somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি- (২য় পর্ব)

১৩ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(Creation of Spaces & the Earth according to Al-Quran & Science)-2nd articulation
প্রথম পর্বের পরের অংশ-
[ মানুষ মাত্রই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, সুতরাং আমার এই চিন্তা-ভাবনার মাঝে অক্ষমতা হেতু অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তি ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই দয়াময় আল্লাহতায়ালার কাছে সব সময় এই প্রার্থণা জানাই, তিনি যেন তার এই অধম বান্দাকে সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা করেন।
সৃষ্টিকালীন ছয়-দিন এর বিষয়ে পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতসমূহে প্রদত্ত ইংগিতের সাথে মিল রেখে বর্তমান কালের অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনা পর্যায়ক্রমে চলবে -

সৃষ্টিকালীন ১ম দিন / ইয়াওম (১ম পর্ব বা নির্দিষ্ট সময়)

আল-কোরআন (Al-Quran) -
সূরা হূদ- (11.Hud // Hud) -আয়াত নং-৭
(১১ : ৭) অর্থ- আল্লাহ্ ছয় দিবসে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তখন তাঁর আরশ ( নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ) পানির ( তরলিত অবস্থার ) উপর ( নিবদ্ধ ) ছিল।
(11 : 7) And it is He who has created the spaces and earth in six days, then His Throne(control system) was (fixed) on the water (liquefied state),
সূরা যারিয়া- (51.Adh-Dhariyat // The Winnowing Winds) -আয়াত নং-৪৭
(৫১ :৪৭) অর্থ- এবং আমরা আকাশ নির্মাণ করেছি ক্ষমতাবলে এবং আমরা অবশ্যই মহাসমপ্রসারণকারী।
(51 : 47) And We have made the space with own power, and undoubtedly We are Makers of the vast expantion.

বিজ্ঞান-
(কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশু মহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা)- অধ্যায়-৯ -( মহাবিশ্বের উৎপত্তি )- সৃষ্টির শুরুতে মহাবিশ্ব যখন উত্তর মেরুর মতো একক বিন্দু ছিল তখন এর কোন অন্তর্বস্তু ছিল না। আক্ষরিক অর্থে সৃষ্টির শুরু হয়েছিল শুন্যতা থেকে। কিন্তু এখন মহাবিশ্বের যে অংশ আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাতে রয়েছে অন্তত (১০ কে ১০ দিয়ে ৮০ বার গুণ করলে যত হয় তত) সংখ্যক কনিকা। এই সমস্ত কনিকা এল কোথা থেকে ? উত্তরটা হল:অপেক্ষবাদ এবং কণাবাদী বলবিদ্যা শক্তি থেকে বস্তু সৃষ্টি অনুমোদন করে।
(কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)- অধ্যায়-৫-( মৌলকণা ও প্রাকৃতিক বল )- *পৃথিবী যদি অপবর্জন নীতি ( Poulis exclusion principle ) ছাড়া সৃষ্টি হত তা হলে কার্কগুলি বিচ্ছিন্ন ও সুসংজ্ঞিত পরমাণু গঠন করতে পারত না। তারা সবাই চুপসে মোটামুটি একরকম ঘন একটি সুপ ( Soup ) তৈরী করত। *বলবাহী মৌল কণিকাগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম হল, তারা অপবর্জন নীতি ( Exclusion principle ) মানে না।

Pre-matter soup
Until recently, the first hundredth of a second after the Big Bang was a mystery, leaving Weinberg and others unable to describe exactly what the universe would have been like during this period. New experiments at the Relativistic Heavy Ion Collider in Brookhaven National Laboratory have provided physicists with a glimpse through this curtain of high energy, so they can directly observe the sorts of behavior that might have been taking place in this time frame.[9]
At these energies, the quarks that comprise protons and neutrons (ups and downs) were not yet joined together, and a dense, superhot mix of quarks and gluons, with some electrons thrown in, was all that could exist in the microseconds before it cooled enough to form into the sort of matter particles we observe today.[10]
During the earliest era of the big bang theory, the universe is believed to have formed a hot, dense plasma.

That pushes the existence of water in the universe 1 billion years closer to the Big Bang than any previous find, and it indicates that water has been prevalent in the cosmos almost from the beginning.

