ডিসেম্বর মাস। প্রতিটি বাঙ্গালীর জন্য এক আবেগঘন মাস। এ মাস শক্তির মাস, এ মাস সাহসের মাস, এ মাস বিজয়ের মাস। নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এ মাসেই আমাদের দামাল ছেলেরা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলার মুক্ত আকাশে বিজয় নিশানা উড়িয়েছিলো পতপত করে। তাই ডিসেম্বর মানে অন্য কিছু।
যারা সোনার এই দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভূইয়ে থাকেন বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে তাদের কাছেও ডিসেম্বর ধরা দেয় আলাদাভাবে। পশ্চিমা বিশ্বে বেশ সাড়ম্বরে ক্রিমাস পালিত হওয়ায় এখানকার সব ধর্মের মানুষই সার্বজনীন এই উৎসবের সাথে মানিয়ে নেন নিজেকে। ব্যতিব্যস্ত থাকেন সপ্তাহের সাতদিনই। শুধু উৎসব উদযাপনের জন্য নয়, সেইল থেকে কমদামে ভালো পণ্য ক্রয় করার জন্য দীরঘ লাইন ও অনেকে ধরে থাকেন। এছাড়া শুধু এ মাসে খরচ করার জন্য অনেকেই দুই/তিন মাস আগে থেকেই পয়সা জমাতে থাকেন। তাই এদের কাছেও ডিসেম্বর মানে অন্য কিছু!
এবার আসা যাক আমার নিজের বেলায়। হ্যা, ভাই ও বন্ধুরা ডিসেম্বর মাস আমার জন্যও সত্যিই স্পেশাল! এ মাসেই আমার জন্ম তারিখ বিধায় তা তো একটু স্পেশাল হবেই। আর তিন বছর আগে বিয়ের পিড়িতে বসা এই আমি কিভাবে কিভাবে যে ঝুটিঁয়ে ফেললাম ডিসেম্বর মাসেই জন্ম নেয়া এক তরুনীকে! হায়রে কপাল! বন্ধুরা টায়ার্ড হইয়েন না, কপালের আর দেখলেন কী! দুই বছর আগে আমাদের নতুন সংসারে যোগ হলেন এক রাজপূত্র। সোনার সংসার আলো করে আসা আমার সেই পূত্রধন আয়ান জন্মালেন বিশেষ এই মাসেই! এবার শোনাই গত বছরের ঘটনা। ঠিক আজ থেকে দুই দিন পর গত বছরের ডিসেম্বর মাসের এই দিনে এই ধরনীতে আগমন ঘটে আমার ভাতিজি এলাইজার। এখানেই শেষ নয়! আমার ভাতিজা সাইফের জন্মও কিন্তু ডিসেম্বর মাসেই। এছাড়া আমার 'হোম মিনিস্টারের' দুই সিস্টারের জন্ম ও কিন্তু এই 'পোড়া' ডিসেম্বরে!!!
আর একথাতো মোটামোটি সবাই ই জানেন যে, এদেশে মানে বিলেতে জন্মদিন পালন করা বা জন্মদিন উপলক্ষে একজন আরেকজনকে কিছু উপহাড় দেয়া ফরজ না হলেও খানিকটা ফরজের কাতারে চলে এসেছে। তাই ডিসেম্বর আসলেই আমার হার্টবিট বাড়তে থাকে, সেই সাথে মানিব্যাগের ওজন কমতে থাকে।