আয়েশা ফয়েজ তাদের স্রষ্টার মা। কিন্তু সেখানেও যে নেই- হিমু একহাতে কদম আরেক হাতে রূপাকে ধরে দৌড়াতে থাকে, তাদের পিছু নেই বাকীরাও; একসময় তারা পৌঁছে যায় নুহাশ পল্লীতে- নুহাশ পল্লী, তাদের স্রষ্টার আরেক আজব সৃষ্টি! সেখানে দেখে শাওন দুহাতে নিষাদ আর নিনিতকে ধরে অপলক একদিকে চেয়ে আছে, তারা শাওনকে অনুসরণ করে তাকালে দেখে তার দৃষ্টি মার্বেল দিয়ে ঘেরা কবরের মত কোনও এক জায়গায় নিবন্ধ! তারা দৌড়াতে দৌড়াতে সেদিকে যায়, কিন্তু কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। মিসির আলী চোখ বন্ধ করে কী যেন বলছে, হিমু তাকিয়ে আছে রুপার দিকে, তার হাত থেকে ততক্ষণে কদম গুচ্ছও পড়ে আছে, রুপার চোখে ঝরছে বরিষণ! মিসির আলী তার মতই, কোনও ভাবাবেগ নেই, ফাঁসির মঞ্চে যে বাকের ভাই ছিল অবিচল সেও আজ কেমন জানি হয়ে গেছে। তারা নুহাশ পল্লীর প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু কোথাও কেউ নেই। অবশেষে তারা যখন ক্লান্ত বিধ্বস্ত হয়ে বসে পড়ে, মিসির আলীর চোখ থমকে যায় একটি এপিটাফের দিকে [হুমায়ুন আহমেদ (১৩ নভেম্বর,১৯৪৮-১৯ জুলাই,২০১২)]! হিমু আবিষ্কার করে মিসির আলীর চোখে জল। তারা ফুলগুলো দিয়ে আসে সেই এপিটাফে, রুপা কাঁদতেই থাকে!
শুভ জন্মদিন হুমায়ুন আহমেদ। আপনার সৃষ্টির মাধ্যমেই আপনি লাভ করেছেন অমরত্ব। সেই এপিটাফ কী আপনার প্রস্থান বুঝাবে? কখনোই না! আপনি ছিলেন আছেন থাকবেন, অগণিত হিমু-রুপা-শুভ্র-মিসির আলী-বাকের ভাইদের মাঝে! অনেক বেশী ভালো থাকবেন!
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×