আলোচনা -
বজ্ঞানের মতে সৃষ্টির শুরুতে এই মহাবিশ্ব ক্ষুদ্র একক বিন্দুর মত ছিল এবং কোন অন্তর্বস্তু ছিল না, অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু হয়েছিল শুন্যতা বা অনস্তিত্ব থেকে। (২:১১৬), (২:১১৭) ও (২০:৩০) ইত্যাদি আয়াতগুলো পর্যালোচনা করলে এই ইংগিত পাওয়া যায় যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এর মাঝে যা কিছু আছে সবই সর্বশক্তিমান আল্লহতায়ালার অসীম শক্তির মাঝে বিলীন ছিল এবং তাঁরই একান্ত অনুগত ছিল। (৫১:৪৭) নং আয়াতে দেয়া তথ্য অনুসারে যেহেতু সকল শক্তির আধার আল্লাহ মহান স্রষ্টা, সুতরাং শক্তি থেকেই যে সৃষ্টির শুরু হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বিজ্ঞানও অর্থাৎ অপেক্ষবাদ এবং কণাবাদী বলবিদ্যা শক্তি থেকে বস্তু সৃষ্টি অনুমোদন করে। মহান আল্লহতায়ালা যখন সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তখন থেকেই অর্থাৎ সেই অসীম শুন্যতা বা অনস্তিত্ব (২:১১৭) বা বস্তুহীন পরিবেশে কোন এক অজ্ঞাত ক্ষণে সৃষ্টিকালীন সময়ের ( ১ম ইওম বা দিনের ) সূচনা ঘটে। (৫১:৪৭) নং আয়াতে সামা- আ বলতে সম্ভবত এমন এক আকাশকে বোঝান হয়েছে যে আকাশ শুধুমাত্র বলবাহী মৌল-কণিকা দ্বারা ভরপুর ছিল এবং ডাইমেনশন বা মাত্রাগত পার্থক্য না থাকায় সেই আদি একক আকাশে কোন স্তর-ভেদ ছিল না। ফলে সপ্ত-আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির আদি পর্যায়ে একক আকাশ রূপে একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল। পরবর্তীতে মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর অসীম ক্ষমতাবলে সেই একক আকাশকে মহাসমপ্রসারীত করেন এবং ডাইমেনশন বা মাত্রাগত ছকে সাজিয়ে পৃথিবী ও সপ্ত-আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেন। আমরা হয়ত সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ক্ষণটি অর্থাৎ ভরবাহী মৌল কণিকা গঠনের ক্ষণটিকে সঠিকভাবে খুঁজে পাবার সামর্থ রাখি। কিন্তু মহাবিশ্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে বস্তুহীনতা বা অনস্তিত্ব বা চরম শুন্যতার একটা পর্যায় ছিল এবং সেই অসীম শুন্যতায় শুধু অসীম শক্তি বিরাজমান ছিল। এভাবে যে কতটা সময় অতিবাহিত হয়েছে তা সঠিকভাবে নিরুপণ করা কখনই সম্ভব নয়। কারন আমাদের জীবন ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা স্থান ও কালের যে মাত্রা বা ডাইমেনশনের বেড়াজালে আবদ্ধ, সৃষ্টিকালীন আদি বা প্রাথমিক পর্যায়টি ছিল সেই মাত্রা বা ডাইমেনশন বহির্ভূত ঘটনা। কারণ তখন স্থানের কোন অস্তিত্ব ছিল না। সুতরাং মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদি পর্যায়ের ঘটনাচক্র ও আদি কাল বা সৃষ্টি শুরুর সময় সম্পর্কে আমরা অনুভবের আলোকে কিছুটা ব্যাখ্যা করতে পারলেও পূংখ্যাণুপূংখভাবে বিশ্লেষণ করা সত্যিই অসম্ভব।

