বর্তমান বিশ্বে প্রায় প্রতিটি দেশই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী।
যেমন- জাতীয় বনায়ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গত সেপ্টেম্বর'২০১৪তে ফিলিপাইনে এক ঘন্টায় ৩২ লাখ গাছের চারা রোপণ করা হয়, যা প্রতি ঘন্টায় গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড।
গত শনিবারে(১৬/০৫/২০১৫) ইকুয়েডরে ৪৪৮৮৩ জন স্বেচ্ছাসেবী ১৫০টির বেশি স্থানে ২০০০-এরও বেশি হেক্টর জমিতে ২০০-এর বেশি প্রজাতির ৬৪৭২৫০টি গাছ লাগিয়েছে, যা বনায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড।
এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক বোতল পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের বিশ্বরেকর্ডটিও ইকুয়েডরের দখলে।
আমরা বাংলাদেশীরাও অনেকগুলো বিশ্বরেকর্ডের অধিকারী। তার মধ্যে রয়েছে- সব চেয়ে বড় মানবপতাকা (এখন পাকিস্তানের দখলে), সবচেয়ে বেশি মানুষের কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া, টেবিল টেনিসে সবচেয়ে বেশি বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন ইত্যাদি ইত্যাদি।
হ্যাঁ, এটা ঠিক যে, আমরা দেশকে অনেক বেশি ভালবাসি। এই কারণেই আমরা মানব পতাকা কিংবা জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিশ্বরেকর্ড করার ক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছি। তবে এই সব অনুৎপাদনশীল খাতের রেকর্ড শুধু গলায় ঝুলিয়ে রাখার মত জিনিস, এগুলো সমাজ বা রাষ্ট্রের কোনো উন্নয়নে কাজে লাগেনা। তবে আমরা চাইলেই বনায়ন কিংবা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর বিশ্বরেকর্ড করতে পারি, যা শুধু আমাদের জন্য গর্বের ব্যাপারই হবেনা, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতেও সহায়ক হবে।