এক ভাইয়ের গল্প জানি। যিনি প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর ৫ হাজার টাকা করে ইন্সুইরেন্স দেন। একটা লাইফ ইন্সুরেন্স খুলেছেন। ১৮ বছর পর ১৮ লক্ষ টাকা পাবেন এই ইন্সুরেন্স থেকে। আর উনি মারা গেলে তৎক্ষনাৎ পাবেন। কার জন্য ইন্সুরেন্স খুলেছেন? নিজের মেয়ের জন্য যার বয়স এখন দুই বছর। এই পরিকল্পনা যে, উনি মারা গেলে এই টাকাটা ব্যাংকে রেখে উনার স্ত্রী সন্তানের বাকি জীবন হয়তো চলে যাবে। আর উনি বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে মেয়ের বিয়ে দিতে কাজে লাগবে।
আমিও একটা ইন্সুরেন্স করেছি। আমারটা ফিক্সড ডিপোজিট। যেই ডিপোজিট ভাঙলে বর্তমান দুনিয়ায় প্রফিটের কোন ফিজিকাল এক্সিসটেন্স পাওয়া যাবেনা। এটা ভাঙতে হবে বিশেষ জায়গায়। আর প্রফিট দেওয়ার জন্য এটা স্বয়ং আল্লাহ নিজ হাতে ভাঙবেন ইন-শা-আল্লাহ। ফিক্সড ডিপোজিটটা "সদকায়ে জারিয়া" নামক একাউন্টের মাধ্যমে জমা করছি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। আমার ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ওয়ার্ডপ্রেস, সামহোয়্যারইন ব্লগ এগুলো আমার "সাদকায়ে জারিয়ার" একাউন্ট। যেখানে পরিচয় শুধুই "মামুন রেজওয়ান" নামে আল্লাহর পাপী বান্দা। আর কোন পরিচয় নেই। বাকী যেগুলো আছে সেগুলো সাগরের জলকনার চেয়েও ক্ষুদ্র,ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র।
আরেকটা ফিক্সড ডিপোজিট খুলেছি। আমার অর্ধাঙ্গিনীর নামে। উনাকে অনলাইনে "ডিপ্লোমা ইন ইসলামিক স্টাডিজ" কোর্সে ভর্তি করিয়েছি। হেদায়াত পাওয়ার পরে মানুষের পরিবর্তন আমি নিজ চোখে দেখেছি। আমি একেবারে সাধারন জেনারেল লাইনে পড়ুয়া ছাত্র। দ্বীন থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে আমার বসবাস। আমিও চাইনা সন্তানের জন্য একটা বাড়ি বানিয়ে রেখে যেতে। আমি চাই সন্তানকে আল্লাহর বাড়ি চিনাতে। আমি চাই সন্তানকে দেখাতে মহানবী (সাঃ) এর যে শোয়ার জায়গা ছিল সেখানে তিঁনি শুয়ে থাকলে পিঠে চাটাইয়ের দাগ পরে যেত। আমি আমার সন্তানকে জানিয়ে যেতে চাই, মহানবী (সাঃ) তাঁর ইন্তেকালের সময় অবশিষ্ট ৭টি স্বর্নমুদ্রাও দান করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ তাঁর বান্দাহর রিজিক্ব নির্ধারন করে রেখেছেন। এবং এটা একেবারেই ফিক্সড৷ আমি বিশ্বাস করি আমার বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে মানে আমার অধিনস্থ কারও রিজিক্ব আমার মাধ্যমে আল্লাহ স্থির করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৪১