somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"প্রাত্যহিক রুটিন"

০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের মুসলিমদের শরীরে আর ইসলাম নেই। আমাদের চালচলন সব দুনিয়া কেন্দ্রিক। আমাদের প্রাত্যহিক কাজের মধ্যে ইসলামের কোন স্থান নেই। আল্লাহকে স্মরন করার সময় আমাদের নেই। মহানবী (সাঃ) এর একটা সুন্নাহ অনুসরন করার প্ল্যান আমাদের ডেইলি রুটিনে নেই।
আমাদের কর্মজীবি একজন পুরুষের প্রাত্যহিক রুটিন যাচাই করলেই কথার সত্যতা বুঝতে পারবেন।

সকাল ৯ঃ০০ টায় অফিস। ঘুম থেকে উঠছি সকাল ৮ঃ০০ টায়। উঠে সোজা ওয়াশরুম। ওয়াশরুমের কাজ শেষ করে নাস্তা করা। নাস্তার ফাঁকেফাঁকে গায়ে পোশাক চড়ানো, জুতা, রুমাল, মানিব্যাগ, মোবাইল পকেটে ঢুকানো। হুড়োহুড়ি করে অফিসের ব্যস্ততম দিনে প্রবেশ। দিনটা শুরু হচ্ছে ব্যস্ততা দিয়ে। কিসের জন্য ব্যস্ততা! রুটি রুজির জন্য ব্যস্ততা। এরপর ব্যস্ততা চলছেতো চলছে। মিটিং, ডেইলি ওয়ার্ক সব শেষ করতে করতে দুপুর একটায় লাঞ্চ ব্রেক। এক ঘন্টা বিরতীতে লাঞ্চ করা, দোকানে বসে আড্ডা দিতে দিতে একটা চা খাওয়া এবং আবার ব্যস্ততা। আবার মিটিং-এ উপস্থিত হওয়া। বিদেশী ম্যানেজমেন্ট তাই নামাযের সময়ে মিটিং কল করা হচ্ছে নাকি কারও কোন হ্যাডেক নেই। ম্যানেজমেন্টের হ্যাডেক থাকবে কি করে আমি নামটা মুসলমানের নিয়ে বসে আছি। আমারইতো নামায পরা না পরা নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ভাল লাগলে পরলাম নাইলে পরলাম না। অফিস অফিস করতে করতে বাসায় পৌঁছানো রাত ৮টা বা ৯টায়। সারাদিনে কোথাও ইসলাম বা আল্লাহর জায়গা নেই। হয়তো দুই একবার ইচ্ছা জাগলে, মিটিং বা কাজ না থাকলে জায়নামাজ বিছিয়ে ঠুক করে একটু মাটিতে কপাল ঠেকানো।

রুমে এসে,ফ্রেস হয়ে ডিনার। ডিনারের পরেই শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দেওয়া। হাতে মোবাইল। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে একটু রিফ্রেশমেন্ট দরকার তাই একটা মুভি দেখলে মন্দ হয়না। মুভিটা শেষ করতে করতে রাত একটা দুইটা। অহহ এখন ঘুমাতে হবে। কারন সকাল ৮ঃ০০ টায় আবার দৌড় শুরু। সময় কোথায় ফজরে আরামের ঘুম হারাম করে মসজিদে যাওয়ার?

আমার চালচলন ইঙ্গিত দেয় আমার চিরস্থায়ী আবাস এই দুনিয়া। আমার পোশাকে আমার মুসলমানিত্বের কোন চিহ্ন নেই। আমার আড্ডার টপিক, আলোচনার বিষয়ে ইসলামের কোন অস্তিত্ব নেই। আমার ভাবসাব বলে দেয় আমাকে কবরে যেতে হবেনা। আমার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করা ইঙ্গিত দেয় আমাকে মাটির নিচে যেতে হবেনা। আহ! আল্লাহ! কখন আমার হুশ হবে? কখন আমি বুঝব আমার জীবন শুরু হবে কবরে যাওয়ার পর। কখন আমি বুঝব আমি আর মাত্র ৩০-৪০ বছর হয়তো এই দুনিয়ার অতিথি। সকালে রুহটা বের হয়ে গেলে দুপুরেই আমার মা, বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী আমাকে মাটিতে নামিয়ে দিয়ে আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×