somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দোষারোপ আর অস্ত্রধারীর ঘেরাটোপে পাহাড়ের শান্তি

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যে কোন হত্যাকাণ্ডই দুঃখজনক ও নিন্দনীয় এবং অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ।
গতকাল ( ১৮ আগস্ট ২০১৮) খাগড়াছড়িতে যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক।
এতগুলো প্রাণ এভাবে ঝরে যাওয়া কোন পরিস্থিতিতেই কাম্য নয়।

আমি কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাই না, যখন দেখি যে, হত্যাকান্ডের মতো মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে লোকজন অর্বাচীনের মত কথা বলে বা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। এর আগে মিঠুন চাকমা, শক্তিমান চাকমা বা তপন জ্যোতি চাকমার মৃত্যুর পরেও কিছু লোককে দেখেছি উল্লাশ প্রকাশ করতে। কতটা নিচে নামলে, মানুষ শবযাত্রায় আক্রমন করতে পারে। অথচ, তেমন ঘটনার উদাহরণ খুঁজতে বেশী দূরে যেতে হবে না এই পার্বত্য চট্রগ্রামে।

অনলাইন কয়েকটা নিউজ পোর্টালে চোখ রেখেই পরিচিতজন যারা আছেন, তাদের সাথে কথা বলতে শুরু করি, ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্যে। ইতোমধ্যেই ফেসবুক দুনিয়াতে বিষয়টা চাওড় হয়ে গেছে এবং যথারীতি ফেসবুকে সমবেদনা ও নিন্দাজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্যদের দোষারোপ করে একগাদা পোষ্ট আপলোড করা হয়ে গেছে। ফেসবুক চর্চা অনুযায়ী অনেকেই তা লাইক/রিএক্ট করছেন বা শেয়ার করছেন। হালকা হতে মারাত্নক উস্কানীর ইঙ্গিতসমেত কিছু পোস্টও চোখে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কারো কাছ থেকে জানার সুযোগ পাইনি বলে, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত পোস্ট, রিপোর্ট আর নিউজ থেকে ঘটনার একটা আনুমানিক চিত্র আঁকতে বেশী সময় লাগেনি। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে স্বনির্ভর বাজারে ইউপিডিএফের অফিসের সামনে গোলাগুলি হয়। সাথে সাথেই পুলিশ ৬ জনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছিল। যদিও তন্মধ্যে ৫ জন ঘটনাস্থলে আর একজন পরে হাসপাতালে মারা যায়। আহত ৩ জনকে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাঁসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দলের নেতাকর্মী যেমন আছেন, তেমনি মহালছড়ির স্বাস্থ্য-সহকারী জিতায়ন চাকমা এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরিরত ধীরাজ চাকমার মত সাধারণ জনসাধারনও রয়েছে।

শুনতে যতই খারাপ লাগুক, ঘটনার পর পরই পাহাড়ের চিরাচরিত চর্চা অনুযায়ী দোষারোপের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে কিছু লোক। এক পক্ষের দাবী অনুযায়ী, প্রসীতপন্থি ইউপিডিএফ এর প্রতিপক্ষের কাজ এটা। লোকজন যখন শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল এবং সমাবেশের জন্য জমায়েত হচ্ছিল তখন তারা গুলিবর্ষণ করে। আরেকপক্ষের দাবী অনুযায়ী, গত কয়েকদিনে আজকের সমাবেশকে সামনে রেখে প্রচুর টাকা-পয়সা লেনদেন হয়েছে এবং ঈদের গরুর উপর চাঁদাবাজী করে বড় অংকের টাকা উঠেছে। এই অর্থ ভাগবাটোয়ারা আর খরচ করা নিয়ে অন্তরদ্বন্দে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এছাড়াও, এটাকে ‘পূর্ব পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ’ হিসেবে দাবী করা হয়েছে। তবে বিবসিকে দেয়া পুলিশ সুপারের বক্তব্যে পেশাগত পরিপক্কতার ছাপ স্পষ্ট , “আধিপত্য বিস্তারের নাকি অন্য কোন কারণে এই হামলা হয়েছে সেটা তদন্তের নিশ্চিত হওয়া যাবে” ( বিবিসি, বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি শহরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে ৬ জন নিহত, ১৮ আগস্ট ২০১৮)

বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি নিজে কনফিউজড হয়ে গেছি। প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান শোনার সুযোগ আমার নেই বলেই, সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়ার বদৌলতে প্রাপ্ত পরস্পর বিরোধী তথ্যের কারণে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটেছিল – সেটা নিয়ে ঘটনার একদিন পরেও আমি বুঝতে পারছি না আসলে কারা এর পিছনের কুশীলব।