উপরের আলোচনা থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ইচ্ছা থেকে কোন এক অজ্ঞাত সময়ে সৃষ্টিকালীন ১ম-ইওম বা দিনের সূচনা ঘটে এবং তখন আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি অর্থাৎ (২৪:৩৫) জ্যোতির উপর জ্যোতি সম্ভবত প্রচন্ডতম তাপশক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ব্যাপী প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ বলবাহি মৌল কণিকাগুলো ( গ্লুয়ন, ফোটন ইত্যাদি ) (২:১১৬) সম্মিলিতভাবে ঘনিভূত ও তরলিত শক্তিরূপে বিরাজ করছিল। বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, বলবাহী মৌল কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি ( Exclusion principle ) মানে না। আর যে কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি মানে না তারা সবাই চুপসে মোটামুটি একরকম ঘন একটি স্যুপ ( Soup = hot, dense plasma) তৈরী করে। সুতরাং সৃষ্টিকালীন প্রাথমিক পর্যায়ে কল্পিত বলবাহী মৌল কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি বিবর্জিত অবস্থায় উত্তপ্ত, ঘনিভূত ও তরলিত (hot, dense plasma) শক্তিরূপে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিল এবং তখন (১১:৭) সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহতায়ালার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (আরশ) সেই স্যুপ অর্থাৎ উত্তপ্ত, ঘনিভূত ও তরলিত গন্ডিবদ্ধ শক্তির (পানির) উপর নিবদ্ধ ছিল। সৃষ্টির আদি পর্যায় থেকেই যে এই মহাবিশ্বে পানির উপস্থিতি ছিল (১১:০৭) নং আয়াতটি সেই সাক্ষীই বহন করছে। এভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় ( অতি ক্ষুদ্র বা বৃহৎ কাল ) অতিবাহিত হবার ফলে *[ দূর্বল কেন্দ্রকীয় বলের ( Weak neuclear force ) উদ্ভব হবার পূর্বে ]* বলবাহী মৌল কণিকাসমূহের মধ্যে পারস্পরিক অভিক্রিয়া শুরু হয় এবং ১ম-ইওম বা দিনের সমাপ্তি ঘটে।

সৃষ্টিকালীন ২য় দিন / ইয়াওম (২য় পর্ব বা নির্দিষ্ট সময়)
আলকোরআন (Al-Quran)-
সূরা হা-মীম আস সিজদা- (41.Fussilat // Explained In Detail) -আয়াত নং-৯
(৪১ : ০৯) অর্থ- বল, "তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবেই যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা তাঁর সমকক্ষ দাঁড় করাতে চাও ?" তিনি তো জগৎসমূহের প্রতিপালক।
(41 : 09) Say you, 'Do you indeed disbelieve in Him who made the earth in two days? And do you set up equals to Him' That is the Lord of the entire world.

বিজ্ঞান-
(কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)-অধ্যায়-৫-(মৌলকণা ও প্রাকৃতিক বল)-মহাবিশ্বের সমস্ত জানিত কণিকাগুলিকে দুই গোষ্ঠিতে ভাগ করা যায়: যে সমস্ত কণিকার চক্রন অর্ধেক, পৃথিবীর সমস্ত পদার্থই সেই কণিকাগুলি দিয়ে গঠিত এবং যে সমস্ত কণিকার চক্রন ( Spin ) ০, ১ এবং ২, আমরা দেখতে পাব সেগুলি দিয়েই পদার্থ কণিকার অন্তর্বর্তী বল তৈরী হয়। ( মৌলকণা ও প্রাকৃতিক বল-অধ্যায়-৫ )-পরমাণুগুলির একটি আভ্যন্তরিন গঠন আছে। এতে রয়েছে একটি কেন্দ্রক ( Nucleus ), যা গঠিত হয় একটি বৈদ্যুতিক আধান যুক্ত কণিকা প্রোটন ও একটি আধান বিহীন কণিকা নিউট্রন সমন্বয়ে। কেন্দ্রকের চতুর্পাশে আবর্তিত হচ্ছে কতগুলো অপরা আধান যুক্ত কণিকা ইলেকট্রণ। প্রথমে মনে করা হতো প্রোটন ও নিউট্রনই মৌল কণা ( Elementary particle ) | কিন্তু কতগুলো পরীক্ষায় নির্দেশ পাওয়া যায় আসলে এগুলিও ক্ষুদ্রতম কণা দ্বারা গঠিত। ক্যালটেক পদার্থবিদ মারে গেলম্যান এই কণাগুলির নাম দেন কার্ক ( Quark ) | বলবাহী কণিকাগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম হল, তারা অপবর্জন নীতি (exclusion principle) মানে না। এর অর্থ হল কতগুলো কণিকার বিনিময় হবে তার সংখ্যার কোন সীমা নেই। সুতরাং তা থেকে একটি শক্তিশালী বল উৎপন্ন হতে পারে। বাহিত বলের শক্তি এবং যে সমস্ত কণিকার সঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া হয় সেই অনুসারে বলবাহী কণিকাগুলিকে চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। এগুলো হল মহাকর্ষীয় বল, বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল, দূর্বল কেন্দ্রকীয় বল ও শক্তিশালী কেন্দ্রকীয় বল। দূর্বল কেন্দ্রকীয় বল ( Weak nuclear force ) অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট সমস্ত পদার্থ কণিকার উপরই ক্রিয়া করে কিন্তু ফোটন কিংবা গ্র্যাভিটনের মতো ০, ১, ও ২ চক্রণ বিশিষ্ট কোন কণিকার উপরে ক্রিয়া করেনা। ( ভরবাহী মৌল কণিকাগুলো অর্ধেক চক্রণ বিশিস্ট এবং বলবাহী মৌল কণিকাগুলো ০, ১ ও ২ চক্রণ বিশিষ্ট হয়।-- বোঝার সুবিধার্থে -লেখক )

