রমজানের মধ্যে শপিং করার জন্য বের হয়েছি। মেয়ের মার জন্য একটা হ্যান্ড ব্যাগ পছন্দ হয়েছে এটা কিনলাম। আমার মেয়ে যখন দেখল তার মায়ের জন্য ভ্যাগ কেনা হয়েছে। সে তাঁর নিজের জন্য একটা ব্যাগ খুঁজতে লাগলো এবং সে পেয়েও গেল বাচ্চাদের জন্য ছোট ভ্যানিটি ব্যাগ দোকানে ঝুলানো আছে। সে একটা পিংক কালারের ব্যাগ পছন্দ করে বলল এটা নিতে চায়।
আমি বললাম তোমার তো একটা ব্যাগ আছে তোমার জন্য নতুন জামাকাপড় ও জুতো কিনেছি তোমাকে পরে ব্যাগ কিনে দিবো ।
আমার কথা শুনে সে মন খারাপ করলো ও কাঁদো কাঁদো গলায় বলল সে ব্যাগ নিতে চায়। মেয়ের মা ও সুপারিশ করেছে কিনে দেওয়ার জন্য। কিন্তু শেষমেশ বাবুর ব্যাগ আর কেন হল না।
বাসায় এসে নতুন জামা তার গায়ে ফিট হয় কিনা দেখার জন্য যেইনা বের করেছি ওমনি সে হাত থেকে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দিল। সে বলল আমি ব্যাগ পছন্দ করেছি তুমি কিনে দাও নাই। তুমি পচা হয়ে গেছো। আমি আর তোমাকে মার্কেটে নিয়ে যাব না। আমি আম্মুকে নিয়ে যাব।
আমি কান্নার ভান করে বললাম, না আমাকেও নিও তখন সে বলল, আমি কান্না করেছি তবু তুমি কিনে দাও নাই।
কদিন পর আবার মার্কেটে গেলে এবার আর সে ব্যাগ চাচ্ছে না। কিন্তু তাকে ব্যাগ কিনে দেওয়ার পর সে সেটা নিয়ে তার বুকের কাছে চেপে ধরে খুশির যে বহিঃপ্রকাশ করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
আজকের গল্প ইচ্ছে পূরণের গল্প। মনে মনে চাওয়া যখন পূর্ণ হয়ে যায় তখন বেশ ভাল লাগে আবার ব্যাপারটাতে অবাক লাগে। রমজানে আমি ব্যাংকে গেলাম টাকা তোলার জন্য। টাকা তুলে অফিসে যাব। কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখি আমি তিন নম্বরে আমার আগে আরো দুইজন আছে। মনে মনে বললাম ইস যদি আমি প্রথম টাকাটা নিতে পারতাম। প্রথমজনের চেক ফেরত দেওয়া হল তার একাউন্টে টাকা নেই। দ্বিতীয় জনের সিগনেচার মিলছে না তাকে আবার চেক লিখে জমা দেওয়ার জন্য বলা হলো। আমার মনের চাওয়া পুরন হয়ে গেল আমি প্রথম টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হলাম।
গল্প-কবিতা প্রতিযোগিতায় দু'বিভাগেই প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় স্থানে নিজের নাম দেখার জন্য মনে মনে অনেক দিন ধরে চাচ্ছিলাম। কিন্তু কি আশ্চর্য গতমাসে রেজাল্ট এ দেখি গল্পের দ্বিতীয় হয়েছি আর কবিতায় তৃতীয়।
সেদিন অফিসে আমি আর আমার এক কলিগ প্রিয়াঙ্কা একসাথে অফিসে ঢুকলাম। আমার রুম খুলে আমি লাইট ফ্যানের সুইচ দিতেই প্রিয়াঙ্কা হাজিরা খাতায় সিগনেচার দেওয়ার জন্য কলম হাতে নিল। আমার তখন মনে হল আমি যদি আগে সিগনেচার করতে পারতাম। আমাকে আশ্চর্য করে দিয়ে প্রিয়াঙ্কার একটা ফোন এলো সে ফোন রিসিভ করে কথা বলতে শুরু করায় হাজিরা খাতা রেখে দিলো আর আমি প্রথম সিগনেচার করার সুযোগ পেলাম।
গত দুই তিন দিন ধরে ব্লগার জলদস্যুকে তার আশ্রম সম্পর্কে প্রশ্ন করতে মন চাচ্ছিল যে , সেখানে কে বা কারা আসা-যাওয়া করে। কি ধরনের কর্মকাণ্ড হয়। কিন্তু কী আশ্চর্য তিনি নিজেই দু'দিন আশ্রম নিয়ে পোস্ট দিলেন আমার প্রশ্ন করা লাগলো না উত্তর জেনে গেলাম।
মনে মনে যা চাওয়া হয় তা হঠাৎ এভাবে পুরন হয়ে গেলে মনে প্রশ্ন জাগে এটা কিভাবে সম্ভব। অনেকের বেলায় হয়তো এরকম হয় আবার অনেকের বেলায় হয়না। এর সঠিক কারণ আমার জানা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৪৬