গতকালের মহাসমাবেশের ঢাকডোল গত কয়েকদিন ধরেই খাগড়াছড়ির প্রায় সবাই জানে এবং বাইরের অনেকেও জানে। এক পক্ষ সাধারণ মানুষকে এই সমাবেশে যোগদানের আহবান জানিয়ে লিফলেট ছড়িয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছে, এমনকি উপাসনালয়ের মাইকও ব্যবহার করেছে বলে শুনেছি। এমন অভিযোগও আছে যে, সমাবেশে না যোগ দিলে, জরিমানা করা হবে, অন্য ধরণের শাস্তির ব্যবস্থাও করা হতে পারে। স্মরণযোগ্য যে, খাগড়াছড়ির অনেক এলাকায় প্রসীতপন্থি ইউপিডিএফ এর ভালো জনসমর্থনও রয়েছে।

ফলে, সবকিছু মিলিয়ে, সকাল থেকেই বিভিন্ন পয়েন্টে লোকজন জড়ো হতে শুরু করে, মহাসমাবেশকে সফল করার উদ্দেশ্যে। স্বনির্ভর বাজারেও সকাল থেকেই লোকজন আসতে শুরু করেছিল। তদারকি ও বিভিন্ন স্থানের জমায়েত হওয়া লোকজনকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়ার স্বার্থে পার্টির কিছু নেতা কর্মীও হাজির হয়েছিল সকাল সকাল। উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল স্বনির্ভর খাগড়াছড়ির একটি পরিচিত নামে। এই বাজারের ভিতরে প্রসীতপন্থি ইউপিডিএফ এর অফিস আছে। তবে, অফিসটি রাস্তা থেকে দেখা যায় না।

যারা জানেন না, তাদের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই যে, স্বনির্ভর বাজার হল খাগড়াছড়িতে প্রসীতপন্থি ইউপিডিএফের সকল কর্মকান্ডের প্রাণকেন্দ্র। বলা যেতে পারে, পার্বত্য চট্রগ্রামের সবগুলো পার্টি অফিসের মধ্যে এই অফিসটাই সবচেয়ে বেশী জমজমাট এবং এক্টিভ থাকে, সারা বছর। এছাড়াও স্বনির্ভর এবং এর আশে পাশের গ্রামগুলোর উপর প্রসীতপন্থি ইউপিডিএফের প্রভাব এমনি বেশী যে এসব এলাকায় অন্য কোন দলের সমর্থকের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে।

এমন একটা স্থানে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফের প্রতিপক্ষ দলের সশস্ত্র কারো পক্ষে আসা সম্ভব কিনা কিংবা এসে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তাদের গ্রামবাসীর সামনে দিয়ে পালিয়ে যাওয়া কতটা কঠিন বা সহজ - সেই বিতর্ক শুরু করার কোন ইচ্ছে আমার নেই। শুধু এটুকু মনে করিয়ে দেয়া যেতেই পারে যে, নানিয়ারচরে হত্যাকান্ডের পরে প্রায় একই রকম দোষারোপের বান উঠেছিল। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে একটি মাইক্রোবাসে ব্রাশফায়ার চালিয়ে তপন জ্যোতি চাকমাসহ পাঁচজনকে হত্যা করার পরেও অনুরূপ দোষারোপ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি শহরে দিনেদুপুরে মিঠুন চাকমাকে হত্যার পরেও এর ব্যতিক্রম চোখে পড়েনি।

বস্তুত পার্বত্যাঞ্চলের সকল হত্যাকান্ডের পরে মোটামুটি এমনি হয়ে থাকে। এরপরে, প্রতিবাদ ও বিচারের দাবীতে হরতাল, মানববন্ধন, অবরোধ এবং মিছিল হবে। এমনকি টক শো, সেমিনার বা মশাল মিছিলও হতে পারে। পুলিশ কয়েকজনকে ধরে ফেলে বিচারের মুখোমুখিও করবে। এ ধরণের হত্যাকাণ্ড বন্ধে, কোন কোন সুশীল হয়তবা সরকারকে উপদেশ দিয়ে দিবেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করা আর পাহাড় হতে সেনা এবং বাঙালীদের প্রত্যাহার করার। যেন, শান্তিচুক্তি আর সেনা-বাঙ্গালী প্রত্যাহার নামক মহৌষধের মধ্যেই পাহাড়ের সর্বরোগের সমাধান নিহিত। এমনকি এই মহৌষধ ব্যবহার করলে নিজেদের মধ্যে অবৈধ অস্ত্রধারী থাকলেও সশস্ত্র সংঘাত এড়ানো সম্ভব।

