somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-২১

২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :





মেয়ে আমাকে বলল বাবা পতাকা নিয়ে এসো। আমি বললাম কোন দেশের পতাকা আনব ব্রাজিল নাকি আর্জেন্টিনা ? সে বলল ব্রাজিল।

মেয়ে হয়তো শুনে থাকবে আমি ব্রাজিল দলকে পছন্দ করি তাই সে ব্রাজিলের পতাকা আনতে বলেছে। এবং সে নিজেও একজন ব্রাজিলের খুদে সাপোর্টার।

অফিস শেষে বের হয়ে আগ্রাবাদ মোর ঘুরে চৌমহনী হয়ে বাসায় ফিরলাম কিন্তু কোথাও পতাকা ওয়ালাকে দেখতে পেলাম না।

বাসায় ফিরে গেলাম ব্যর্থ সৈনিকের মত আর মনে মনে ভাবছিলাম মেয়ে পতাকার কথা ভুলে গেলে বেঁচে যাব।

কিন্তু বাসায় ফিরে দেখি সে ঘুম থেকে জেগে উঠেছে এবং তখন সন্ধ্যা হচ্ছে।

তাই সে রাগ করে বলে উঠলো, আমাকে বিকাল এনে দাও। আমি ঘুমাতে চাই না ঘুমালেই সন্ধ্যা হয়ে যায় আমি আর খেলতে পারি না ।তাই সে বিকাল ফিরে পেতে চায়। সে বিকালে খেলতে চায়।

তার সাথে এটা সেটা বলছিলাম আর ভাবছিলাম হয়তো পতাকার কথা আর তুলবে না কিন্তু আমাকে চমকে দিয়ে সে বলল পতাকা কোথায়?

আমি বললাম, মা তোমার জন্য পতাকা অনেক খুজেছি কিন্তু পাইনি ।আরেকদিন পেলে নিয়ে আসব। সে তখন রাগ করে বলল আমি তাহলে কিছু খাব না। আমি বললাম, তুমি নাস্তা করে নাও আমিও নাস্তা করি তার পর চলো আবার আমরা বের হই দেখি পতাকা পাই কিনা।

নাস্তা করে বাসার সামনে রাস্তায় খুঁজলাম কিন্তু পেলাম না পতাকাওয়ালাকে।

পরের দিন পতাকা ওয়ালা কে পেয়ে মেয়ের জন্য পতাকা নিয়ে গেলাম, ব্রাজিলের পতাকা। পতাকা পেয়ে বলল, পতাকা এমন কেন ?মাঝখানে লাল গোল নেই কেন ? আমি বললাম, ও ওটাতো বাংলাদেশের পতাকা তুমি তো ব্রাজিলের পতাকা চেয়েছ তাই এরকম পার্থক্য। মেয়ে বলল ঠিক আছে তাহলে বাংলাদেশেরও একটা পতাকাও এনে দিও।

গতকাল রাতে তার মা সেজেগুজে ট্রায়াল দিচ্ছে আজকে দাওয়াত আছে সেই দাওয়াতে যাওয়ার পূর্ব প্রস্তুতি। মার দেখা দেখি মেয়ে ও নিজে নিজে সাজগোজ করলো। মা তার মেয়ে কে বলছে, দেখতো আমার সাজটা ঠিক আছে কিনা? এভাবে কি অনুষ্ঠানে যাব। মেয়ে বলল হা ঠিক আছে।

এবার জাফরিন তার মাকে বলছে, তাহলে তোমার মত আমাকেও সাজিয়ে দাও। তার মা বলল, না তুমি ছোট মানুষ এত সাজতে হবে না। ব্যস অমনি সে বলল, তুমি এত বেশি সাজ দিস কেন তোমাকে ভূতের মত দেখা যাচ্ছে। মেয়েকে না সাজিয়ে দেওয়ার জন্যই সে তার মাকে এই উত্তর দিয়েছে।

গতকাল রাতে মেয়ে আমার সাথে ব্রাজিলের পুরু খেলাটা দেখেছে। লাইফে এটাই তার প্রথম ফুটবল খেলা পুরোপুরি দেখা।

আমি যখন বারবার বলছি, গোল দে, গোল দে। মেয়ে আমাকে প্রশ্ন করে বাবা তুমি কেন এরকম বলতেছ, তুমি কি ওখানে খেলতেছো?

আমি বললাম না খেলছি না। কিন্তু আমার দল তো গোল পাচ্ছে না তাই বলছি।

বাবা হলুদগুলো কোন দল ? আমি বললাম ব্রাজিল । বাবা লাল গুলো কোন দল ? আমি বললাম সুইজারল্যান্ড ।মেয়ে তখন বলল ওই কালো লোকটা কেন দৌড়াচ্ছে ও কে, ও কোন দল।

আমি বললাম ও কোন দলের নয় ও রেফারি। ওর কাজ খেলা পরিচালনা করা, কে ভুল করে তা দেখা।

খেলা শেষে ব্রাজিল যখন এক গোলে জয়ী হলো তখন আমি উল্লাস করছি মেয়েও আমার সাথে হাসছে।

চারিদিকে বোম ফোটানোর আওয়াজ শুনে মেয়ে বলছে, বাবা ঘুমাতে দেবে না।

আমি বললাম দেবে ।একটু পরে এসব আওয়াজ বন্ধ হয়ে যাবে। সবাই ঘুমিয়ে যাবে। বাবা আম্মু তো ঘুমিয়ে গেছে তুমি আমার সাথে এই পাশে এসে ঘুমাও না। মেয়ের কথা শুনে আমি তার সাথে শুয়ে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৮
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=হিংসা যে পুষো মনে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮


হাদী হাদী করে সবাই- ভালোবাসে হাদীরে,
হিংসায় পুড়ো - কোন গাধা গাধিরে,
জ্বলে পুড়ে ছাই হও, বল হাদী কেডা রে,
হাদী ছিল যোদ্ধা, সাহসী বেডা রে।

কত কও বদনাম, হাদী নাকি জঙ্গি,
ভেংচিয়ে রাগ মুখে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকেই নির্ধারণ করতে হবে তারা কোন পথে হাটবে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:০৫




অতি সাম্প্রতিক সময়ে তারেক রহমানের বক্তব্য ও বিএনপির অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে ইদানীং আওয়ামীসুরের অনুরণন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিএনপি এখন জামাতের মধ্যে ৭১ এর অপকর্ম খুঁজে পাচ্ছে! বিএনপি যখন জোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×