এক মাস আগে থানার সাহায্য চেয়েও বখাটের সন্ত্রাসে পঙ্গু হতে বসেছে কলেজ ছাত্রি- পশুটার সমুচিত শাস্তি চাই-
কম বয়সের একটি ছেলে বা মেয়ের আড়াল থেকে একে অপরকে দেখাকে বয়সের দোষ বা দশা যাই বলেন না কেন- এর জন্য তো শাস্তির কথা ভাবা যায়না। এ ধরনের স্মৃতীকে কবি, সাহিত্যিক ও চিত্রকরেরা তাদের মনের মাধুরী আর রঙের তুলিতে যে যার মত করে ফুটিয়ে তোলেন। কেউ কেউ তাদের রুচিশীল সৃষ্টিকর্মের দ্বারা সুন্দর মানসিকতা গেড়েন। কেউ আবার একে পুজি কোরে মাত্রা ছাড়া পর্ণের ব্যবসা করেন। আমি কারও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইনা। তবে এইরূপ লাগামহীন স্বাধীনতা যে সভ্যতা ও শান্তির পরিচয় বহন করেনা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। স্বভাবিকভাবেই এ ধরনের লাগামহীন স্বাধীনতা একজন উঠতি বয়সের কিশোর বা কিশোরীকে লাগামহীন উশৃঙ্খলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাববার যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে।
পত্রিকা খুললে প্রায় প্রতিদিনই বখাটের বখাটেপনাই শুধু নয়, দিন দিন তাদের সন্ত্রাসী ভুমিকা দেখলে গা শিউরে ওঠে। তখন মনে প্রশ্ন জাগে- আমরা কি তাহলে সভ্যতার সিড়ি বেয়ে পথ ভুলে অসভ্য-রাজ্যে পাড়ি জমাচ্ছি? যদিও আমি এতটা নিরাশ নই। কারন আমি বিশ্বাস করি বাংলার দামাল ছেলেরা কু-হাওয়াকে সু-বাতাস দিয়ে পরিবর্তনের ইতিহাস গড়তে জানে।
বেতের বাড়ি, কান ধরে উঠ-বস্ বা দু-চার মাস হাজত বাস- এগুলো সবই আই ওয়াস। ওরা যদি এগুলোকে মামুলি আনন্দের খোরাক ভাবতে শুরু করে এবং জেলের ভাতকে হজম করতে শেখে তাহলে তো সর্বনাশ। তাই সময় থাকতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ৬ মাস নয়, বরং বখাটেপনা ও সন্ত্রাসের ধরন অনুসারে দীর্ঘদিন নির্বাসনে পাঠাতে হবে এবং তাদের কারাগারকে মানুষ বানাবার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একদিকে যেমন সচেতনভাবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, তেমনি তাদের শোধরাবার জন্য সুযোগ করে দিতে হবে। তবে মানবতার গান গেয়ে ঐসব নরপশু বখাটে খুনিদের শাস্তি থেকে বাঁচাবার পায়তারা করলে জাতিকে কিন্তু চরম মুল্য দিতে হবে। তাই আর দেরি নয়- এখনই সময়, কিছু একটা করবার।
কি করা যেতে পারে তা নয়ে আর্ও কিছু কথা-
সহজ, সরল, বন্ধুবৎসল, পরোপকারি বাঙালীর প্রকৃতি তো কখনো এরূপ কুৎসিত ছিলনা!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