বিজ্ঞজনেরা কেন জানি, কিছু লোকের কাছে অবৈধ অস্ত্র রেখেই পাহাড়ে শান্তি আশা করেন। যদিও আমার স্বল্প বুদ্ধিতে সশস্ত্র সংঘাত এড়ানোর উপায় হিসেবে অস্ত্র পরিত্যাগ করার কোন বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, পাহাড় নিয়ে একটু আধটু খবর রাখেন এমন লোকেরাও জানেন যে, এখানে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব সশস্ত্র কর্মীবাহিনী আছে। কখনো কখনো দলগুলো নিজেরাই প্রেস রিলিজ দিয়ে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র কর্মীবাহিনীর হাতে নিজ দলের কর্মীদের হতাহতের সংবাদ প্রচার করছেন। এছাড়াও মাঝে মাঝে নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি দেখে বুঝা যায় যে, এই সমরসম্ভারে অত্যাধুনিক উপকরণের উপস্থিতি কতটা প্রবল।

এই সশস্ত্র কর্মীবাহিনীর মধ্যে ব্যক্তিগত মতভিন্নতা, উচ্চাশা এবং লোভ-লালসা নেই এটা বলার কোন কারণ নেই; যার চূড়ান্ত পরিণতিতে ইতিপূর্বে পার্বত্য চুক্তির আগে ও পরে দুই কালেই বিভিন্ন সময়ে এ ধরণের হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এমনকি জুম্ম জাতীয়তাবাদের অবিসংবাদী নেতা এম এন লারমা’র মত মহান নেতাও এমন নৃশংসতার হাত থেকে রেহাই পাননি।

এতদসত্তেও, এমন বিয়োগান্তক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যেটা সবচেয়ে বেশী যুক্তিসংগত এবং দুনিয়াব্যাপী স্বীকৃত, যথা, নিজেদের অস্ত্রধারীদের পরিত্যাগ করা – সেটা কেউ করবেন বলে মনে হয় না। কারণ, নিজেরা কেউই এ নিয়ে কোন ধরণের আওয়াজ করেন না। এমনকি, যাদের এই অস্ত্রধারী দল আছে সে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কোন শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও কোনদিন এই সশস্ত্র গ্রুপের বিরুদ্ধে কিছু বলতে শুনিনি। এটুকু আশা করা নিশ্চয় বাতুলতা নয় যে, পাহাড়ে সশস্ত্র দল না থাকলে হত্যাকাণ্ড বা চাঁদাবাজির মত অনেক অপরাধ কমতে বাধ্য।

আমি হয়ত কোনদিন জানতে পারবো না যে,
- কি আশায় হত্যাকাণ্ড বন্ধে মিথ্যে দোষারোপ করা হয়?
- সমাজের শুভাকাঙ্ক্ষীগণ বা শান্তির পক্ষে যারা প্রতিনিয়ত এত কথা বলেন, তারা কখনো এই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলেন না কেন?
- কেন তারা কখনই বলেন না যে, অস্ত্র পরিত্যাগ না করে শান্তি আশা করা যায় না?
- কিছু লোকের হাতে অবৈধ অস্ত্র রেখে বিজ্ঞজনেরা কিভাবে আশা করে যে, পাহাড়ে শান্তি আসবে ?
- উপজাতিরা যে সকল দাবী জানায়, যেমন পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন, ভূমির অধিকার, আদিবাসী দাবী, ইত্যাদির কোন দাবী আদায়ে অস্ত্র লাগে?
- আমিতো দেখি, যাবতীয় অপহরণ, হত্যা, চাঁদাবাজি সবই এই অস্ত্রধারীরা করছে। বাস্তবে, চাঁদাবাজি আর আধিপত্য বিস্তার ছাড়া এই অস্ত্র কি কাজে ব্যবহার হচ্ছে?
- প্রকৃত অর্থে শান্তি প্রত্যাশা করলে, অস্ত্র পরিত্যাগ করতে সমস্যা কোথায়?
- পাহাড়ে অশান্তি আসলেই কারা জিইয়ে রেখেছে এবং কিসের টানে ?

সচেতন পাঠককুলের কেউ হয়ত আমার সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন, উত্তরগুলো খুঁজে পেতে – এই কামনা ছাড়া আমার গত্যন্তর আছে বলে মনে হচ্ছে না।

@ ছবিঃ প্রথম আলো, ১৯ আগস্ট ২০১৮।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×