কুরবানীর পশু নিয়ে যত সমস্যা তার সমাধান দিবে,
3G-Kurbani Animal Weighting Machine Plan (3G-K.A.W.P.)
(অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্ম কোরবানীর পশু ওয়েট স্কেল মেশিন দিয়ে গ্রহন করবে।)
মুসলিমদের বৎসরে একটি বড় উৎসব হলো ঈদুল আযহা অথবা কুরবানী পশু জবাই করার দিন।আর এই কুরবানী পশুর হাঁটে পশু ক্রয় করার সময় ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাঝে দাম নিয়ে মন কশা-কশী শুরু হয়ে যায়,এক পর্যায়ে হয়ত ক্রেতা লাভবান হয় নয়ত বিক্রেতা।এতে করে দুনো জনের মধ্যে সন্দেহ ও আফসুস থেকেই যায়।এমনকি বিক্রেতা লাভের আসায় কুরবানীর শেষ রাতটুকু পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকে,আর এদিকে ক্রেতাও লাভের আশায় হাঁটে চলে আসে পরে দেখা যায় দুনো জনের কোন এক জন কে লোকশানের হাত গুনতে হয়।
এ ছাড়াও আরো অনেক সমস্যা রয়েছে (১) কুরবানী পশুর হাটে দালালের চক্র রয়েছে যাদের কারনে বিক্রেতা লোকসানের ফাঁদে পড়েন।(২) অনেক পশুর ট্রাক যান-যোটে আটকা পড়ার কারনে কুরবানীর শেষ রাতে এসেও পশু বিক্রি না করতে পেরে লোকসান নিয়ে বাড়ীতে চলে যান।(৩) বিক্রেতা পশুর দামএত বেশী চায়,যার কারনে মধ্যস্থ ও গরীব পরিবারদের জন্য কুরবানী দিতে দুস্কর হয়ে পড়ে।তাই প্রযুক্তি যুগে কুরবানী পশু কেও প্রযুক্তির অন্তুর ভুক্ত করতে হবে,মানব জাতির সুবিধার্থে। আর এই আইডিয়ার নাম রাখা হয়েছে,
3G-Kurbani Animal Weighting Machine Plan অর্থাৎ তৃতীয় প্রজন্ম কোরবানীর পশু ওয়েট স্কেল মেশিন দিয়ে গ্রহন করবে।যার সংক্ষেপে 3G-K.A.W.P. বলা হবে।
Plan(1) সরকার সর্ব প্রথমে কুরবানীর ছয় মাস পূর্বে সাতটি বিভাগের গৃহ পালিত পশুর মালিকদের তালিকা বাহির করবেন,যা আমার আইডিয়া 3G-A.M.B.P.এর মাধ্যমে বাহির করা সম্ভব হবে।তারপর সাতটি বিভাগে কত জন কুরবানী দিতে সক্ষম সেই অনুপাতে পশু বন্টন করা হবে।যদি কোন বিভাগে পশুর সংখ্যা কম হয়,তাহলে যেই বিভাগে বেশী থাকবে সেই গুলোকে ঐ বিভাগে পাঠানো হবে।এবং এই ব্যপারে সরকার একটি সুষ্ঠ আইন প্রনয়ন করবেন।যাতে করে পশুর মালিকগণ শৃংঙ্খলা ভাবে কোন কোন হাঁটে যাবেন সে টাও নির্ধারন করে দিবেন।
Plan(2) কুরবানীর পশু হাঁটে প্রবেশ পূর্বে দুই সিস্টেমে মাপা হবে,(১) চোখের আন্দাজ,(২) ডিজিটাল পশু ওয়েট স্কেল মেশিন।চোখের আন্দাজ হলো গরু,ছাগল,মহিষ ইত্যাদি এর মধ্যে ছোট, বড়, মধ্যম জাতের পশু আলাদা করে তা আলাদা আলাদা দাম নির্ধারন করা হবে।এবং আলাদা স্থানে ভাগ ভাগ করে রাখা হবে।তবে এই সিস্টেমটি পরবর্তীতে সমস্যা দেখা দিবে,যা আমি ইতি পূর্বে বর্ণনা করে আসছি।
কিন্তু ডিজিটাল পশু ওয়েট স্কেল মেশিন ব্যবহার করলে ক্রেতা-বেক্রতা কাউকে লোকসান গুনতে হবে না।এই সিস্টেমটি অর্ধেক চেক পোষ্টে ভাড়ী যান-বাহনের ওয়েট স্কেল মেশিন এর মত।আর বাকি অর্ধেক সিস্টেমে প্রযুক্তিবীদগণ তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন।অর্থাৎ পশুর উপর এমন একটি স্কীন শর্ট নিবেন,যাতে করে ঐ পশুর ভিতরে চামড়া এবং বর্জ ছাড়া গোস্ত ও হাড্ডিার পরিমান কতটুকু রয়েছে তা জানতে পারা।যখন গোস্তের পরিমান জানা যাবে,তখন ঐ পশুটি কে প্রতি কেজি গোস্তের দাম নির্ধারন করে বিক্রি করা হবে বর্তমান বাজারের দামের চাইতে একটু বেশী।
সম্মানীত পাঠক বৃন্দগণ যদি 3G-K.A.W.P.বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে গৃহি পালিত কৃষকদের জন্য খুবই উপকার ও লাভজনক হবে।এবং জনগণ তাদের পছন্দের কুরবানীর পশু ক্রয় করবেন এতে করে ক্রেতা ও বিক্রেতা কোন ধরনের লোকসানের হাত গুনতে হবে না।
বিঃদ্রঃ-অবশ্যই 3G-K.A.W.P.এর উপর আরো গবেষনা একান্ত প্রয়োজন আছে,তাই গবেষক থাকলে আমাকে সহযোগিতা হিসাবে নিতে পারেন।
[email protected]