আলোচনা-
সৃষ্টিকালীন ১ম-দিনের সমাপ্তির সাথে সাথে অর্থাৎ বলবাহী মৌল কণিকাগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক অভিক্রিয়া শুরুর ক্ষণ থেকে ২য়-ইওম বা দিনের সূচনা ঘটে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি ( নিয়ন্ত্রিত তাপশক্তি+বলবাহী মৌল কণিকাসমূহের মধ্যকার পারস্পরিক অভিক্রিয়া ) একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ( ২য় দিন ) ব্যাপী প্রয়োগের ফলে দূর্বল কেন্দ্রকীয় বলের ( Weak nuclear force ) উদ্ভব ঘটে। এই বলের প্রভাবে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ভরবাহী মৌল কণিকা ( কার্ক, নিউট্রিনো ইত্যাদি ) সৃষ্টি করা হয়। যেহেতু বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট কণিকা অর্থাৎ ভরবাহী মৌল কণিকাগুলো দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পদার্থ গঠিত হয়েছে। সুতরাং (৪১:৯) নং আয়াত অনুসারে সৃষ্টিকালীন দুই দিনে অর্থাৎ ১ম ও ২য় দিনের ( দুটি নির্দিষ্ট সময়েয় ) পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট ভরবাহী মৌল কণিকা যেমন কার্ক, নিউট্রিনো ইত্যাদি সৃষ্টির ক্ষণ থেকেই পৃথিবী সৃষ্টির ভিত্তি বা সূচনা ঘটে। আল-কোরআনে প্রদত্ত মহাবিশ্ব সৃষ্টির বিষয়ে অন্যান্য আয়াতগুলো পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই যে, আল্লাহপাক আদিতে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির সূচনা একসাথে ও একইরূপে শুরু করলেও পরে দুই দিনে পৃথিবী সৃষ্টির ভিত্তি রচিত হয় ( অর্থাৎ ভরবাহী পদার্থ কণিকা সৃষ্টি করেন )। অতঃপর চার দিনের মধ্যে অর্থাৎ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ দিনের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনের মাধ্যমে) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর বিভিন্ন স্তরসমূহ সৃষ্টির জন্য ও জীবনধারণের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মৌলিক উপকরণসমূহ অর্থাৎ স্বয়ংসম্পূর্ণ মৌলিক কণিকা বা পরমাণুসমূহ গঠন করা হয়। অতঃপর পরবর্তীতে দুই দিনে (৫ম ও ৬ষ্ঠ দিনে) আকাশমন্ডলীকে পৃথিবী থেকে পৃথক করে দিয়ে সপ্ত-আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীরূপে সুসংগঠিত করে সৃষ্টি করা হয়। এরপর থেকে মহান স্রষ্টার বেঁধে দেয়া ছকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সবকিছু আপন আপন বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নব নব রূপে পরিগঠিত ও রূপান্তরিত হচ্ছে মাত্র। (ক্রমশঃ চলবে.......)

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:২২
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×