অনেকে বলে থাকেন-
//Theory of evolution is directly contradictory to theory of origin of any abrahamic religion//
অর্থাৎ //আব্রাহামিক ধর্মের উৎপত্তিগত মৌলিক তত্ত্ব/ সিদ্ধান্তের সাথে বিবর্তন তত্ত্ব সরাসরিভাবে পরস্পরবিরোধী//
................................
তাদের কাছে সবিনয়ে জানতে চাই-
আব্রাহামিক ধর্মের উৎপত্তিগত মৌলিক তত্ত্ব/ সিদ্ধান্ত বলতে সুনির্দিষ্টভাবে কি বোঝানো হয়েছে? আব্রাহামিক ধর্মের সর্বশেষ ঐশীগ্রন্থ হিসেবে প্রেরিত আল-কোরআনের সৃষ্টি বিষয়ক মৌলিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও কি বিবর্তনের ধারা সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত থাকা বাঞ্ছনীয়?
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্বে বিবলিকাল সৃষ্টিতত্ত্ব এবং স্বয়ং স্রষ্টার পুত্র হিসেবে ঈশা নবীর কোন স্থান নেই ঠিকই। কিন্তু তাই বলে কোরআনের সৃষ্টি বিষয়ক মৌলিক সিদ্ধান্তের সাথে ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক মনে করার মূল কারণ কি?
…………………....
অনেকে বলে থাকেন-
//বিবর্তনবাদীদের দাবি অনুযায়ী ধর্মের অনুসারীরা "অবৈজ্ঞানিক অধঃপতন তত্ত্বে (?)" (মানুষ স্বর্গ থেকে অধঃপতিত) বিশ্বাস করে। অন্যদিকে বিবর্তনবাদীরা "বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ তত্ত্বে (!)" (ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষ) বিশ্বাস করে।//
…………………....
মানুষ "স্বর্গ থেকে অধঃপতিত" নয় বরং "স্বর্গ থেকে আপতিত (accrued) অর্থাৎ স্বাভাবিক বিকাশ হিসেবে" এসেছে বলে যারা বিশ্বাস করেন তারা লাগামহীন বিবর্তন নয় বরং সীমানির্দেশিত বিবর্তনে বিশ্বাসী। মহান আল্লাহতায়ালা সীমানির্দেশিত বিবর্তনের আওতায় আদিতে সৃষ্ট কোন অনুজীব বা ব্যাকটেরিয়াকে তাঁরই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ও পরিবেশে (অর্থাৎ বেহেস্তে) ধাপে ধাপে অবশ্যই উৎকর্ষ ও উন্নত রূপে "মাতৃ মানব-কোষ" (HCA- Human Common Ancestor) হিসেবে বিকশিত করার সামর্থ রাখেন।
তবে উল্লেখিত অধঃপতন তত্ত্বকে যারা অবৈজ্ঞানিক আখ্যা দেন তাদের জানা উচিত যে, একটি পর্যায়ে বিবর্তনের ধারায় উন্নত নয় বরং অধঃপতিত হওয়ারই শক্ত প্রমাণ মেলে। সেদিক থেকে বিচার করলে মানুষ থেকে বানর কিংবা শূকরে রূপান্তর ধারায় সেই অধঃপতন তত্ত্বই ভবিষ্যতে চরম বৈজ্ঞানিক সত্য হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল ও স্বাভাবিক বটে।
ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব নয়, বরং লাগামহীন ও বিকৃতভাবে উপস্থাপিত তথাকথিত বিবর্তন তত্ত্বের ধারায় যারা শিম্পাঞ্জী/ গ্রেট অ্যাপস্/ লুসি/ কহ-টাহ-নউ-মুউ/ আরডি ইত্যাদি জন্তুদের থেকে ধারাবাহিকভাবে মানব সৃষ্টির মত উন্নত ও উৎকর্ষ সৃষ্টি হওয়া সম্ভব বলে কল্পনা করেন তারা হয়ত খবর রাখেন না যে, এহেন বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বৈজ্ঞানিকভাবে অধঃপতনের প্রমাণই মেলে। সুতরাং এসব জন্তু জানোয়ারের মধ্য থেকে বিবর্তিত হয়ে উন্নত বৈশিষ্ট্যের অধিকারি মানুষ নয়, বরং অধঃপতিত জন্তু-জানোয়ারের আগমন ঘটাই স্বাভাবিক এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও যুক্তিসংগত।